আমি তোমার প্রেমিক হতে চাইনি কোনোদিন।
আমি তো সেই পায়রা হতে চেয়েছিলাম,
যে প্রেমিকার সব চিঠি, চোখের জল পৌঁছে দিত জেলখানায়;
মৃত্যুর অপেক্ষায় থাকা কোনো প্রেমিকের কাছে।


তোমার ভালোবাসা হতে চাইনি কোনোদিন।
বরং দু চারটা গুঁড়ো মেঘ হতাম যদি,
তাহলে টুপ টাপ করে ভিজিয়ে দিতাম সব প্রিয়জনের চিতা;
নিভিয়ে দিতাম সব দাবানলের কান্না।


তোমার দুঃখ, অসুখ কোনোটাই হতে চাইনি আমি।
আমি তো শীতের কোনো দমকা ঝড় হতে চেয়েছি,
যে সব অভিমানী দরজা, জানালা ভেঙে ধুলো ঝড়ে মিশে যায়;
ছাদে শুকোতে দেওয়া ভাঙ্গা দাম্পত্যের গল্পে জ্বর নামে,
প্রবল শীতে আঁকড়ে ধরে আর একটা বুক, আর একটা জীবন।


বিশ্বাস করো, তোমার ক্ষোভ, ঘৃণা কোনোদিন হতে চাইনি আমি।
বরং রোজ মনে প্রাণে সে কৃষ্ণচুড়া হতে চেয়েছি,
যে দেওয়াল, পাঁচিলের ওপারে শ্রদ্ধায় পাপড়ি ঝরাতো;
যে কাঁটাতারের ওপাশের কবরে ছায়া ফেলতো, মায়া বিলাতো।


তোমার প্রেমিক হতে চাইনি কোনোদিনও, ভালোবাসাও না।
শুধু লুকিয়ে ও খোপায় গোলাপ রেখে যেতে চাই রোজ,
তুমি অনুভবে বুঝে নিও যা কিছু অব্যক্ত অথচ জন্মদাগের থেকেও স্পষ্ট।
ভালোবাসা তোমায় দেখাতে পারিনি কোনোদিনই;
পৃথিবীর সব থেকে সুন্দর জিনিসটাই যে চোখে দেখা যায় না।