নীলিমায় যেন আমরা দুজনা প্রেমময়,
খুব মনে পরে বছর ছয়েক আগের কথা –
বিরাটির গ্রীন-ভ্যালিতে বিয়ের নিমন্ত্রণ,
আমি আকাশ রঙা জামায় ওঁর জন্য প্রস্তুত
নীলগগন থেকে যেন নীলাম্বরী হয়ে এল ও,
যদিও রাজীবের সহচরী হয়ে, তখন বুঝিনি,
পরিচিত বাকীরা যেন কী এক মিল খুঁজছিল
আমাদের মনের রঙে, কারণে, অকারণে;
মনটা আমার ভরে গেল নীলিমার বন্ধনে
নৈশভোজে আমার পাশে নিশিগন্ধা হয়ে
ভালোবাসার সৌরভে ভরিয়ে দিল আমায়;
গরলের নীল রঙ ক্রমশ ঘনীভূত হয়ে উঠল,
ওঁর স্বামী এল সারথি হয়ে, পথে হল দেখা,
তার পরেই নেমে এল অত্যাচারের বিভীষিখা,
বাড়ির কিছু আগে নিষুতি রাতে বিজন পথে
ওঁর গলা টিপে ধরলো চলন্ত রিকশায় ,
ছিটকে গিয়ে কোনোক্রমে দৌড় দিল বাঁচার,
গলায় নখের ক্ষত, ভীষণ যন্ত্রনা অবিরত,
পরকীয়ার নিশান হয়ে উঠল ফুটে,
অত্যাচারের চিহ্ন স্পষ্ট ডাক্তারের চোখে, কিন্তু
সংসার-ধন্দ সামাজিক যন্ত্রনায় রইল বেঁচে,
বলল ডাক্তারবাবু , নিজের নখে ছড়ে গেছে,
গরলের নীল,  অমৃত হল ওঁর নীলকণ্ঠে ।
======================


সিতু
বুধবার, 27 ফেব্রুয়ারী 2013, 1.33 পুর্বাহ্ন