আমি চরমপন্থি কবি। পুরো নাম সৈয়দ জাহেদ হোসেন। বাবা মা টুটুল বলেই ডাকেন। আমার জন্ম ২১ ফেব্রুয়ারি। বড় হয়ে ডাক্তার হব, মা বাবার এমন কোন স্বপ্নই ছিল। মা বাবার স্বপ্ন কর্মজীবনে রূপ দিতে পারিনি। জাতী সংঘে কর্মরত থাকাকালীন সময়ে ইংল্যান্ডে পড়তে আসা। আমার ছিল অন্য রকম দুঃসাহসিক স্বপ্ন। কবি হব, সাংবাদিক হব। খুব পড়তাম একসময়, এখনো পড়ি। মুখস্থ করার মত কোন বিষয় নয়। জানার মত কিংবা মনের ক্ষুধা মেটানোর মত। একাডেমিক বই বলতে বাংলা একাডেমীর বই। আমি পাঠ্য পুস্তক ঘৃণা করি। পত্রিকার সাহিত্য সাময়িকী, রবীন্দ্রনাথ,শরৎ চন্দ্র,সুকান্ত, হুমায়ুন আহমেদ, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, বিভূতিভূষন, হুমায়ূন আজাদ, শহীদ কাদরী, সৈয়দ শামসুল হক, আহমদ ছফা, শামসুর রাহমান, নির্মলেন্দু গুন, আবু হাসান শাহরিয়ার, শামিম আজাদ সহ হাল আমলের মনিরা কায়েস, আহমদ মোস্তফা কামাল, সাইদ হাসান দারা, টোকন ঠাকুর,সহ আরো অনেকের লেখা । আপনারা হয়ত আমার এসব খেয়ালিপনা কথা শুনে এক তিল ছাড় না দিয়ে উপহাস করবেন হয়ত বলতে পারেন আঁতেল। আমি একা এবং খুব খুব সাধারণ মানুষ। এইটুকু পরিচিতি দিতে পারি। অন্যরা তা পারেনা বলেই এতে আমার অহংকার কম নয়। প্রকৃতি বড় ভালবাসি। সমুদ্র পাহাড় আমাকে খুব টানে। সমুদ্রের রঙ্গিন পাথরের প্রতি আমার খুব লোভ। বই আমার নেশা । সত্য কথা বলতে ভয় নেই আমার। চরমপন্থি কবি হয়ে উঠার ইতিহাসটা অনেক ব্যাপক। আমি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে, তবে চেতনা ব্যবসায়ী, ধর্ম ব্যবসায়ী, মৌ্লবাদের বিপক্ষে। চেতনা ব্যবসায়ী দের কারনে দেশে ফিরতে পারিনা। তাই জীবনের কাছে আমি পরাজিত। আমি প্রচন্ড আবেগী মানুষ। ভালোবাসার ক্ষেত্রে আমি এক চরমপন্থি প্রেমিক। যাকে ভালোবাসি, তাঁকে এখনো ভালোবেসে যাচ্ছি। নাছোড় বান্দা বলতে যা বুঝাই। একদিনের বাঙ্গালী সেজে পান্তা ইলিশ খাওয়ার মানুষ আমি নই। তবে আমি ১০০ ভাগ খাঁটি দেশপ্রেমিক বাঙ্গালী। আমার রক্তের গ্রুপের নাম কাব্য। তাই কবিতা আমার রক্তে মিশে আছে। কবিতা আমার নেশা। ছন্দে আমি মাতাল হই। আমার এই মাতলামির কিছু ভাগ আপনাদের দেওয়ার জন্য কবিতা লিখা। জীবনের তাগিদে পড়ে আছি প্রবাসে। বলতে পারেন খোলা জেলে বন্ধি কবি। আমার প্রথম কাব্যগ্রন্থ নির্বাক আত্মসমর্পণ, দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ চন্দ্রব্যথা। ইংলিশ হেরিটেইজ এর উপর আমার গভেশনা গ্রন্থ প্রকাশের পথে।