(এক)
সমস্ত শরীরে তোমার কোলাহল গেছে মিশে,
ত্রিমাত্রিক নিশিতে অভিলাষী জ্যোৎস্নায় কিছু চাই,
দিতে পারো নির্ঘুম দুটো শিকারি চোখ,
কিংবা গোপন কর আমার কিছুটা নিঃশ্বাস।
আরও দিতে পারো সন্ধায় গোধূলি মাখা নিপীড়ন।


আমাদের সারাটি দিনরাত্রি ভেঙে ভেঙে
মিলনের শেষে ক্লান্ত জলবিন্দু আবারো অপেক্ষায়,
শান্ত বাতাসে নিশ্বাস নিয়ে ভাষাহীন ছন্দে,
ওরা খেলতে শিখে গেছে তোমার আমার ছায়ায়।


তোমার আমার করতল ছুঁয়ে বিশ্বাসী প্রলয়,
কাঁকন বাজে কতোটা তপ্ত সুখে!
প্রেম চিনতে চিনতে বর্ষণ ফুরাবে ব্যস্ত আকাশের নিচে,
অন্তরের মোহন বাঁশিতে গন্তব্যহীন সুর,
সতীর্থ স্রোত জেগেছে আজ উত্তাল তৃষ্ণার্ত বুকে।


(দুই)
এই ভাবে প্রেম যাবে আর কতোকাল,
আর কতটুকু হলে পরিপূর্ণ জীবন?
মিথ্যে নয়, ওগো মিথ্যে নয়,
তোমার হরিণ চোখে নেমে এসেছে জ্যোৎস্না
চাঁদের পরাজয়ে বেসামাল নিশ্চুপ ঠোঁটের কোণ।


(তিন)
এতোদিন একা একা খেলেছি পরাজিত প্রেম,
কঠিন পাথর শুনিয়েছে লাল নীল সন্ধ্যার গল্প,
তোমার গান বুকে নিয়ে একলা ফিরেছি কতোদিন!
ধূপের মেলায় পার করেছি সোনালী একলা প্রহর।


আমার বেলা অবেলায় যতটা এলোমেলো পথ,
যেতে যেতে নিভে গেল অস্তপারের সন্ধ্যাতারা,
সূর্য ডোবার গোপন বিরহে কেঁদে উঠে করাল দুপুর,
রাষ্ট্র জেনেছে নির্মমতায়, নাগরিক স্তব্ধে নির্বাক শহর।