প্রতিবাদ করতে পারলাম না। না, পারলাম না, যখন
আমার সাত বছরের মেয়ে এসে আমাকে জানালো
রিতিমত হন্তদন্ত হয়ে সে ছুটে এসেছিল আমার কাছে
সে জানে, বাবা এসব সহ্য করতে পারে না আর
প্রতিবাদ করে, তাই।
বাবা, দেখ ওই ছোট্ট বাচ্চাগুলাকে দিয়ে ভারী ভারী ভাঙ্গা চুরা তোলাচ্ছে
চাইতে হলো কবিতার আসর ফেলে, তিন বছর থেকে ছয় বছরের বাচ্চাগুলো
পুষ্টিহীন ক্ষীণ,
এ কী! দুধের শিশুগুলি বাড়ি ভাঙা এটা ওটা ফেলে দেওয়া
কত কষ্টে টেনে টেনে
এনে দিচ্ছে ওদের বাবার হাতে আর
ওদের বাবা সেগুলি রিক্সা ভ্যানে লোড করছে।
দু চোখে ধারা বয়ে গেল কিন্তু
প্রতিবাদ করতে পারলাম
না।
মেয়েকে বললাম, ওরা এগুলি বিক্রী করে কিছু টাকা পাবে
আর কিছু খেতে পাবে।
কী জানি কী ভেবে চলে গেল আমার
আদরের ছোট
মেয়ে।