"আজি এ বৈশাখে"


বৈশাখী; নাহি আজি, নাহি আজি হৃদয়ের প্রাঙ্গণে
শত ফুলে গুঞ্জনে কোকিলের কুহুতানে
মাধবীর লতা সনে, সুললিত গীত গানে;
মুখরিত।


মৃদু শাখে হিল্লোলে, কল্লোলে হিলে দুলে, স্পন্দন;
দিকে দিকে আজাহারি শতধায় কলুষিত বেদনা ও ক্রন্দন।
শঙ্কার তলে প্রাণ নাহি গাহে আসমান; দীপ্তি ও প্রভা জ্বালে,
মুখরিত নাহি প্রাণ মূর্ছিত হয় তান; পরাভূত
রাজ তলে।
আঁখি জলে বন্যায় দিকে দিকে কান্নায়, দুঃখ;
করোনার থাবা তলে রুধিত সে বাক গলে
উদ্যত ফণা তুলে, দিকে দিকে-
দিকে হায়!
রক্ষ।


বিনাশের ধ্বনি তালে বহ্নির শিখা তোলে; দুরাচারী কংস
শত কত কশাঘাতে দম্ভ ও দ্বেষে মেতে, পরিণয়ে ধ্বংস।
ব্যভিচারে দুরাচারে দিকে দিকে প্রাণ হরে, লিপ্ত সে কালিমায়;
হিংসা ও কটু গীতে শত ঘাতে ভিতে ভিতে
অরাজকে অন্যায়।  


নাহি নাহি নাহি সয় হলাহলে ধরা বায়, অগণিত পাপ রাশি
পাশবিক হীনতায়, হতাশা ও ক্রোধে হায়!  জাগিলো সে পশুপতি।
আজি তারি বিধানেতে প্রলয়ের গানে মেতে, উদ্যত কণারাজি;
ক্রুরতার প্রশমনে, হানিতেছে বিষ বাণে; মমতা ও
স্নেহ ত্যাজি।


এসো সবে গাহি তার ই, হিংসা ও দ্বেষ হরি, মানবতা কিনারেতে,
এক ধারা একই প্রাণ, গাহিতে সে জয়োগান; নির্মোহ
প্রাণে মেতে।  


(বি।দ্রঃ দুরাচারী কংস এখানে মানুষকে আর পশুপতি পরম পিতা কে বোঝানো হয়েছে)