“লহু”
রাজেস হত্যার প্রতিবাদে লেখা


যায় না রমণ দমন পীড়ন অস্ত্র হাতে প্রাণটি নিলে,
বিক্ষোভ আর জমায়েতে-ও ভায়, তুমি
রক্ত নিলে।
রক্তের বীজ তীব্র গতি হাওয়ার বেগে বয়,
হাজার প্রাণ উঠতে জেগে-মানবতার
দায়।
লক্ষ রাজেস উঠবে জেগে মুষ্টি ভরি প্রাণ,
বিপ্লবেতে সুর মেলাতে-গাইতে
দ্রোহের গান।
মার কাট ভায় করতে যদি শাসক শোষক যন্ত্র মিলে,
রইতে সেদিন আর দূরে নেই
বইতে লহু আকাশ
নীলে।


"লাভেসা"


তুমি আমার সুখ দুঃখ-স্বপ্ন সুখের সারি
আসুক তুফান আসুক না ঝড় পরবে না সই দারি।
ভ্রান্তিবিলাস আর অভিলাস
যুগ কালে সই তোমার দাস,
তোমার তরে শৃঙ্গ পাহার দিতেই রে সই পাড়ি।


“ধনী”
(এক লাইনের কবিতা)


ধন ধনী বানায় জ্ঞানী বানায় না।  


“পরকীয়া”


টাকার টান
না রুজি রোজগার
তো পরকীয়া।


“মেকি”


চূন খেয়ে মুখপোড়া-দই দেখলে ভয় পায়,
দোষ আর দেব, কী তাদের-বলবো
কী আর হায়!
লুটাপুটির ময়দানেতে ষষ্টি পূজা হয় নাকি!
জগৎ ভরা বিষের বীণে-দশ মানেতে
সবই মেকি।
আরে দাদা, মেকাপ মারা মাঞ্জা দেওয়া চিকনা সফেদ শাড়ি,
গোল্ডেন হার গলায় ঝোলে-ঘর চড়ে না
হাঁড়ি।
দাদা, ও দাদা, দাদা রে দাদা! সবই মেকি, ছল ছলনার বুলি,
আর ললনা ঘরের গাই-পরকীয়ার ওই
ঝুলি।
ঝুলি রে দাদা ঝুলি, ঝুলতে রই ঝপর ঝপর-ওই যমুনার ঘর,
আসলি পেলেও নকলি বলি-সবাই দাদা
পর।