(পূর্ব ঘোষণা খেকে সরে মন্তব্যের ঘর খোলাই রাখলাম, নাহলে এত লেখা পাঠ করে কে কতটা বিরক্ত হলো-জানব কী করে)


“স্বপ্ন”


কত স্বপ্ন-কত স্বপ্ন;
কল্পলোকের ভাব দরিয়ায়-ডানায় মিলে ওড়ে,
ঝন ঝন ঝন ভাঙছে কত-তোমার আমার
দোরে। তোমার আমার দোরে।
কত স্বপ্ন-কত স্বপ্ন;
ভানুস ভাসাই দীপ্ত রবে-মঙ্গল দ্বীপ জ্বালি,
সপ্ত সুখে মাখতে রে মন-
সাজাই বরণ ডালি। সাজাই বরণডালি।
কত স্বপ্ন-কত স্বপ্ন;
সুপ্ত সে রয় সুস্থিতে মন-গুপ্ত মনের বায়ে,
বায় দখিনায় যায় রে ভেসে
তপন আলোছায়ে। তপন আলোছায়ে।
দীন দুখীনি মায়ের আঁচল-লাঘব করিবার,
আর বাসনা মন যে পুষি-
পশ্চিমে দেই পাড়।
নাই সে রবি তপ্ত ধরা-শুধুই হারাবার,
দুঃখ দুয়ার রব সে তোলে
ভব সে পারাবার।
কত স্বপ্ন-কত স্বপ্ন;
কল্পলোকের ভাব দরিয়ায়-ডানায় মিলে ওড়ে,
ঝন ঝন ঝন ভাঙছে কত-তোমার আমার
দোরে। তোমার আমার দোরে।
তোমার আমার দোরে।


“জীর্ণতা”


বাপ ঠাকুরদা কবেই গেছে এখন আমার পালা
কোমর ব্যথা দাঁতে ব্যথা বুঝেন কেমন ঠ্যলা!
পঞ্চাশ পাড় দুবছর
এর মধ্যেই টানা হ্যচোর,
মারছে সটান বুকের মাঝে, জীর্ণতারই দোলা।


“অভিনয়”


দুই দিনের এই জিন্দেগীতে বিষয় আসয় থাকতে সুখে
ভাবতে রাজা মহারাজা ছোরা ভোকাই দশের বুকে,
ছলা কলা মগজ ভরা
বাইরে টা ভাই সবুজ ধরা,
অভিনয়ের আঙ্গিনাতে, বেশ ভাল ভাই আছি সুখে।


“প্রেম নদী”


হায় রে হায় কয় কী'রে শুন রে শুন বুলবুলি
কেউ ফাঁসি দেয় কেউ'বা পাগল, করিস না আর ছুলবুলি!
আর না যাই ওই পালেতে
প্রেম নদী তার গিরিখাতে,
থাকব সুখে মন্দিরে ওই, হরে কৃষ্ণ বোল তুলি।


হায় রে হায় কী কয়, শুনছ কী বুলবুল,
তোর ল্যাঙেতে হৃদয় আমার
ভাঙব না রে যতই
দুল।
প্রেমে ছ্যাকা খাইয়া কবি চিবাইতেছে ঘাস,
অন্ধ আমার চোখ দু'টা কী
শুকব তোর ঐ
বাস।
নাহ বাব্বা! রইতে সময় সিটকে সরে পরি,
ভাঙব না হৃদয় আমার-
লাগব না জল-
পরী।


“কাঁটা”


ইলিশ মাছ বাংলাদেশের আসছে না আর ইন্ডিয়ায়
রুই কাতলা ভেটকী পোনা-ইলিশ মাছে কাঁটা-হায়,
আঙুর ফল ধরলে ভাল
না পেলে ভাই মনটি কালো,
বুঝতে কেনে দিব কত্তা-করব কেন হায় হায়!


“পাপ”


দোষ দেবেনা তাইলে কী চুমু দিবে বাপ
ছোট্ট থেকে বড় করে-পাইল সে কাল সাপ!
ভিটে মাটি ভূঁই ছাড়া
করল তারে হতচ্ছাড়া,
তুই ও বাপ বুড়া হ'বি-বুঝবি ঠ্যালা কত পাপ।


“গোঁড়ামি”


বিজ্ঞান ছাড়া আজ এক মু্হুর্ত কল্পনা করা যায় না,
সুই থেকে ভূঁই দিন রাত্তির-মর্টিন ছাড়া
বাগ মানেনা।
ব্যাবসা চালু মোবাইলেতে-ভালোবাসায় ফেসবুক,
ডাইনে বামে উপর নিচে-কম্পিউটারে
টিকিট বুক।
ভোটাভুটির ময়দানেতে ই ভি এমে বোতাম টেপা,
সফটওয়ার বাজির চালে-মারছে দই
গুপি ন্যাপা।
খাদ্য খাবার ফুড প্রসেসিং কারখানাতে তৈরি হয়,
কেমিক্যালের রসায়নে-হচ্ছে সবার
শরীর ক্ষয়।
বাটনা বাটা কে আর বাটে ঝক্কি তো আর কম নাই,
মশলা গুড়া প্যাকেট ভরা-ভেজাল মারা
খাচ্ছে তাই।
রোগ বাহারীর রঙ্গ যত নিত্য নব ঔষুধেতে,
পেট কাটতে হয় না রে ভাই-অপারেশান
লেজার রে'তে।
মঙ্গল চাঁদ হাতের মুঠোয় আর রব'না এই ভবেতে,
সৌরজগৎ দেখব ঘুরে-চলেই যাব
মঙ্গলেতে।
পুরুত মশাই মন্ত্র পড়, দিনটা শুভ দেখে দাও,
ইতস্তত কর কেনে-যা চাবে তা
দেব ভাও।
তার মানে মানুষ কোনও দিনও এ গোঁড়ামি ছাড়তে পারবেনা।


“বড়বাবু”


বড় বাবুর ধমক ধামক আর কেরানী জেরবার
চূন থেকে পান খসল যদি দফায় দফায় দরবার,
ভয় ভয়েতে সবাই কাবু
এই না হলে বড় বাবু!
মার খেল সে দারুন সেদিন, সেই দিল সেই জায়া তার।


“নারী”


নারী শারীরিক ভাবে দুর্বল তাই কী পুরুষ জাতি
শক্তি প্রদান নাই সম্মান-করলি রে তুই বজ্জাতি!
জন্ম তোর ওই এই ধরাতে
নারীর গোদ কোল তলেতে,
ভাবিস কী'রে মা বোন তোর-দান দিবি তুই খয়রাতী!