(পূজোর মুখে কাজে চাপে সবার লেখায় যেতে পারছি না তবে আজ অনেক রাত অবধি লেখা পাঠ করব-মনস্থির করেছি)
"নিঝুম রাতে খোকার লড়াই"
বাল্যকালের লেখা।
(বানান যেমন ছিল তেমনই লিখলাম, পরে সম্পাদনা করে দেব)
যখন সবাই নিঝুম জগৎ মাঝে
হীরের কণা লক্ষ তারার সাজে,
জুল জুল জুল তাকিয়ে আছে ঐ
চাঁদ দেখবে কাছে ডাকবে খোকন সোনা কই?
খোকনসোনা বই পড়েছে
ভীম পালোয়ান বড়,
খালিহাতে বাঘ মেরেছে
সোনা ভয়েই জরসর।
খোকন সোনার ইচ্ছে বড়
ভীম পালোয়ান হবে,
খালি হাতে মারবে যে বাঘ
বলবে সবাই খোকার কথা-সম্মানেতে রবে।
সকাল ও বিকালে তাই
নিত্য মুগুর ভাজে,
ভুল করেও যায় না খোকা
অন্য কোনও কাজে।
এখন খোকা করছে লড়াই
খালি হাতে বাঘের সাথে-নয়কো বড়াই।
বাঘের পেটে মারলো খুশি ঘারটি ধরে চেপে,
এক ঘুশিতে নাক ফাঁটালো
উঠলো যে বাঘ কেঁপে।
এমনি করেই চলছে লড়াই বহু-বহুক্ষণ
জীততে হবেই ভাবছে খোকা-জেদ ধরেছে মন।
হটাৎ বাঘ শয্যা নিল শূন্যে দিয়ে লম্ফ,
কান্না শুনে জেগেছে সবাই-শরীর দিল কম্প।
দাঁত কটমট করছে খোকা ভীষন জোরে,
হাত ছুঁড়ছে পা ছুঁড়ছে বিছানাতে পরে।
বোন শুয়েছে খোকার পাশে-
এখন কিলিয়ে কাঁঠাল পাকা,
নাক ফেঁটেছে, দাঁত পরেছে-
খোকা জাগনা পেয়ে বোকা।