"দুজ্ঞা মাতা-১"


দুজ্ঞামাতা রূপ কী সাজ! ডাকের অঙ্গশোভা
পথঘাটেতে দুজ্ঞা আর এক
মলিনতার আভা।
দুজ্ঞামাতা দোলায় চড়েন বল সিংহ বাহনেতে
পথঘাটেতে দুজ্ঞা আর এক
রিক্ত রহে বসনেতে।
দুজ্ঞামাতা দোল দোলুনি মন্ত্র পুরুত আড়ম্বর
পথঘাটেতে দুজ্ঞা আর এক-পথঘাটই
তার ঘরবার।
দুজ্ঞামাতা অসুর বধেন মাটির গড়া মূর্তিতে
পথঘাটেতে দুজ্ঞা আর এক-কাহিল
বাবুর ফুর্তিতে।
দুজ্ঞামাতা জয় জয়োগান প্যান্ডেলেতে জলসাতে
পথঘাটেতে দুজ্ঞা আর এক; রয় যে দাদা
পাত পেতে।
দুজ্ঞামাতা সেলাম তোমায়, বিচার এবার চাই যে আমি
পথঘাটে দাও দৃষ্টি তোমার-চাই যে আমি
অন্তর্যামী।


"দুজ্ঞা মাতা-২"


কবি কত্তা।
দুঃখে আমার-পরান ওঠে কাঁদিয়া,
দিন দুনিয়া নাই যে ভালো,
মিষ্টি পোলাও বুঁদিয়া।
খুদ কণা নাই আহার বিহার দুজ্ঞা মাতা আসে,
ধনী ধনের বাহার ছোটায়-
শূভ্র নীলাকাশে।
কাশের বনে মাতাল হাওয়া সরোজ সরোবরে,
কাল্লু মিঁয়া দুখের বোঝা-নাই ভাত
তার ঘরে।
ঘর ঘরামি হার কাঁপানি সবুজ সতেজ বুলি,
দুঃখে যে তার হৃদয় কাঁদে,
শুনতে ব্রজবুলি।
মাতা আসে অসুর নাসে, লক্ষী গণেশ গোবর্ধন,
সরস্বতী বাজায় বীণা -কার্তিকেয়
নিবেদন।
পথে পথে দুজ্ঞা কাঁদে কেউ দেখেনা চোখে,
আমি আবার কোন সে হোতা-
ভাবতে ওদের দুখে।