দিন দুই খুবই ব্যাস্ত, সবার কবিতায় যেতে পারছিনা আর তাই গতকাল আমার কবিতাও প্রকাশ দি নাই। তবে আজ একটা কবিতা দিয়েই রবিবাসরটা বাদ দিলাম না।


"সঞ্জীবনী"


নাই রে পূঁথি নাই সে জ্ঞান লিখতে আমি ভালো,
তবুও জগৎ চষতে পারি, জ্বালতে
জ্ঞানের আলো।
সেই গরিমা দিলেন দ্বাতা জন্ম দিলেন যিনি,
তাই তো ডানা আকাশ মিলি
লিখতে সঞ্জীবনী।
আকাশ কালো মেখ করেছে সূর্যি গেছে পাটে,
ঝড়াল বাতাস বাইছে গাঙে
গর্জনেতে মাতে।
মনটি আমার হারিয়ে ফেলি লিখতে চলি কলি,
রূপ বাহারী রঙ্গ গুলাব-তাদের পিছেই
চলি।
সঙ্গোপনে মনের কোনে জমলে অনেক ব্যথা,
পথের দিশায় ভবসাগরে, হারিয়ে গেলে
কথা;
হৃদসাগরে কান্না ঝরে শান্তি রহিত প্রাণ,
মিলতে পাখা করুণ রাগে-মন করে
আনচান।
হারিয়ে গিয়ে কালস্রোতেতে লিখতে চলি কলি,
দুচোখ নয়ন হাপুস ধারায়-কবিতাতেই
বলি।
আর দখিনা বাতাস যখন মন্দ বেগে বয়,
কুঁহু তানে কোকিল সুরে-শাখ শাখেতে
গায়;
উদাস কলি আকাশ মাতি হৃদ ধরে তান সুর,
অবাক চোখে চাই যে ধরা-মন করে
গুর গুর।
লিখতে চলি ভাবনাগুলি বাগদেবীরই অর্চনাতে,
মন ভুলে যাই শতেক ব্যথা-কাব্যগাথায়
মনটি মাতে।
ফুটতে কলি বাগ বাগিচায় অবাক চেয়ে রই,
বিস্ময়েতে ভাব ধরে মন-গুঞ্জনে প্রাণ
বই।
প্রেম বায়ুতে ভাসতে থাকি সুখেরে নীড়ের গড়,
ভাবতে রে সই দুঃখ কেন? হতেই
সড়গড়।
বিষয় আসয় ভোগ মানেতে লিপ্ত আপন সবে,
আমায় কেমন দিলেন দ্বাতা-ভিক্ষু সম
সাজে।
হীরের কণা স্বর্ণ রেণু দেয় না মোরে সুখ,
যেদিক তাকাই আর্ত সে রব
দীন দুখীরই দুখ।
ধুক ধুক প্রাণ জিয়ন যেন মিথ্যা প্রবঞ্চনা,
লিখতে রই রক্ত মসি-আর দেবে দি
প্রার্থনা।