"যাত্রী"


নতুন প্রভাত নব্য রঙে রাঙিয়ে আবির জলে
রহিম চাচা ডিঙি লয়ে হল্লা সে বোল তোলে।
সাত সাঙ্গারা চ্যালা প্যালা ভিড় সে দারুন ভারি
নট নটবর লয়ে ডিঙায় দেয় সে নদী পাড়ি।


ঝুট ঝামেলা কথার ফেরে ডিঙি-রমরমে
হাত হাতারি হাতাহাতি সবাই থমথমে,
রহিম চাচা বৃদ্ধ অতি বুঝায় বাপু থামো
অনেক হ'লো এপার এলো, ডিঙি থেমে নামো।


নামানামি গতরখানি বাপু অনেক মোটা
অতই সোজা নামতে পারা হোদল কুতের ব্যাটা,
সে গরিমা আর দিনেতে উপাখ্যানে ক'ব
আজ যে দিন খারাপ যাবে রহিম চাচা ডুবো।


এপাক হেলে ও পাক গেলে তিন মোনেরই বোঝা
চলতে কেমন বুঝলে বাপু নয়কো অতই সোজা।
তিন হাত ভুরি ডগর ডগর পা গুলি ভাই থাম
রহিম চাচার আধা ডিঙা তার লেখা ভাই নাম।


ক্যান হবেনা বিবাদ ব'ল আর লোকেতে যাবে কই
ভাড়া তো ভায় একই দিবে বলছো কেনে মানতে সই।
দব দবানি রব বাণীতে রহিম চাচার তপ্ত ডিঙি
তারস্বরে ঝগড়া ঝাটি বলছে সবাই মানবে নি!


সাত সকালে বাদ্যি সানাই অজয় কাঁদে রবে
এমন তরো আজ উঠালে যাত্রী তোমার ভবে!
মন কোরোনা রহিম চাচা খারাপ আজি থাক
করবে কী আর আজ মানুষে নাই যে রাখঢাক।