"মোঃ মমিনুল ইসলাম"
নিঃসঙ্গ কবিতা, বলছো না কেন, নিশ্চুপ, কোন কথা!
নয় কথামালা নীল, ঢেউয়ের নাচে, ঊর্মির অঙ্গীকার
তীরবিদ্ধ গতিতে, শানিত বিপুল, হাহাকার অধিকার;
নিঃসঙ্গ সাদা, উড়ন্ত চিলে, জগতের নীলিমায়
কবিতায় অর্পিত, অর্ঘ্য ফোঁটায়, অস্তের সীমানায়ঃ
নিস্তব্ধতা চুপ্, পুণ্যভূমির, বাইতুল্লাহ্ মাক্দিমে
তুষারপাতের, পুষ্পিত ফুল, অশানিত কাশ্মীরে;
কবিতা তোমার, এই কি ছিলো, কাব্যের অঙ্গীকার!
কবিতা আমি, বলে গেছি কত, বিবৃতির বারিধারা
লিখেছি কত, আনাড়ি কলমে, লিফলেট্ আনকোরা;
এই কবিতা কেন, বলছো না কথা, যুদ্ধের হাতিয়ার
বিকট নিনাদে, গর্জে উঠে, রক্তিম ম্যাসাকার;
কেন নীরব তুমি, শেখ মুজিবের, রক্তে রাঙা খুন
দেশদ্রোহীর, তীক্ষ্ণ নখর, নিষিদ্ধ লাল্ শকুন;
কবিতা তোমার, নিশ্চুপ কেন, অবরুদ্ধ কথায়, কবি!
বলছ না কেন, আকাল গ্রাসে, দুর্বৃত্তায়নের বেশে
সাবাড় করে, জনতার জমি, খাদ্য দানা অবশেষে;
নিশ্চুপ কবি, নিশ্চল তুমি, ঘুমিয়েছো অচেতন
এখনো কোথায়, খুঁজে বের কর, জনতার প্রিয়জন;
নির্ঘুম চোখে সুগন্ধি চুলে, হারিয়েছিলে জুলিয়েট
নাঙ্গা শিশুর, অন্তিম গানে, ইট কংকর কার্পেট
রেশমি চুলেই বুঝি হারিয়ে গিয়েছে, জিন্স প্যান্ট শর্ট ভেলভেট
ব্যবসা বাণিজ্য, চাকুরীর খোঁজে, মোবাইলে ইন্টারনেট;
হায়! কবিতা আমাদের, জাগ্রত কর, আলোকিত অঙ্গীকার
দুঃশাসিত ভূমি, করাল গ্রাসে, সুন্দরবন সাবাড়;
করো উত্থিত করো, তপ্ত মিছিলে, বলে যাও আর চলবে না
নিষিদ্ধ পদ ভারে, জাগ্রত কর, বাংলাদেশের ই ঠিকানা;
নিশ্চুপ হয়ে গেছি আর পারছিনা, আর কোনো কথা বলবনা
কবিতা তুমি, শুধুই কবিতা, একাকার নিঃসঙ্গতা।
"সঞ্জয় কর্মকার"
.
লিপ্ত যেথায় লোহিত বরণ যুদ্ধ যেথায় বোল
অস্ত্র যেথায় তড়িৎ বাড়ি কান্না যেথায় রোল।
দীপ্তি যেথায় কুহেলিকায় অন্ধ যেথায় ক্ষণ
ভূষণ যেথায় অগ্নি স্বরূপ ব্যথায় অনুক্ষণ।
.
রুধির ধারায় সাদায় কালোয় রক্ত জবার লালি
পল পল দিন স্তব্ধ কথায় নিমেষ সদাই মেলি।
ঐশী ধারায় নাইকো ধরায় বিহঙ্গের ওই গান
ফুল সে কোমল দলিত আজি আর্তনাদের বান।
.
স্থবির নদেয় নাই কো স্রোতের দীপ্তি কোমল শোভা
নৈশতার ওই নাশকতায় স্তিমিত আলোক প্রভা।
গাইতে নারি সইতে নারি লিখতে নারি আজ
তাই তো কলি নাই সে অরুণ আলোক শোভার সাজ।