দুদিন হলো আলিপুরদূয়ারে। এই দুই দিনে দেশ দরিদ্রতা, শিক্ষা ব্যবস্থা ও বেকারত্ব সমস্যার সমাধানে হোটেলে শুয়ে বসে সারাক্ষণ চিন্তা ভাবনা করে গেছি। যেসব ভাবনার উদয় হয়েছে তা একটি কাফেতে বসে প্রকাশ করবার প্রয়াস মাত্র। কবিতা না বলে এ লেখাকে একটি ভাবনা বলেই ভাবতে অনুরোধ করছি।


আমি প্রধানমন্ত্রী হলে-২ য়


গত লেখায় শিক্ষা ও চাকরির নিয়ম নীতি নিয়ে প্রকাশ দিয়েছিলাম
আর আজ সর্বশিক্ষা ও বেকারত্ব সমাধান প্রধানমন্ত্রী হলে কিভাবে করবো
তা নিয়ে আলোচনা করবো।
গত লেখায় বলেছিলাম সরকারি স্কুলে পড়াশোনা না করলে
সরকারি চাকরি নট আজ নটবর বলছি
দেশের সমস্ত পরিবারের সমস্ত ছেলেমেয়েকে ছয় বছর বয়সে
স্কুলে ভর্তি করা বাধ্যতামূলক করা হবে।
যে সকল পরিবারের সরকারি স্কুলের সামান্য ফিস দেবার ক্ষমতা নেই
তাদের জন্য দেশে সমস্ত শহরে কয়েক হেক্টর জমি নিয়ে স্কুল খোলা হবে।
নাম তপোবন। সেটা হবে রেসিডেন্সিয়াল স্কুল।
এখানে বাচ্চার সমস্ত দায়িত্ব সরকারের।
প্রতিটি তপোবন স্বয়ং সম্পূর্ণ হবে।
প্রতিটি তপোবনে কৃষি থেকে বিভিন্ন প্রকল্প চালু হবে।
একটি রাইস মিল, একটি ফ্লাউয়ার মিল, অয়েল মিল রইবে।
মৎস চাষ প্রকল্প, গোটারি ও গোশালা রইবে।
আর রইবে তপোবন বাণিজ্য সেন্টার।
তপোবনের রিকয়ারমেন্ট পূরণ হবার পর বাকি প্রোডাক্ট এখান থেকেই
বিক্রি করা হবে। লাভের টাকার যতটুকু পরুয়াদের জন্য খরচ
করবার পর বাঁচবে তা চলে যাবে তপোনিধি প্রকল্পে।
তপোনিধি হলো অন্য একটি প্রকল্প যেখানে
শিক্ষান্তে যে সকল ছাত্র ছাত্রী ব্যাবসা করতে চাইবে
তাদের থেকে মুচলেকা নেওয়া হবে তারা কখনই সরকারি চাকরি
চাইবেন না। তাদের প্রত্যেক কে স্বনির্ভর হবার জন্য দশ লক্ষ টাকা
দেওয়া হবে। তাদের সার্টিফিকেটে তপোনিধি সিল দেওয়া হবে।
আবেদন করবার তিন দিনের মধ্যে তাদের নামে চেক ইস্যু করা
বাধ্যতামূলক করা হবে। কোন রকম ভ্রষ্টাচার সহ্য করা হবে না।
প্রধানমন্ত্রী একটি অভিযোগ প্রোটাল চালু করবেন।
কোনও অফিসারের এগেইস্টে অভিযোগ জমা হলে প্রথমবার
তাকে সতর্ক করা হবে তারপর এভাবেই দশটি অভিযোগ দায়ের হলে
সরাসরি বরখাস্ত করা হবে তাকে।
এভাবে দেশে পাঁচ বছরের মধ্যেই বেকার সমস্যা তলানিতে এসে ঠেকবে। দেশে দরিদ্র বলে আর কেউ রইবে না দশ বছরে।
ভারত মাতা কি জয়, জয় হিন্দ , বন্দেমাতরম।