“রসো রসো”


তারা দিগম্বর আমি মাতব্বর, হাঃ হাঃ হাঃ, কী যে কন পয়ম্বর,
জীবন তো কালি ভূষি-ডাল কচু
সম্বর।
কালে কালে যুগে যুগে হাল কত বাইয়া,
আমি তুমি এরা তারা, ছোট বড়
ভাইয়া।
কানে কথা তুলি নাই, যমরাজ ভুলি নাই,
ভুরি ভুরি মিছে কথা, অলি গলি
জ্যোছনাই।
আলো তারা তাই দেখি, আকাশেতে চোখ পাতি,
হর্ষ ও বিষাদেতে, হাসি খুশি রাশি
রাশি।
রাশ টানা জানি না কারো কথা মানি না,
চোখ কান গুলি মারি, নাই কোন
বেদনা।
তুমি কবি হাল চাষো আমড়া কী ছাল চোষো,
ডানা মিলে উড়বই, কথা কই রসো
রসো।


“শোরগোল” (ট্রায়োলেট কাব্যগাথা)


বাজিয়ে বেণু হটাৎ কানু বাঁধিয়ে দিল গোল
উঠলো যে শোর বৃন্দাবনে দারুন শোরগোল।
ঝুমুর ঝুমুর পায়েল রাধা কানুয় দিছে দোল
বাজিয়ে বেণু হটাৎ কানু বাঁধিয়ে দিল গোল।
গোল্লাছুটের ময়দানেতে নগরবাসী বাজায় ঢোল
কানু রাধার মিলন মেলায় গাইতে সবাই হরিবোল।
বাজিয়ে বেণু হটাৎ কানু বাঁধিয়ে দিল গোল
উঠলো যে শোর বৃন্দাবনে দারুন শোরগোল।


সেই গোলেতে বৃন্দাবলে লাগলো খুশির ছোঁয়া
হরিবোলে খোল করতাল ফুটলো ধুনির ধোঁয়া।
আর বাতাসা নকুলদানা সের কী পোয়া পোয়া
সেই গোলেতে বৃন্দাবনে লাগলো খুশির ছোঁয়া।
প্রেম যমুনায় ভাসতে কানু বুনলো প্রেমের রোয়া
সেই থেকে মন ডাকে সবার প্রেমের পিছে ধাওয়া।
সেই গোলেতে বৃন্দাবলে লাগলো খুশির ছোঁয়া
হরিবোলে খোল করতাল ফুটলো ধুনির ধোঁয়া।