আরাধন


বেদনার ইতিহাসে কত শত নাম লেখা; কিনারাতে
সিক্ত সে রুধিরেতে পারি নাই ডুব দিতে; হলাহল
বিষে গড়া ধরণীতে, পারি নাই টেনে নিতে,
দুখ যেথা বাসরেতে কেঁদে যায়
মদিরাতে।
হতাশার বায়ে ঘেরা ভবঘুরে জীব ওরা; অভুক্ত
নাই কোনও অধিকার দেখে নাই সরকার
কি বা জল বায়ু কিবা; জীবনেতে
দরকার।
রিক্ততা ডানা মেলা হাহাকারে প্রাণ কাড়া; শৈশব
দিনে রাতে ঘুরে ফিরে, সারমেয় যেথা ভিড়ে; অন্ন;
নাই ঘৃণা নাই দুখ জঠেরেতে মিলে মুখ
অবসন্ন।
আমি কবি ব্যথা পাই ঈশ্বরে তাই কই; দিতে ধন
অবসানে দৈন্যতা হৃদয়ের কতকথা;
যেই ধনে পূজা হবে গরিবের;
উপাসনা আরাধন।


ধ্বংস


দুখের জলে হৃদয় দোলে ব্যথায় ভরে প্রাণ
দু হাত কপোল অশ্রু বারি হয় না
নিরসন।
এই পৃথিবী দত্যি দানো হিংস্র নখর দাঁত
দাপিয়ে ঘোরে চৌদিকেতে রাত কি বা
দিন প্রাত।
মিষ্টি সোনা মানিক রতন হারিয়ে কতই যায়
হায় মেদিনী অবাক ধরা দুঃখ
কতই হায়!
রুক্ষ ভূমে পাষাণ শিলা হৃদয় কেনই নাই
হায় রে কানু তোর মহলে সুখ আছে
কি ছাই!
ধন্য কানু গড়লি মানব কোন সে বিধায় তোর
গরল বায়ে ভরলি হৃদয় রুদ্ধ যে তোর
দোর।
তোর দোরেতে শুধুই মূরত মাটির ঢেলাই তুই
পারলে কানু ধ্বংস রে কর হাহাকারেই
কই।