(কবিতাটি আসরের প্রিয় কবি জে আর এগ্নেস মহাশয়ার প্রতি নিবেদিত)


মেঘের ভেলায় উড়ছে আকাশ
শারদ প্রাতের শুভ্র কাশে;
সুঘ্রাণ ধরা সন্ধ্যা সকাল
শিউলি বেলির হলকা
বাসে।


মন উড়ে যায় সুরের তানে
আগমনীর ঢাকের তালে;
ধ্যান কুরা কুর বাজছে মাদল
মন্ডবেতে ঢাকির
গলে।


বাজিয়ে বেণু খোকা খুকির
নতুন জামা জুতোর সাজ;
দুঃখ আমার হৃদ সাগরে
দেখেই দীন দুঃখী
আজ।


যাদের কিছুই নাই গো আজি
নোংরা কাপড় সজল চোখ;
যাদের থেকে অনেক অনেক
দূরেই থাকে সকল
লোক।


তাই পারি নাই মাত তে ধরা
আগমনীর সুরের ঘোর;
দুর্গা মাতা চাইছি ক্ষমা
ব্যর্থ প্রণয় শারদ
তোর।


"পূজা"
(লেখাটি আসরের প্রিয় কবি ঝুমুর বিশ্বাস মহাশয়ার প্রতি নিবেদিত)


মাটির গড়া মূর্তি খানি তার কী বিবেক আছেই দয়া
হোক না সে দশভূজা; কিংবা কালি মহা-
মায়া।
তাই প্রণিধান চিন্তনে মন বিধান কিছুই মানতে নারি
বিকার ধরা সমাজ বিধায়, আপন বলেই মুঠোয়
ধরি।
অসুর যারা এই সমাজের রক্ত লহুর খেল খেলে
আছাড় মারি দাবড়ে তাদের, হাতের কাছে মুঠোয়
পেলে।
ভ্রষ্টাচারের জঢ় জালেতে কুঠার তুলে আছড়ে মারি
চিন্ময়ী মা ঘরেই আমার, দিব্য তার ঐ পূজা
করি।