"বেদনার বালুচরে"


কত দুখ কত ব্যথা , বয়ে চলে অবিরত
ঝড় জলে তুফানেতে কাঁদে লোকে কত শত!
জীবনের খেলাঘরে
দোরে দোরে দোরে দোরে,
বেদনার বালুচরে বারে বারে বারে বারে; রুধিরেতে ধরা ক্ষতো।


"হায় রে বেচারা!"


আমি তো ভায় স্বপ্ন দেখি ডানা কাটা পরী
থেকে থেকেই দু গাল চুমি জড়িয়ে তারে ধরি।
স্বপন তো বেশ মিষ্টি রয়
তার হতে দুখ সৃষ্টি হয়,
টুটলে সে নীদ হটাত করে খাটের থেকে পড়ি।


"তারার দেশে"


আমার বাবা থাকতো দূরে মিলিটারির বেশে
লিখত চিঠি পেতাম মোরা অনেক ভালোবেসে;
আসত পিওন আনতো টাকা
সে সব স্মৃতি হৃদয় মাখা,
আজ যে তিনি নাই তো মাঝে, হারিয়ে তারার দেশে।


"পেইন্টার"


সীতা হার লাগি জায়া গালি দেয় এন্তার
হরিহর কোথা ধন! সে তো ধসা পেইন্টার।
সাম থেকে সুবা তক
বউ করে বক বক,
শেষমেষ দড়ি গলে দিল ভাই প্রাণ তার।


"তৎপর"


মনটা যে উড়ো উড়ো কিছু ভালো লাগে না রে
হাঁদা হয়ে বসে রই দূরে রেখে কবিতারে।
নিজেরেই গালে দেই
রামশাই থাপ্পর,
কি জানি কি কিযে হবে, ভাবতেই তৎপর।


সংযোজনঃ-


"ফাঁসি"


ভাঙা দাঁতেই শহীদ ভূতে ছোবল দিল তাকে
পিসির নিশি স্বপন ভাঙে চিল চিল্লান হাঁকে;
হাঁকের নাদে
একটু বাদে
হার্টের নাড়ি ছিঁড়লো পিসির পুড়ায় এলাম তাকে।


মামলা হলো সমন গেল শ ম শহীদ দোষী
পিসির ছেলে ক্যাবলা বলে দিতেই হবে ফাঁসি।
তার কবিতার ভূতেই নাকি
টাইনে নিছে পরাণ পাখি,
রাস্তা মানে ধর্ণা দিল গলায় নিয়ে রশি।