“বেশ হয়েছে”


বেশ হয়েছে করোনাতে; পুলক জাগে মনে
মায়ের স্নেহের খাবার খেলাম; শিহরণই
প্রাণে।
সেই প্রসাদে ভালোবাসার গড় ছিল আজ ধরা
লিখতে গিয়ে চোখের জলই; কপোল আজি
ভরা।
তাই করোনা ধন্য তুমি করছি তোমায় গড়
তোমার দানে ধন্য আমি; তোমায়
করজোড়।


আসলে আমি বছর ছয়েক হলো দিন রাতে হোটেলের খাবার খেয়ে থাকি। আজ তো করোনার জন্য সব কিছুই বন্ধ। দু একজন বন্ধু তাদের বাড়িতে আমন্ত্রণ করেছিল তবে অনুষ্ঠান বাড়ির আমন্ত্রণ রক্ষা করা ছাড়া আমি কারোর বাড়িতে খাই না। আসলে মন করে না তাই তাদের না করে দিয়েছিলাম। আর কেউ আমার কথা চিন্তা না করলেও আমার মা কিন্তু আমার চেম্বারে খাবার দিয়ে গেছে। তাই ভাবছি করোনা আজ আমার জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ যেন।
(আজ রাতেও সে প্রসাদ পেয়েছি আর পরম তৃপ্তিতে গ্রোগ্রাসে গিলেছি তা)


(বাংলার বিপ্লবী শহীদ প্রিয় সূর্যসেনের শুভ জন্মদিনে আমার শ্রদ্ধার্ঘ্য, তার প্রতি নিবেদিত)


“নমস্কার”


শীর্ণ দেহী কালুর মাঝে শক্তি সমারোহ
হৃদয় ছিল সিংহ সম অমর তাহার
দ্রোহ।
বিক্রম তার সূর্য সম, তিনি; অনল সম তেজে
বাজের ছোবল হানতে আঘাত ব্রিটিশেরই
রাজে।  
পরাক্রমী দামাল ছেলে বাংলা মায়ের সান
জন্মদিনে তোমার আমি গাইছি প্রেমের
গান।
মরণ তোমার হয় নি জেনো হৃদয় তোমার গড়
বীর বাঙালি মাস্টার দা, তোমায়
নমস্কার।


(বি;দ্রঃ মাস্টার দা শীর্ণ দেহী ছিলেন আর তার ডাক নাম ছিল কালু)