"ভীমরতি"


কেষ্টা বেটা হতচ্ছাড়া পরকালে নাই গা মতি
খাইতে রহিস চাইতে রহিস এমুন তরা ভীমরতি!
পাপ পুণ্যি তার কাছে ভাই এক সে কড়ির দুইটা পিঠ
বুক চাপরে কেষ্টা বলে যেইটা করি সেটাই ঠিক।
বাপের বেটা কেউকেটা; তার কাছে ভাই নস্যি জেনো
তার মত ভাই ছলের মানুষ আর দুনিয়ায় নেই হেন।
কথায় তার ঐ লাগাম ছাড়ায় ছল চাতুরির আঁতুর ঘর
ঝোপ বুঝে কোপ মারতে পটু আপন কিবা আস্ত পর।
সুদের ট্যাহায় তার সে বাড়ি মহল তার ঐ আকাশ উঁচু
ছাল চামড়া দামড়া বানান গরিব যারা কেষ্টা বেচু।
ভাব খানা তার রাজার রাজা আকাশ পানেই উড়তে রন
কেবল ভোটের সময় এলেই ফুল ঝুড়ি তার কথার বান।
যখন যে দল দাবড়া দিল সেই দলের ই টিকিট তিনি
পয়সা দিয়ে কাম না হলে গুণ্ডা রাজে ছাপ বিকিনি।
জালসাজি তার রুধবে কে আর! উপর নিচে সবই এক ই
জন গনের গুষ্টি মারে সারমেয় সব বরদি খাঁকি।
উপর বালা গুণতে ছিলেন কড়া নজর হাতের পাঁচ
উপচে গেল সেই যখনি দিলেন তিনি মস্ত প্যাঁচ।
প্যাঁচ প্যাচানীর গল্প গাথা ছড়িয়ে দিলেন বিশ্বময়
এমন যত কেষ্টা বেটা মেরেই দিবেন সত সময়।
কেষ্টা ছিলেন হাওয়াই পথে চিনের রাজার হাত ধরে
হটাৎ কাত হলেন তিনি করোনাতে পা পড়ে।
পাঁপর ভাজা এখন তিনি সরকারি ঐ লাশের মাঝে
বুঝলে ভায়া দেমাগ করে সাজবে না কেউ; অমন সাঁজে।


"রামুর ছোড়া "


রামুর ছোড়া হোতকা মোটা জলহস্তির বাপ
কেমন করে কেমন করে এমন ফ্যাটের গ্রাফ।
চিন্তামণি কাকা বলেন ফাস্টো কেলাস বটে
দিন রাত্তির ঘরে বসেই, ছোড়া; দুনিয়াটাকে ঘাটে।
ঘাটের মরা মরলো কেন! রোগ না খুনের কেস
টিকটিকের ওই পাখনা মিলে জ্বালায় বাতি বেশ।
রামুর সে কি গর্ব ও ভায় তার ছাওয়ালের গুণে
পাড়ায় পাড়ায় চর্চা তার ঐ পোলার গানই শুনে।
তার ছাওয়ালের পা পড়ে না মাটির ঠিকানায়
ঘর কুণো সে যায় না কোথাও মোবাইলেই রয়।
জাঙ্ক ফুডের ভক্ত ছোড়া রাঁধেন বাড়েন মায়ে
হরেক দিনে হরেক রকম খাওয়ান তিনি ছায়ে।
ফি দিনেতে স্কুল এতে মোটর যানেই যায়
যাইতে আতি খানিক মোটুক মুক্ত হাওয়া খায়।
রহিস সহিস তার ঐ ছাওয়াল তিন মোনের ই বাড়া
চার হাত লাগে বইতে শুতে হইতে গেলে খাড়া।


সেদিন হটাত হট্টগোলে ইইলো রে ভায় কি রে!
জটলা কেনে রাস্তা মানে মোটুক ভায়েই ঘিরে।
শীতল দেহ শ্বাস পড়ে না বেজান তার ঐ দেহ
ফ্যাট জমে হার্ট ফেল হয়েছে বলছে কেহ কেহ।
তোমরা কি ভায় মোটু সোটু হইতে চাও বলো
মাঠ ময়দান সব ভুলে ভাই মোটুর মতই চলো।