বিদ্রোহী লেখা, হোয়াট আ কান্ট্রি
- সঞ্জয় কর্মকার
(আমার লেখা মানবিকতাবাদী লেখা, "দু মুঠো ভাত", কবিতার আমার করা ইংরেজি অনুবাদ)


“What an amazing country"


Where thousands and lakhs of proletarian are  
Wandering at the streets for alms of food;
They have no shelters of their own and lives on the roads;
How could such a country
Could think to won the space
Mars and moon!


Here, I can hear the cry of these people in all direction
They are so poor and neglected and deprived one
The country is doing none but
Spending a lot, to bear the load of
Space organization.


What an amazing country it is! ;
The division of caste and creed are huge here
They are fighting each other.
Tears are flowing like flood
In that war of blood.
And the proletarians are shouting in pain
For food a grain.
Evils are dominating the society
Depression engulfs upon equality.
And there are no peace and
Tranquility.


No one wants to ride the moon
They want to have the food.
If you can give an alms of it
And a little roof to live
Upon their head.
If you can, give them a little clothing
For you which is old and
Faded.


(অনুবাদিত মূল লেখাটি)
মানবিকতাবাদী লেখা, "দু মুঠো ভাত"
- সঞ্জয় কর্মকার


(যে দেশের লোকে না খেয়ে মরে, সে দেশের অধিকার নাই চন্দ্র আর মঙ্গল মিশনে হাজার নিযুত কোটি ডলার খরচ করবার। এ আমার প্রতিবাদ যদিও দেশের ভাবনায় ভাবুক লোকেরা তা স্বীকার করে না। আমি মনে করি দেশের অগ্রগতি তখনই সম্ভব যখন দেশের সব লোকেই সুখে স্বচ্ছন্দে থাকতে পারবে।)


দুটি ভাত লাগি পথে পথে ঘুরে-সর্বহারার দল
সেই দেশের ঐ সোনার জাহাজ চন্দ্রেতে
মঙ্গল।
ছাত লাগি এক আকাশ রোদন-চতুর্দিকেই শুনি
সেই দেশের ঐ ছত্র তলে ইসরোর বিজ্ঞানী।
দুটি ভাত, দুটি ভাত লাগি; চতুর্দিকেই
শুনি।
জন মনে দেশ, ভাবনা সে তল-প্রদীপের নিচে ধায়
দিকে দিকে পাপ পিচাশ হানায়; শোষণ আর
বঞ্চনায়।
দিশা হীন দেশ; জাত ও জাতি-কান্নায় প্রাণ ভরে
দুটি ভাত ও রুজি রুটি নাই-সীমাহীন
হাহাকারে।
দুটি ভাত , দুটি ভাত, দুটি ভাতের তরে।
চৌদিকে দেখি রাবণের রাজ বিষন্নতাই
ঘরে।
দুটি ভাত দুটি ভাত লাগি-জাত কাঙালেরা আজি চায়
পাষাণ পতিত; রাজ-নেতা দল-ঢল যে তার ঐ
বয়।
চাঁদের দেশেতে আঁখি পাতি আজ; কেহই নাহিকো দ্বারে
দুটি ভাত আজ ছাতের সে তল-যদি পার দেহ
তারে।
দুটি ভাত , দুটি ভাত ও রুটি; পারিলে দিও সে;
রোদনের দ্বারে
দ্বারে।


“অযাচিত দান” (সনেট)


আজিকে জাগিল হৃদ পুলকেতে মন
বোন আর ভাই এর প্রেমের কাহিনী
অমর রচিত ধারা প্রেমের বন্ধন;
ফোঁটাতে ভালেতে বহে অমৃতের বাণী।
যমের দুয়ারে কাঁটা দিয়েছে বোনেতে
পুলকিত হৃদে জাগে দুরন্ত উচ্ছ্বাস
বিজয়ী হতেই তারে জীবনো রণেতে;
সুবাসেতে বহে ধারা প্রেমের সে বাস।


হৃদয়ত প্রেম সেই গড়িতে ভূবন
স্বপ্নের তরীতে ভাসি সুরো ধ্বনি সনে;
ভালোবেসে দেয় ফোঁটা গড়িতে জীবন
শত ঘাত দূরীভূত জীবনের গানে।


অমৃত বহে ধারা করুনা অপার
স্নেহ আর মমতার অযাচিত দান।


“হুতাসন”(সনেট)


তরু লতা কাঁদে আজি আকাশ বাতাস
হুতাসনে বায়ু বহে রোদনেতে মন
দিকে দিকে লহু বহে বেদনার বাস
ছলনা ও কপটতা আঁচে গন গন।
দেশে দেশে হিংসার জাতি দ্রোহ দ্বেষ
মারামারি কাটাকাটি ছলনার রেষ
জননী ও কাঁদে জায়া হিংসা বিদ্বেষ।
হায়েনার বেশ ধারি লক লকে বেশ।


শকুনের চাহনিতে কাঁদে ধরা আজি
নদী খাতে লহু বহে পলায়নে জাতি
দেশ হতে দেশে ঘুরে দিকে দিকে কাজি
কুটিলতা হুংকার করিছে বজ্জাতি।


মানবের জাতি নাই মানবতা অতি
ভুলে গিয়ে দেশে দিকে কাঁদে প্রাণ আজি।


“বিধান”


সবাই জুদি এক বরাবার; শ্রমের কাজ করতো নাতো
শূন্য ধরা আকাশ তলে বিজন কানন বন ই র'তো।
তাই ভগবান দিলেন বিধান
এমনতর করেন নিধান,
কেউ কেউ রয় মহল গড়ে, শ্রমিক হৃদয় হাজার ক্ষতো।


“নালচে কালশিটে”


হ্যা কত্তা, হেইডা ভালো বুদ্ধিখানি খাশা,
রসায় খাবেন খই এর সাথে
দই এর ভাঁড়
রসা।
রসিক জামাই জ্যান্ত ঘাগু; হে জ্যান না পায় ট্যার;
চিল্লায় মাত করবে পাড়া
ভাইঙ্গে দিবেই
ঘার।
আইজ কাল দিন; ঘোড়েল হুনেন বস্তা বাঁধেন পিঠে;
নইলে হুনেন পুড়বে কপাল
নালচে কাল-
শিটে।


“বিয়ে”


কইতে কী চান আপনি রাজা
ঠ্যাং ধরে দি টান;
বলছি আজি হলফ করে
ভাঙ বো দুই
ঠ্যাং।
ঠ্যাঙ এর জোরে কাব্যে উড়ে
বাজনা বাজাস ওরে!
দেখবি কানা হুলো বেড়াল
তোর ঐ ঘরের
দোরে।
ল্যাজটি তোর ঐ লম্বা দেখি
বাজাস ঢোলক তাসি;
শুন রে ভায়া এসব পুরান,  
অনেক দিনের
বাঁশি।
বংশী বদন উড়ায় ধূলো
দেখতে পারিস নে;
তোরে আজই পিশির সনে
দেবই দে রে
বিয়ে।


"খাস"


দুঃখে আমার পরাণ কবি ভাইস্যা গেল জলে
এমুন ধনের কথায় যারা, তারা সবাই
জেলে।
জাল ফেলে মাছ ধরেন তারা মাগুর মাছের চাড়া
আজ বুঝেছি তারা সবাই, কেউটে
হতচ্ছাড়া।
চলুন আজি সে গড় জিতি মন্ত্রী সিপাই যারা
ওদের পিছে পড়তে হবেই, যারা
হতচ্ছাড়া।
দশ জুদি চায় পলক লহর, নিমেষেতেই কাত
দুঃখ এটাই কেউ না হালে, করেই
প্রতিবাদ!
অস্থি আর মজ্জাতে ওই বজ্জাতের ই বাস
ক্যামনে সিধে হবেই বলুন, হবেই
ধরা খাস!


“ভাগো”


বোবা কালা
কানে তালা,
বকে ম্যালা
দূর ছাই;
পথে পথে
মাঠে ঘাটে
দিনে রাতে
লেখে ভাই।
মাথা মুন্ডু
খায় গান্ডু
ভুরি ভুরি
মেরে তুড়ি,
কবিতাই;
দূরে ভাগো
ওরে মাগো
জোরে জোরে
দু পা মুড়ে
ভাগো ভাই।