"বিষের ঠিকানা"


মে দিবসের লেখা, শ্রমিকের দুঃখের ইতিহাস। লক ডাউন হলো অথচ বিজ্ঞজনেরা কেউ চিন্তা করলো না পরিযায়ী শ্রমিকদের কথা যারা দিন আনে দিন খায়। অনাহার ক্লিষ্ট কতজন মারা গেল, সুইসাইড করবার খবরও এসেছে। যুগ যুগ ধরে শ্রমিকেরা অবহেলিত। আজও....................।


দিন কেটে যায় মাস ও প্রহর কমছে নাতো রোগের বহর
ক্ষুদ কণা নাই বাচ্চা কাঁদে দাও না এনে
একটু জহর।
বাপ তো তাহার পর ভূমেতে কামলা সে জন খাটে
সপ্তা গেলে পেমেন্ট পেলে
দুখ ছিল না বটে।
বটের সে ছায় আর যে না রয় দূর সে দেশ ভূমি
রুদ্ধ যে কাম কেমন দিবে পয়সা বলো তুমি।
আজ কে দুদিন দু দানা ভাত বাবুর পেটে নাই
পরাণ ফাটে দুখ বেদনায়, বলো;
কেমন করে সই।
তার চেয়ে দিদি বলতে পারো বিষের ঠিকানা
সহ্য না হয় বাবুর সে ভুখ, না বোন
রইতে বোলো না।


সংযোজনাঃ-(৭/২৬ মিনিট)


"বেড়ালের গলায় ঘন্টি বাঁধবে কে!"


মধ্যবিত্ত শ্রেণী দুদিন না খেয়ে থাকলেও হাত পাততে পারে না কারো কাছে।
অনেক মধ্যবিত্ত মানুষের ই ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স বলতে
কিছুই থাকে না বা থাকলেও যৎসামান্য।
লক ডাউন এদের কাছে অভিশাপ।
দান ক্ষয়রাত না দিতে পারলেও এই দুর্দিনে সরকারের উচিত
সহজ শর্তে ২৫-৫০ হাজার টাকার দীর্ঘমেয়াদী ব্যাঙ্ক ঋণের ব্যবস্থা করে দেওয়া যাতে
লক ডাউনের তিন চার মাসের যে সকল দায়বদ্ধতা
(ইলেকট্রিক বিল, জলের বিল, বাচ্চাদের স্কুল বাস ফিস,
এডমিশন ফিস, বই খাতা, বাড়ি ভাড়া, টিউশন ফিস)
এগুলি সহজেই মিটিয়ে ফেলতে পারে।
পরবর্তী পাঁচ বছরে না হয় ইন্টারেস্ট সহকারে ঋণ
অল্প অল্প করে শোধ দিয়ে দিবে।
এতে তো সরকারের লস নাই।
কথা হলো, বেড়ালের গলায় ঘন্টি
বাঁধবে কে !