(আজ বাহির শহর থেকে রাত সারে এগারোটার পর এসে আসরে প্রবেশ করে যেমন হোটেলে খেতে যেতে ভুলে গেছি, তেমনি রাত ১২ টা বেজে গেলেও আসরে প্রকাশ দিতে ভুলে গেছি, আসলে লেখা দুটি এখনই লেখা আর সেখানেই মগ্ন ছিলাম, তাই। অস্বাভাবিক কিছু নয়)


বন্দে মাতরম
(লেখাটি প্রিয় কবি হিমাংশু আচার্য মহাশয়ের প্রতি উৎসর্গীকৃত)


বন্দে মাতরম।
সুখদাং বরদাং মাতরম।
বন্দে মাতরম।
হিতকায় জনতায় পূবে রবি ভাসিনীং
সুহাস্য লাবন্যে দশ দিশা মাতিনীং,
সুহাসিনীং।
সুখো সদা ভাবনাতে কল কল অবিচল
নানা মতে নানা ভেদে একতার বাহুবল,
নাহি ছল।
দশভূজা মাতৃত্বে জ্যোতি প্রভা দ্যুতিময়
ভাতৃত্ত্ব আহবানে , সুখো ধারা
সদা বয়।
জয়ো মাতা হাসি গীতে
সহস্র সঙ্গীতে; মাতা তুমি বন্দি
নিমীলিত আঁখিপাতে পদতলে সন্ধি;
মাতরম।
সুখদাং বরদাং মাতরম।
বন্দে মাতরম।


"অভাজন"


কাল কাল আর যুগ যুগেতে
ন্যাপায় মারে দই;
বজ্র আঁটুন ফস্কা গেড়ো
বাটা ল্যাটা কই।


আর শিমুলে ভষ্ম শুধুই
হাওয়ায় চলে উড়ে;
উটের কুঁজের তলায় চেপে
ঝান্ডা হাতে ঘুরে।


শাল তমাল আর মেহেগুনী
জ্বলছে আমাজনে;
চিল চিল্লায় কী আর হবে
ভাবেন অভাজনে!