(দিন তিন চার আগের লেখা, অন্য কবিতার ভিড়ে প্রকাশ দিতে পারি নাই। আজ সারাদিন কাজে বাহির শহর থেকে এক্ষুনি ফিরলাম। তাই, কোনও সিরিয়াস লেখা প্রকাশ না দিয়ে রম্য টাই দিলাম)


শোন রে বুল আজও এমন ১০ টা থেকেই লাইট নাই
হচ্ছি বরিং ভীষণ রকম বালাই ষাট আয় না ভাই।
হতাশ চোখে রাস্তামানে এদিক ওদিক ঘুরছি বে
কাজ তো ছিলই বাহির শহর, যাই নি ভাই বলছি রে।
তোর কি আর, ফুর্তি মনে শিস বাজিয়ে ঘুরিস শুধু!
চোখ দুটো খুব ঘুরতে থাকে, খুঁজতে থাকিস শুধুই মধু।
আমি আবার শান্ত খোকা একটুকু ভায় দুষ্টু নই
তাই বলে কি অমন করে,  শিস বাজাবি হেসেই তুই।
বুঝবি কি রে হেঁসেল হাঁড়ি সামাল দিয়ে চলতে হয়
পকেট খানা শূন্য হলে থেকে থেকেই জায়ার ভয়।
তুই কি আর বুঝবি সোনা, সাদি বিহার জগৎ কালো
তোর তো নাই ওই দেশেতে; তাই তো এত থাকিস ভালো।
লাফাস কেনে শিস বাজিয়ে আজকে হেথায় শূন্য বে
হলেও হতে পারে বোধ হয়; ছুটির সময় আসিস রে।
তার ওপরে বাচ্চাগুলান ক্যামন করে কয় রে কথা!
দিদিমুনি বোধহয় রে বুল, মোবাইলে মজেই হেথা।
বুল রে তুই দিস না শিস, মনটা আমার এমনি কালা
চক্ষু যুগল শূন্য আজি, নীল পরী নাই বড়ণ ডালা।
হ্যা রে বুল একটা দুটা জ্বলজ্বলিয়ে হচ্ছে জড়ো
ছুটির সময় হচ্ছে বুঝি চক্ষু যুগল হলোই বড়ো।
আর না বুল এখন অনেক; কাজ আছে রে বলছি ভাই
আসলে তুই ও আসতে পারিস, শিস বাজিয়ে লাফিয়ে তাই।