বেদনার ইতিহাসে লেখা কত, শত প্রাণ
মলিনতা গায় যেথা বেদনার ধরা গান।
স্বপ্নের ঢল নাই নাই কিছু চাওয়া পাওয়া
ভাগাড়ের খাবারেতে জীবনের পাল বওয়া।
কেহ কভু চাহে নাকো ধরণীর ওই কোণে
যেথা জরা হাহাকারে দুঃখের জাল বোনে;
বিষমতা বিষ ঢালা গরলের রাশি রাশি
জঠরের তারণায় খায় তারা পচা বাসি।
ধনী জনে ধন গড়ে লুণ্ঠিত করে হিয়া
মর্মর হৃদে তারা মুছে দেয় প্রাণো দীয়া।
রুক্ষ সে প্রান্তরে কাটা ঝরে দিনে রাতে
শিশু কচি ভক্ষনে ভাগাড়ের পানে হাঁটে।
সারমেয় সনে তারা একাসনে পথে বসি
ধারা বয় হৃদয়েতে দেখে দুখ রাশি রাশি।
আমি কবি কপচাই অঙ্কনে রেখা তার ই
রকমারি ঝকমারি উলু বনে সারি সারি!
("আমি কবি কপচাই অঙ্কনে রেখা তার ই
রকমারি ঝকমারি উলু বনে সারি সারি!"
এমন সব মানুষ জনের কথা লিখবার সময় আজকাল হীনমন্যতায় ভুগি আমি। এ অনুভূতিকে আমার এমন বলে মনে হয় যে রাস্তায় কেউ রক্তাক্ত হয়ে পরে আছে দূর্ঘটনায় আর তাকে সহায়তা না করে সবাই সেলফি ভিডিও করাতেই ব্যস্ত। তেমনই যেন আমি তাদের জন্য কিছুই না করে কেবলমাত্র কলমের নিপের ডগা দিয়ে ভিডিও করে যাচ্ছি সাদায় কালোয়। নিজেকে বড় অমানবিক মনে হয়। ব্যক্তিগত ক্ষুদ্র উদ্যোগে যা কিছু করে থাকি তা নিতান্তই নগণ্য, উপেক্ষণীয়। চাই সমুদায় প্রয়াস। তেমন কিছু উদ্যোগ নিতে চাই সর্বদা কিন্তু সাড়া পাই খুবই কম। পরম কৃপাময় ঈশ্বর আল্লাহর কাছে তাই আমার আর্জি যে আপনি আমাকে তেমন শক্তি দিন যাতে তাদের জন্য আমি অনেক কিছু করতে পারবো। সক্ষম হবো তাদেরকে এই পঙ্ক থেকে টেনে তুলতে)