"অবতার"


নাচে গানে সুললিত ধরা আজি ফরমানে
দম ফেলে সবে দাদা গাজা আর মদ কেনে।
লম্বা সে লাইনেতে মার মার কাট কাট
সুরা তার বগলেতে গাদাগাদি
লাট বাট।


কে বলে গো এই দেশে খানা নাকি সন্দ!
দেখে এসো দিকে দিকে মদিরার গন্ধ।
চাল ডাল চিনি তেল সবেতেই মন্দা
সুরার ওই আপণেতে নীল
মণি ধান্দা।


ধান বাকি চাল থুরি বুড়া বুড়ি মন্দিরে
ঘরে ঘরে লোকাচারে নানা নানা ফন্দি রে।
রেশনের ডিলারেতে চাল বাটে চূচূরায়
গদি তার বালিশেতে সুবাসেতে
ধন বায়।


গরিবের খাদানেতে সুখ ভারি বাবুদের
সেলফিতে চাঁদা তোলে চাই তার সবুদের।
দেশটা তো ধেড়ে খোকা যাকে তাকে গিলে খায়
গিলেটিনে জুবু থুবু নির্বোধে
সাজা পায়।


যাবে নাকি চান্দু সেই দেশে অবতার
ছিলে খেতে ভাজা করে পায়রা ও
কবুতর।


"দুখী"


যেথা চাই সেথা যাই ডানা ওগো লাগে নাকো
আকাশের দেশে রাজ পথ মাঠ নদী
বাঁক ও।
পারিজাত বাগানেতে উড়ে কত পরী সবে
তারি সাথে জড়াজড়ি করে উড়ি
কলোরবে।
আহাঃ স্বপ্নের দেশে আজি উড়ে  গেনু পাখ মিলে
স্বর্গের সুরা পানে ইন্দ্রের
মহফিলে।
অপ্সরা ডানা মিলে নাচে গানে রই রই
বড় দুখ মনে ভায় ঘুম ভেঙে
দুখী হই।


"টোপলা"


মানুষ গুলি বানর মুখো বোঁচকা বাঁধে চোখে মুখে
তাড়া খেয়েই দিন দুপুরে বন্ধ ঘরে অনেক দুখে।
চল চামেলি গল্প মেলি
ত্রাণের চালে ঠেলাঠেলি,
ল্যাং মেরে ব্যাং গাঙ্গু তেলি; টোপলা ভরে মনের সুখে।


"চাঁদের হাট"


যদি আমি অগাধ ধনের মালিক হতাম
সারা দুনিয়ার সর্বহারার সব চাহিদা মিটিয়ে দিতাম
তাদের মানুষের মত মানুষ করে
আকাশের চাঁদ মাটিতে নামিয়ে এনে পৃথিবীতে
চাঁদের হাট বসাতাম।