কবি , কবিতা ও সমাজকে ঘিরে একটি পরিকল্পনা। একক উদ্যোগে যত সামান্য পারি, সমাজের জন্য করে যাই। করবার ইচ্ছে থাকে অনেক কিন্তু নিজস্ব ক্ষুদ্র ক্ষমতার গণ্ডিতে সে সব জানি কোনও দিন ও করে উঠতে পারবো না। এই কিছু করবার ইচ্ছে থেকেই কবি ও কবিতাকে ঘিরে একটি পরিকল্পনা আমার মাথায় এসেছে যা কিনা বাস্তবায়িত করতে পারলে আমাদের এই ক্ষুদ্র ক্ষমতা নিয়েই আকাশ সম বড় কিছু করতে আমরা সক্ষম হবো। কথায় বলে একের বোঝা দশের লাঠি, ঠিক সেরকম ই। এবারে সরাসরি চলি যাই পরিকল্পনা কথায়।


আমি বা আমাদের গড়া কমিটি প্রতি মাসে একটি করে কবিতার প্রতিযোগিতা আমন্ত্রণ করবো । যে কোনও একটি ভাবনাকে ঘিরে হবে সে লেখার প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতার এন্ট্রি ফি হিসাবে প্রতি কবির কাছ থেকে মাত্র ১০০ টাকা করে নেওয়া হবে। মাননীয় কয়েক জন কবিকে নিয়ে একটি জুরির দল বেছে নেবে প্রথম দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কার প্রাপক লেখাকে। মহামান্য এডমিন মহাশয় থাকবেন সর্বোচ্চ। তিনি তার ইচ্ছে অনুসারে জুরি দের তৈরি করা তালিকাই অনুমোদন করতে পারেন অথবা অন্য যে কোনও কবির লেখা তার ভালো লেগে থাকলে তিনি জুরি দের গড়া তালিকায় রকমফের করতে পারবেন।


এবার চলে আসি পুরস্কার কিভাবে দেওয়া হবে। পুরস্কার দেওয়া হবে নগদ রাশিতে ও মানপত্রে।


কিভাবেঃ  মনে করুন ১০০ জন কবি প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করলো। তাহলে কালেকশন হবে; ১০০ * ১০০ = ১০০০০ (দশ হাজার টাকা)


৭০% মানে ৭০০০ টাকা পুরস্কার প্রাপক কবিদের দেওয়া হবে। মনে করুন, প্রথমঃ ৪০০০/-টাকা, দ্বিতীয়ঃ  ২০০০/- টাকা এবং তৃতীয়ঃ  ১০০০/- টাকা।
৩০% টাকা জমা থাকবে দুঃস্থ মানুষের কল্যাণে। মানে :  ৩০০০/-


(এন্ট্রির সংখ্যা বেশি হলে পুরস্কার মূল্যও সে অনুসারে বেশি হবে)


এই দুঃস্থ মানুষের কল্যাণে বছরে যে টাকা জমা হবে , সেটা ৩৬০০০ টাকাও হতে পারে বা তার অনেক বেশি হতে পারে।


প্রথম প্রথমঃ বছরে শীতের সময় এই টাকা দিয়ে কম্বল ও গরমের জামা কাপড় কিনে সর্বহারা পথের ধারে যারা বসবাস করতে বাধ্য হয়, তাদের মধ্যে বিলি করা হবে।


টাকার রাশি যখন বেশি হবে তখন একবার পূজোর সময় আর একবার শীতে দুবার নতুন বস্ত্র আমরা তাদেরকে বিলি করবো। মাননীয় এডমিন মহাশয় ঘোষণা করবেন  সে সব সময়সূচি তার সময় অনুসারে।


এমন পরিকল্পনা রূপায়নে বিনা পারিশ্রমিকে শ্রম দেবার অঙ্গীকার করে মাননীয় এডমিন ও মান্যবর কবি সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।