(আজ আরও অনেক কবির পাতায় লিখতে ইচ্ছে করছিল কিন্ত লিখি নাই কারন আজ অনেক লেখা হয়ে গেছে। এমনকি প্রতিদিন সন্ধ্যর অভ্যেস যেটা ভিন্ন আঙ্গিকে রবিঠাকুরের একটি লেখা লিখে থাকি তাও ছেড়ে দিয়েছি)


(আসরে পূর্ণ হলো ১১০০ লেখা)


প্রিয় কবি সৌমেন বন্ধ্যোপাধ্যায় (পীযূষ কবি) মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "পথের দাবী" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


শুভ নববর্ষ


এমন আশা নিয়েই শুরু হোক পথচলা-
নতুন বছর।
পূব দিগন্তে উদিত হোক মানবতার লাল সূর্য,
আকাশ বাতাস প্লাবিত হোক ধন মান ধান্যে,
শুভ্র বিবেক উদয় হোক
প্রতি প্রাণে প্রাণে।
শ্বেত শান্তির পতাকা উড্ডিন হোক দিকে দিকে,
যুদ্ধের রণদামামা রুদ্ধ হোক দেশ হতে দেশে,
সাম্রাজ্যবাদের অবসানে শান্তির শ্বেত শুভ্র-
আলোকে ভেসে যাক এ ধরার
প্রত্যেকটি অঞ্চল।
সাম্য একতার বাণী মহিমায় অন্তর হয়ে উঠুক
স্রোতস্বীনি বহমান নদী মতই
প্রবাহমান।
প্রীতি সৌহাদ্যের শান্ত স্নিগ্ধ মোহন রূপে
বসন্ত খেলে যাক প্রতিটি প্রাণে প্রাণে,
জীবন দর্শণ হোক-
সহজ সরল প্রশান্ত অনাবিল।
শুভ নববর্ষ।


প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "সুখী সে টুনটুনি-(বঙ্গ)" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


মুই কি হনু


মুই কি হনু ভাব ধারা রব-রব বাণীতে চলতে ধরা,
হিংসা দ্বেষের চুলকানিতে-রক্তবরণ
অবাক করা।
ফাল্গুনেতে সিঁদুর মেঘে কান্না অনেক রাশি রাশি,
ছল ছলনা রঙ ললনা-আর না সে মেঘ
ভালোবাসি।
দেশ দলেতে বাস্প বিষ-প্রেমের বাণী দিগন্তে,
কপোত সুখের ভাব ধারা নাই
মানবতার খুন
অন্তে।
কোকোনদের দল দলেতে পাংশুটে রঙ শুস্ক কলি,
ঝরতে সে দল রক্ত ঝরে
বেদনারই কথাকলি।
জ্বাল জ্যোছনা আলোক ছড়ায় কান্না দিয়ে যায়,
ছল বলেতে কৌশলেতে-হৃদয়
বয়ে যায়।
মুই কি হনু ভাব ধারা রব-রব বাণীতে চলতে ধরা,
হিংসা দ্বেষের চুলকানিতে-রক্তবরণ
অবাক করা।  


প্রিয় কবি শারমিন শবনম জয়া মহাশয়ার আজ প্রকাশিত "ছোটবেলার বন্ধু" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
(১১০০ তম লেখা)
পরশমনি


ছেলেবেলার বন্ধুত্ব সদা হৃদয়ছোঁয়া,
আগুনের পরশমনি হৃদয়ে
উদার ধরা।
সে কাননে প্রজাপতি ভ্রমর গুঞ্জনে অলি,
নাই নাই নাই কঠিনতা নাই-
গরলতা ধরা
বাণী।
জীবনো সরণি যেথা সারল্যে ভরা গান-
উছলিত কল্লোলে আনন্দ
কলতান।
অলকোনন্দা স্মৃতিরো সৌধ প্রেমের মহল আলিশান,
ব্যথা পাই হৃদ মনে বহু পথ গলি বেয়ে-
কেন কেন কেন! শৈশব
অবসান।
হৃদয় আজিকে তপ্ত লহু বেদনার গীত দিকে,
হিংসা ও বিদ্বেষ বিষাদিত প্রাণ
করুণার সঙ্গীতে।
শঠতা ও ছলনাতে প্রতারণা বহে বায়ু,
আদ্রতা কেড়ে নিতে-শুস্ক সে
জলোবায়ু।
নাই সখা ভবে নাই ক্রোধাগ্নি বয়ে চলে,
কেড়ে নিতে অবনীতে-কৌশলে
ছলে বলে।
ভাবি প্রাণ শৈশব কেন কেড়ে নিতে প্রভু,
ফিরে দাও ফিরে দাও জোড় করে
শৈশব মাগি
প্রভু।


প্রিয় কবি রিঙ্কু রায় (আবৃত্তিকার) মহাশয়ার আজ প্রকাশিত "সুখ শুধু মরীচিকা" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


কুহেলিকা


সুখ সুপ্ত শিখা কুহেলিকা সম অন্বেষণ,
যেজন ত্যাগি মায়া মোহ বন্ধন
প্রপ্তিতে মজে সে সুখেরই
আরাধন।
বিষয়ে আসয়ে মন পার্থিব
জাগতিক সে ধন,
মায়া মোহ বন্ধন বেঁধে লয় মানবেরে
দানিতে ক্রন্দন।
আশারো তরীতে ভাসিতে অন্তর
যাপিত প্রহর কাল,
শূন্য সে গতি ধায় অনন্ত সুখ প্রবাহেতে
যবে ডেকে যায়
মহাকাল।
অনন্ত সে ধারা সদা বহমান
নাই বন্ধন নাই মায়া,
বৃথা কেন রোদনেতে সুখ কামনাতে
জাগতিক পার্থিক
কায়া।
বুব্দুদ সম জীবনেতে কেন বৃথা ক্রন্দন,
ভুলিতে সে মায়া মোহ করি
অনন্ত আরাধন।


প্রিয় কবি কবীর হুমায়ূন মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "কবি হলো পাখি জাতি" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


পাঠশালা


ডানা আছে ডানা নাই উড়ে ঘুড়ে ফিরি তাই,
বাতাসেতে ভেসে ভেসে
আকাশের কাছে ঘেষে-
বোল তালে
কবিতাই।
লহরেতে এঁকেবেকে উঁচু নিচু বহে তাতে,
বাসন্তি রং মিলে কবিতাতে
কবিতাতে।
উল্লাসে গড়াগড়ি মৌতাতে জলপরী,
ভালোবাসা প্রেম গানে গগনেতে
উড়াউড়ি।
কভু আঁখি বরিষণে কবিতার গানে গানে,
শরৎ কি বসন্ত উড়ে চলি
আনমনে।
বিদ্রোহে কভু রব মসি হয়ে গান অসি,
ভেঙ্গে দিতে জাত জ্বালা সামাজিক
বজ্জাতি।
কভু ভক্তিতে কভু শক্তিতে কভু নিরশনে জ্বালা,
পাঁক দিয়ে জ্বাল ধরে কবিতার
পাঠশালা।


আমার লেখা খেয়াল-সপ্তম পর্বে প্রিয় কবি তাপস গুগঠাকুরতা মহাশয়ের কমেন্টের উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


লিখে যান


কলি আসে ভেসে ভেসে বাতাসেতে লহরেতে,
লহমাতে লহমাতে ধরি গান
কবিতাতে।
ঈশ্বরে মেতে রই কবিতাতে কথা কই।
কথা কই কথা কই
কথা কই।
তাল ঠুকি দুই হাতে দুলে দুলে ছন্দেতে,
জোড় করে আঁখি ভাসি-
হৃদ তারি বন্দে তে।
বন্দনা গাহি গান দিতে তিনি মোরে দান,
লেখনীতে লেখনীতে-কবিগান
লিখে যান।


লিখে যান লিখে যান
লিখে যান।


প্রিয় কবি জরীফ উদ্দীন মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "হামরা" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


দামড়া


রে বুলবুল দেখনা বে দারুন রকম কাব্যগাথা,
হেই কবিটা কইছে নাকি-বাহে লোকে
পায়না কাঁথা।
আমার তো ভাই নয়ন ঝরে ঠান্ডা কেন আসে বুল
গরীব লোকে কষ্টে ভাসে কি নিদারুণ
বুলবুল।
শিষ বাজালি ব্যঙ্গ করিস লিখছি তো ভাই রসে বসে
বলিস কি তুই দামড়া আমি লিখতে কবি
ঘষে ঘষে!
একার কি আর সাধ্য রে বুল দিতেই ওদের একটু ওম
শিষ বাজালি লিখবো না আর-আমার অত
নাইরে দম।