রবি ঠাকুরের পর আজ আজ আবার রচিত হলো পুরাতন ভৃত্য নতুন রূপে নতুন আঙ্গিকে।
পুরাতন ভৃত্য


জুরান দিদির পুরান ভৃত্য গাট্টাগোট্টা শরীর তার-
ঠিক তখনি হারিয়ে যায় যখন ভীষণ রকম দরকার।
যখন ফেরে একহাত খায় লম্বা অনেক গালি-
তবুও হাসি যায়না মুখে-সরল সিধা বুলি।
সোনা রুপার গহনা গড়ে-দোকান দারি ঘর বার-
নেই খামতি কোনও খানে-সবজাগাতেই দরকার।
প্রহর প্রহর গঞ্জনা খায়-খাদ্য যা খায় তার চেয়ে বেশি-
মান অভিমান নাই তো তার-থাকতে ভীষণ বেজায় খুশি।
মাঝে মাঝে হটাৎ কাজে দিদির বাড়ি গেলে সেথা-
বেজায় রকম হয় সে খুশি-দু চার পেগ রাত্রে জোটা।
বলে মামা পয়সা দেন-মালটা কিনে রেখে দি-
অল্পটুকু দেবেন আমায়-যখন রবে বাইরে দিদি।
দিদি আমায় রাঙ্গায় চোখ-বলে ওকে এক ফোঁটা না-
তাই কি এমন যায় কি পারা-ধরলে এমন বায়না।
মাল খেলে সে বীর পালোয়ান-বলে দিদি করবে কি-
আর একটু দেন না মামা-কি আর হবে মারবে নাকি?
মাঝে মাঝেই পিটান খায়-বউটি তার কঠিন অতি-
ভাবতে ভীষণ কষ্ট লাগে-এমন তার মন্দ গতি।
সেবার গেলাম বুদ্ধি দিলাম-মারবি রে তুই দুচার জোরে-
ভীমরতি তার ছাড়তে কেমন-মার না ভাই আচ্ছা করে।
বলে মামা বলে পুলিশ-জেলে আমায় দেবে ভরে-
শান্ত করি সাহস জোগাই-দেব রে তোকে বেড় করে।
পরের বার গেলাম হাসি-বাঁচতে আমার পেট ফাঁটে-
বলে মামা দিছি তেমন-এখন ও লেংড়ে হাঁটে।
যখন যাই দিদির বাড়ি-রং তামাসা ভাবনা দিয়ে-
জুরান দিদির পুরান ভৃত্য-হাসি মজাক তাকে নিয়ে।


প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "শিশুসাহিত্যিক সুকুমার রায়" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা আমার কবি সুকুমার রায় এর প্রতি ছোট্ট নৈবেদ্য।
দরকার


কতনা রঙ্গে ভঙ্গে ব্যঙ্গে
কত কবিতা দিলেন উপহার-
আজ এ পাষাণ হৃদে তপ্ত ধরা
সেমতো ভীষণ দরকার।
দেশ জাতি বিদ্বেষ হিংসা ও দ্বেষে-
হাসি গান নাহি প্রাণে-
কাঁটা লাগে বিষে।
প্রেম দয়া ভালোবাসা প্রীতি হৃদ বন্ধণ-
দশ দিকে দানবতা সীমাহীন ক্রন্দন।
শিশুপ্রাণ যন্ত্রণা হাসি খুশি বুলি নাই-
প্রিয় কবি হাসি গানে
তোমাকে তো ভুলি নাই।
কতনা রঙ্গে ভঙ্গে ব্যঙ্গে
কত কবিতা দিলেন উপহার-
আজ এ পাষাণ হৃদে তপ্ত ধরা
সেমতো ভীষণ দরকার।


প্রিয়কবি এস এম নূরনবী সোহাগ মহাশয়ের আজ প্রকাশিত হেমন্তের জাদু কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
হেমন্ত


হেমন্তের রং সোনালী-ঢেউ খেলে সে যায়-
মাঠে মাঠে পাতায় পাতায় ডগায় ডগায়।
কাস্তে হাতে কৃষক মাঠে-সোনার ফসল কাঁটতে বেলা-
বুক ধরা সে মুগ্ধতারই তুলতে ফসল গোলায় ভরা।
আকাশ পাখি গান গেয়ে যায়-মিষ্টি মধুর বোল-
বিন্দু বিন্দ কনক রাশি হর্ষ মধুর রোল।
শিশির খেলে ঘাসের ডগায়-প্রভাত সাঁজের কনক বারি-
হারিয়ে গিয়ে মনটি আমার
লিখতে সে রূপ কবিতারি।
আহা! আহ! হারিয়ে গেলাম সেই ভুবণে-
সিঁদুর রাঙ্গা দিগন্তে ওই-
মুগ্ধ নয়ন গগন নীলে-
অবাক ধরে চেয়েই রই।
আহা!হেমন্তের রং সোনালী-ঢেউ খেলে সে যায়-
মাঠে মাঠে পাতায় পাতায় ডগায় ডগায়।


প্রিয় কবি মেজবা উদ্দিন (রিংকু) মহাশয়ের আজ প্রকাশিত জীবন কবিতার উত্তরে লেখা কবিতা।
(ফাউ কবিতা)
কাম অন গাইস


ইয়েস ইয়েস। দিস ইজ লাইফ-
ভেরি পুওর টু সারভাইভ।
পারসেপশন অফ ডিসেপশন ইজ ভেরি হাই-
হাই হেলো গাই-ফ্রেন্ডলি এটোমোস্ফেয়ায় বাট
নো ওয়ান ইস পারফেক্ট দেয়ার।
এভরিবডি ইজ লাইয়ার এন্ড লাইয়ার।
দিস ইজ লাইফ-
সো কাম অন গাইস।