দেখতে দেখত কখন যে ৭০০, ৮০০, ৯০০ পার হয়ে গেল বুঝি নাই। আজকের লেখা ৯৩৩ তম।


শ্রদ্ধাঞ্জলি


(লেখাটি শুরু হয়েছে প্রিয় কবি ড. প্রীতিশ চৌধুরী মহাশয়ের আমার লেখা কবিতা লেজসমেত দুইটি কলি ৭০ তমর উত্তরে কমেন্টের উত্তরে কমেন্ট বক্সে। তারপর কমেন্ট বক্সে একটু একটু করে বাড়তে বাড়তে অতিক্রম করে প্রিয় কবি স্বপ্নময় স্বপন, প্রিয় কবি রীনা বিশ্বাস (হাসি), প্রিয় কবি কবির সারদার, প্রিয় কবি তাপস গুহ ঠাকুরতা, প্রিয় কবি রোকন আহমেদ, প্রিয় কবি সুমিত্র দত্ত রায়, প্রিয় কবি রঞ্জন গিরি, প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র সরকার, প্রিয় কবি রণজিত মাইতি প্রিয় কবি মনোজ ভৈমিক(দুর্নিবার কবি), প্রিয় কবি এম. ওয়াসিক আলি, প্রিয় কবি উত্তম চক্রবর্তী, প্রিয় কবি মনোয়ারুল আলম, প্রিয় কবি মণি জুয়েল, প্রিয় কবি অরণ্য-(ভাবুক কবি), প্রিয় কবি স্বপন গায়েন (উদয়ন কবি), প্রিয় কবি গণেষ চৌধুরী, প্রিয় কবি মিনু গরেট্টী কোড়াইয়া, প্রিয় কবি গোলাম রহমান-এতগুলি কমেন্ট বক্সে লিখতে লিখতে লেখাটি শেষ হয়েছে প্রিয় কবি শেখর ঘোষ মহাশয়ের উত্তরের কমেন্ট দিতে কমেন্ট বক্সে)


তোমাদের ভালোবাসা সম্পদ জানি প্রাণ
জোড় করে তোমাদেরি করিতে প্রণাম।
দিশাহীন ধরা প্রাণ অনন্ত হুতাশনে
বয়ে চলি কবিতায় সুখ হৃদে সুধাগানে।
নয়নেতে বারিধারা অশ্রুতে হৃদ ভাসে
সুভাসিনী তোমাদেরি কথাকলি সুরোভাষে।
জানি প্রাণ চলে যেতে ছেড়ে দিতে হবে ধরা
কবিতায় প্রাণ ধায়-হেন মতি ধ্রুবতারা।
তোমাদের ভালোবাসা সম্পদ জানি প্রাণ
জোড় করে তোমাদেরি করিতে প্রণাম।


দিকে দিকে লহুঝরা কান্নার রোল বহে
ঠোকরেতে ঠোকরেতে দীন প্রাণ পথে রহে।
ছেড়া কাঁথা কাপড়েতে ফুটপাতে শিশু প্রাণ
দেখে দেখে দিকে দিকে কান্নায় ধরি গান।
নাই বাসা ভালোবাসা-নাই নাই মানবতা
ধনী জনে দূরে ঠেলে আধুনাতে ইতিকথা।
খোঁচা দিতে বারে বারে কবিতারি অক্ষরে
বাণ মেরে ফেলে দিতে দ্বার হতে বহুদূরে।
ক্রোধে লহু ফুটন্ত যেন বাড়ি দিতে চায়
ঘন রোল ধ্বনি রবে কবিতায় কবিতায়।
তোমাদেরি কথা কলি সুবাশিত ধরা বুলি
হৃদ প্রাণে ঝড় তোলে কথাকলি বুলবুলি।
তোমাদের ভালোবাসা সম্পদ জানি প্রাণ
জোড় করে তোমাদেরি করিতে প্রণাম।


আকাশেতে পাখি ওড়ে বিহঙ্গে ডানা মেলি
হাসি প্রাণ উল্লাসে কবিতায় কথাকলি।
কমল কি কোকোনদ শতদল কত নাম
রূপভেদে ভাসি হৃদে কবিতাতে দেই শাণ।
আসমান গগনেতে-কিবা আকাশটা নাই ভেদ
খুজে ফিরি শত নামে কত শত রূপভেদ।
অনন্ত প্রেম হৃদে ভালোবাসা বেয়ে চলি
বিরহ কি প্রেম ভাব কবিতায় সুর তুলি।
লহরো তরঙ্গে-ভরা বান ভবনদী
দুরন্ত ঝঞ্ঝাতে আশাহত শত কাঁদি।
অশনিত সঙ্কেতে জীবনটা রব তোলে
গুরু গুরু গম্ভীর শত নাদে শত বোলে।
অশ্রুতে চোখ ভাসি স্বজনেতে চলে যায়
অশান্ত হৃদয়েতে শত ব্যথা ভেসে যায়।
অনন্ত হাহুতাসে ভাবি প্রাণ গতি নাই
ঈশ্বরে আসমানে খুজে নিতে প্রাণ চাই।
রাত কাঁটে ভোর হয় আলো ধূপ প্রাণ পায়
কান্নার অবশেষে হাসি গানে প্রাণ ধায়।
তোমাদেরি কথা কলি সুবাশিত ধরা বুলি
হৃদ প্রাণে ঝড় তোলে সুর তোলে বুলবুলি।
তোমাদের ভালোবাসা সম্পদ জানি প্রাণ
জোড় করে তোমাদেরি করিতে প্রণাম।


প্রজাপতি কথাকলি শত কত সুর তুলি
তুলি রোল ঘন ধরা কবিতায় মন ভুলি।
বুলবুলি সুর তোলে শিস দেয় প্রাণ মেতে
খেলা করি কবিতায় আনন্দে মন মেতে।
গল্পের ছলে কত জীবনটা কাছে পাই
জোড় করে অঞ্জলি-কবিতাতে দিতে চাই।
চকিত সে শিহরণে প্রিয়া যবে ডানা মেলে
উড়ে চলি কবিতায় হৃদ মন প্রাণ ভুলে।
ডানা মেলা প্রজাপতি বিহঙ্গ ধরা গতি
অধরেতে ধরা প্রাণ-হাসি গান প্রাণ মাতি।
বিচ্ছেদ ঘন ধরা আকাশটা যবে কালো
প্রিয়া যবে দূরে যায়-কিছু লাগে নাতো ভালো।
শোরগোল রব তুবি-রাত দিন এক করি
ঈশ্বর শ্মরণেতে-প্রিয়া যেন পায়ে পরি।
ঘন ধরা বিরহেতে-কাল যেন কাঁটে নাই
বিরহের সুর বুলি- কবিতায় লিখে যাই।
তোমাদের ভালোবাসা সম্পদ জানি প্রাণ
জোড় করে তোমাদেরি করিতে প্রণাম।


ঈশ্বরে ধরি হৃদ তাহাতেই মিলে যাই
ছন্দতে মনোহরা ভাব ধারা গতি পাই।
কবি হব জীবনেতে ক্ষণকালে ভাবি নাই
যেন মতি গতি ধারা-লিখে দিল বিধাতাই।
জোড় করে বিধাতারে চরণেতে মাথা ঢুলি
কবিতাতে কবিতাতে দিতে তারে অঞ্জলি।
তোমাদেরি কথা কলি সুবাশিত ধরা বুলি
হৃদ প্রাণে ঝড় তোলে কথাকলি বুলবুলি।


ক্ষণ কাল জীবনেতে পল পল মনোহরা
আশা শত স্বপ্নেতে ভালোবাসা হৃদ ভরা।
সুবাসিত কথা কলি দিবানিশি লিখে চলি
যেন ধরা বলে লেখ-এঁকে দে না রং তুলি।
সেই রব দিকে দিকে ফল্গুর ধারা সনে
দিবারাত যেন শুনি-দিকে দিকে কোণে কোণে।
তাই হৃদ পাল তোলে আঁকাবাঁকা গতি ধায়
যেন বলে লেখ লেখ-যেন বলে বিধাতায়।


ভাবি মন শান্ত টলো টলো জলোময়-
লিখে ব্যথা বিরহের-ভেঙ্গে পরি কান্নায়।
হরষেতে হেসে উঠি প্রফুল্ল অন্তরে
বিষাদ কি কলি ফোঁটে দেখে লিখে প্রান্তরে।
তোমাদেরি কথা কলি সুবাশিত ধরা বুলি
হৃদ প্রাণে ঝড় তোলে  সুর তোলে বুলবুলি।
তোমাদের ভালোবাসা সম্পদ জানি প্রাণ
জোড় করে তোমাদেরি করিতে প্রণাম।