সাঁজ ০৬/৪৮ মিঃ পুনঃ নির্মান হলো ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিকে রবিঠাকুরের  "হে ঊষা, নিঃশব্দে এসো"  কাব্যটি।


রবিঠাকুরের লেখা কাব্যটি এরকম।
"হে ঊষা, নিঃশব্দে এসো"  


হে ঊষা, নিঃশব্দে এসো,
আকাশের তিমিরগুন্ঠন
করো উন্মোচন।
হে প্রাণ, অন্তরে থেকে
মুখুলের বাহ্য আবরণ
করো উন্মোচন।
হে চিত্ত, জাগ্রত হও,
জড়ত্বের বাধা নিশ্চেতন
করে উন্মোচন।
ভেদবুদ্ধি-তামসের
মোহযবনিকা, হে আত্মন,
করো উন্মোচন।


আর আমার লেখাঃ
"হে ঊষা, নিঃশব্দে এসো"  


      হে ঊষা, নিঃশব্দে এসো
              তিমিরো গহীনো রজনীত প্রাণ,
অশান্ত কোলাহল-
               হলাহল লহু স্রোত
        দিকে দেশে শয়তান।
দামামা সে রণ ধ্বনি,
               নিকষ আঁধারো কালো,
নিরবেতে এসো, নিরবেতে এসো-
         মানবেতে দিতে আলো।
মহাপ্রাণ হে, হও সে উদয়
                জ্বালিতে প্রাণেরো দিশা,
জাগ্রত হও জাগ্রত হও-
                দূর করো তমানিশা।
ঘোর কলি ঘন দিশাহীন রাহী
                  অনন্ত পারাবার,
ডুবন্ত তরী ছিঁড়িয়াছে পাল-
               আজি দিন হারাবার।
বসন্ত খেলে নাতো
                 লহু স্রোত ফাল্গুনে,
দিকে দিকে দিকে দিকে-
                মিশকালো গনগনে।
প্রহরেতে প্রহরেতে
               কান্না সে জেগে ওঠে,
শিশু কচি জরা প্রান-
          ধরা প্রাণ রোদনেতে।
শঠতা ও ছলনাতে
              অহঃরহ মাতা লুটে,
ভগ্নি সে কাঁদে পথে-
           বিষাক্ত ছোবলেতে।
মাতা কাঁদে জাহ্নবি
           নাফ কাঁদে লহুস্রোতে,
নিথর সে দেহ জলে-
       দানবীয় কোতলেতে।
হে ঊষা, নিঃশব্দে এসো
              আজি মহাপ্রাণ,
দেশে দিকে আলো দিতে-
             করো, করো করো-
করো হে প্রভু
         যবনিকা উন্মোচন।


প্রিয় কবি সৌমেন বন্দ্যোপাধ্যায় (পীযুষ কবি) মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "স্মৃতির পাতা ওল্টাই" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


হতচ্ছাড়া


মা এর চেয়ে আপন বড় এই দুনিয়ায় বাড়া,
মা যে দেবী মাই ভগবান-আমরা
হতচ্ছাড়া।
স্বপ্ন বুনে প্রেমের গানে দুনিয়া দিল আলো,
আঁচল তলে পালতে মাতা-বাসলো
অনেক ভালো।
শৈশবেতে প্রাণের আলোক জড়িয়ে দিতে রঙ সে বান,
পরম স্নেহে আঁদর ধরে-বুঝিয়ে দিতে
জীবন কাহন।
কৈশরেতে দিতেই মাতা স্নেহের পরশ মাথায় সে হাত,
আপন ভুলে জগত তুলে-শাসন আর শিক্ষা
দাওয়াত।
তার শাসনে তার বুলিতে ধরতে জীবন কঠিন রণ,
পার হয়ে যাই সবল বুকে-ধরতে জীবন
কঠিন সে গান।
কান্না অনেক গলায় জমে বাড়তে গেলে সংসারেতে,
কপট জায়া শান্তি না দেয়-তার আদালত
এজলাসেতে।
কাছে থেকেও থাকতে দূরে-ভিন্ন ভিন্ন চড়তে হাড়ি,
কান্না অনেক বুকের মাঝে-মাগো তোমায়
দেখতে নারি।
নয়ন মাগো শুধুই বহে ইমান করে তাড়া,
চিৎকারেতে বলছে শুধুই-তোরা
হতচ্ছাড়া।


প্রিয় কবি laxman bhandari মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "মাটির মায়া" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


মাতামহী


এ মা মাটি মহান ভূম হৃদয়েতে ধরে রই,
গ্রাম সে মম ধরনীর কোলে-
ছন্দেতে কথা কই।
পত্র পুষ্প বৃক্ষ লতা বন্দনা গাহে তারি,
সবুজের সমারোহে স্বর্ণ আলোকো
বুকে ধরি।
অরন্য ধরা দিশা-দিকে দিকে মহীরুহ,
আম জাম কাঁঠালের মনোরম
সমারোহ।
পূবেরো আলোক ঢেউ খেয়ে যায় পদ্মদিখির ঘাট,
অজয়ের জলোধারা হিল্লোলে বহে-
অপরূপা তারি পাট।
স্পন্দনে জীবনেতে কলরোলে বঁধু গাহে,
অজয়েতে জল নিতে-কলসীতে
কাঁখে তাহে।
স্নিগ্ধ সে মনোহরা সোনা গ্রাম মাতামহী,
ধরি গান জীবনের আনন্দে
প্রাণ বহি।


প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "মানবে উত্তমাশা" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


ইতিকথা


যুগে যুগে কালে কালে তালে তালে দিশাহীন,
উন্ন্ত মানুষের হুস তাল-
বল্গাবিহীন।
পায় যোনি মানবেরই কলেবর তদ্রুপ,
হিংস্রতা ভরা প্রাণ পশু করে
বিদ্রুপ।
অধমের সীমানাতে কাম ক্রোধ রতি ভোগ,
ভরে নিতে লালসাতে কামনাতে
সম্ভোগ।
কলুষতা মিলে প্রাণ দিতে শত প্রতিঘাত,
জনে জনে ঘরে ঘরে দ্বীপ জ্বালা
জালিয়াত।
উঁচু নিচু ভেদাভেদ সমাজটা করে ক্ষয়,
দানবতা পাশবিক খর বায়ু
বেগে বয়।
রক্ত সে শোষণেতে মাতে প্রাণ ধনী সবে,
গরীব সে দিশা নাই কাঁদে শত
ঘন রবে।
প্রদীপ্ত রোসনাই দ্বীপ জ্বালা আঁধারেতে,
প্রদীপের তলদেশে ঘন ধরা
তমসাতে।
লুন্ঠনে মাতে ধরা সমাজের পতি যারা,
দুখে প্রাণ মাতা কাঁদে দিকে দিকে-
মতিহারা।
বিষাক্ত ছোবলেতে মানবতা মৃতপ্রায়,
দানবতা প্রাণে জাগে লহু স্রোত
বয়ে যায়।
তপ্ত এ মেদিনীতে আবহ সে যুদ্ধ,
করে প্রাণ হরে হৃদ শ্বাস
অবরুদ্ধ।
আমি কবি ভাবি তাই ধ্বংসই শেষ কথা,
লিখে যেতে অবনীতে ধ্বংসের
ইতিকথা।


প্রিয় কবি মোনায়েম সাহিত্য মহাশয়ের এইমাত্র প্রকাশিত কথা অমৃত-১৪৮ কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


আহ্বান


মন আপামর শুদ্ধ গতি চমক ওঠে ধরা,
গাইতে পাখির কূজন মেতে
হরিৎ বসুন্ধরা।
হিংসা রহিত পরাণ মিলি দ্বেষ বিদ্বেষ হরা,
দীন দুঃখি দান গরিবে
গড়তে মনোহরা।
ভুলতে চলি সমাজ বুলি আপন আপন রব,
মানুষ মোরা ভুলতে চলি
ধরতে কলরব।
সমাজ সৃজন গড়তে ভুলি অট্টালিকা স্বপ্ন প্রাণে,
মাটির সাথে লুটায় যারা-করুণ
গীতির কাব্য সনে।
আয়না সবে আপন ভুলি গড়তে সমাজ ভালো,
মন থেকে আজ দূর করে দেই,
তমস গহন কালো।