এই কবিতাটি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পরিচালিত খাদি ভিলেজ ইন্ড্রাস্ট্রিজ বোর্ড এর মাসিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। মূলত দার্জিলিং এর ডিস্ট্রিক্ট অফিসার মাননীয় partha sarathai bhattacharya মহাশয়ের আমার লেখা কবিতার প্রতি অত্যুৎসাহিতায় এবং তার অনুরোধে দেওয়া কবিতা। ১০০ টাকা অনারিয়াম পেয়েছি এ জন্যে। অনেক কবিতা দিতে বলে কিন্তু আমার মতি গতি ভগবানই জানেন।
বই এর নাম "খাদি গ্রামীন শিল্প বার্তা"নভেম্বর ২০১৬"
বড় মা


ও বড়মা হুরমুড়িয়ে যাচ্ছ তুমি কোথা-
আসো একটু জিরিরে নাও আছে অনেক কথা।
না বাপু না, আর বোলো না বাঁচার ইচ্ছে নাই-
ছেলে বৌমা করছে তাড়া-বলে যাচ্ছেতাই।
জন্ম দিয়ে লালন করে পাপের বোঝা বড়!
এখন তাদের ভয়েই আমি থাকি জরসর।
দুধ দিয়ে সাপ পুষতে ঘরে দিলাম ছেলে বিয়ে-
বছর যেতেই পর হলো বাপ-দ্যাখো গিয়ে ঘরে।
ধনের লোভে ছেলে আমার ফাঁটিয়ে দিল মাথা-
বড় কষ্ট হয় রে ভাই-মনে অনেক ব্যাথা।
ছেলে যখন ছিল ছোট খেলতে গিয়ে বাপ-
বলবো কি ভাই দুখের কথা কাঁমড়ে ছিল সাপ-
করতে গিয়ে সুস্থ তারে-সোনা যা ছিল মোর গায়ে-
গাঁয়ের হাটে বেঁচে দিয়ে-পেলাম তারে ঘরে।
সেই ছেলেটাই যখন আমায় চাবুক দিয়ে মারে-
বলবো কি ভাই এমন কথা অনেক মনে পরে।
ব্যাথায় আমার শরীর ভরা যায়না কিছুই বয়ে-
কিন্তু বাবা দুঃখ মনের সইব ক্যামন করে।


প্রিয় কবি কবীর হুমায়ূন মহাশয়ের আজ প্রকাশিত কাঁচালঙ্কা কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
ডাকিনী


হার রে!হায় কি উপায় ব্যাথায় গেল হৃদয় ভরি-
করুণ সুরে বইলো বাতাস-
পরলো খাবার বিরাট দারি।
এক হারি চাল বিরিয়ানি-গন্ধ ম ম করছিল ঘ্রাণ-
তরঙ্গেতে তরঙ্গেতে-
আকাশ পাখি ধরছিল গান।
তানপুরাতে সেই রাগিনী-ঝঞ্ঝা হটাৎ উঠলো আকাশ-
থর থরিয়ে কাঁপতে হৃদয়-
বন্ধ হতে মলয় বাতাস।
দাবানলের উদগিরনে তপ্ত লহু গরল সে প্রাণ-
রুদ্র ভয়াল রূপ সে করাল-
তানপুরাতে পুড়লো সে ঘ্রাণ।
রক্ত সোপান রিক্ত ধরা-খাদ্য হরা রূপ ডাকিনী
দৌড়ে দুবার বাজার গেলেও-
দেয়নি ধরা লঙ্কাখানি।
তাই হলো যে ঝড় সে দারুন গিন্নি আমার অন্ত প্রাণ-
লঙ্কা বিনে আগুন ঝাজে-
বিরিয়ানির করুণ গান।


প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত কবিতা যা এখন খুজে পাচ্ছি না সেই কবিতার উত্তরে-
আমার লেখা প্রথম গদ্য কবিতা।
দিল্লি কা লাড্ডু


সন্তান!এ দুনিয়ার সব চাইতে বড় ভ্রম-জেইসা দিল্লি কা লাড্ডু!
খাইলেও বিপদ না খাইলেও বিপদ।
সন্তান প্রতিপালন এ এক পরম অনস্বীকার্য দায়িত্ব।
সন্তানের উন্নতিতে গর্বে পিতামাতার বুক ফুলে ওঠে-
সন্তান সন্ততির জন্যে সর্বস্ব ত্যাগ করা যায়।
প্রশ্ন জাগে কি স্বার্থ থাকে সে ত্যাগের পেছনে!
সরল রসায়নে আমার ক্ষুদ্র ধ্যান জ্ঞানে যেটুকু বুঝি তা হলো-
বুড়াকালের সাহারা আর উপার্জিত ধন সম্পত্তির সঠিক হস্তে প্রত্যর্পণ করন-
আমরা ভাল করেই জানি-মানুষ মরনশীল-
একদিন না একদিন চলে যেতে হবে সুন্দর এ পৃথিবী ছেড়ে তাই।
বাস্তবে কি দেখি আমরা!
আজকের যুগে কেউ আর শ্রবনের হৃদয় নিয়ে জন্মায় কি?অবশ্যই নহে।
পুত্র ধনবান হয়ে উঠলে পিতা মাতার আশ্রয় হয় বৃদ্ধাশ্রম-
আর দারিদ্রতা যদি গ্রাস করে তাহলে তো সোনায় সোহাগা!
বর্বরোচিত অত্যাচার চলে নিত্য দুই বেলা।
পিতা মাতা আর পরম পূজ্য থাকে না-হয়ে যায় শালা বুড়া বুড়ি।
মৃত্যুর দিনটির দিকে শকুনের দৃষ্টিতে চেয়ে থাকে।
জরা গ্রাস করলে তো কথাই নাই!
শেষ জীবনটা নরক যন্ত্রণা আর কটু মন্ত্রণাতে-
এক পৃথিবী দুঃখ নিয়ে বিদায় জানাতে হয় বসুন্ধরা।
ইতিহাস তো তাই বলে।
অনেক অনেক পিতা মাতাকেই আক্ষেপ করতে দেখেছি-
জন্মের সময়ই গলা টিপে কেন মেরে ফেললাম না!
তাই তো সন্ন্যাস নিতে চাই-ত্যাগ করতে চাই মায়া মোহের বন্ধন।
নাই আক্ষেপ নাই-নাই নাই-
কোনও অবস্থা কোনও পরিস্থিতিতেই নাই-নাই নাই।


প্রিয় কবি শম্পা ঘোষ মহাশয়ার আসরে প্রকাশিত ভাবনারা শুধুই ভাবায় কবিতার উত্তর দিতে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
(ফাউ কবিতা)
মরূদ্যান


বল বুলবুল জানিস নাকি ভাবনা কেন মন-
স্বপ্ন আকাশ হৃদয় খানি-এমন তরা ক্যান!
স্বপ্নে দুলি জগৎ ভুলি-জোয়ার লাগে বান-
শিস বাজালে তীক্ষ্ন তুই-শুখনা মরূদ্যান।
জীবন কেমন বল বুলবুল-ভরসা কোনো নাই-
ভরা ভাদর শরৎ আকাশ-দুখ সুখ রোশনাই।
আঁধার কালো ঘুটঘুটে রাত-হৃদয় আকাশ কালো-
মেখ কেঁটে যায় সূর্যিমামা আলোক ঝলোমলো।
টলোমলো চলছি রে বুল-নিভতে কখন জীবন বাতি-
শিস বাজানো বন্ধ হবে-আসতে ঘন নিশুত রাতি।