(১০০ তম তে দুইটি কলি আঁখি মুদলো। কাল থেকে নতুন সিরিজ চালু হবে "খেয়াল" আরো বিরক্তিকর। প্রতিদিন যা লিখব প্রতিদিন প্রকাশ দেব। ২টোও হতে পারে বা তার বেশি। যেদিন যেমন সময় পাব। আসরের সকল কবিগনের জন্য আজ শ্রদ্ধাঞ্জলি কাব্যটি উৎসর্গ করলাম। ১০৫০ কবিতা আসরে শেষ হল দুইটি কলি)


প্রিয় কবি অনীক মজুমদার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "মাধুরী মেশানো মন্তব্য" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


শ্রদ্ধাঞ্জলি


মন ভেসে যায় হৃদয় কথায় সুপ্ত যেথায় ছিল,
কল কাকুলি শব্দ বুলি-আসর
সুজোগ দিল।
সেই বাসরে পেতেই যদি বন্ধু সখা হৃদয় কমল,
ধন্য আমি আসরটাতে-হৃদ সবাকার
নম্র কোমল।
স্বপ্ন পূরণ গাইতে ধরা দুঃখ দ্বেষ হিংসা বিষ,
গাইতে সে গান কন্ঠে পাখির
দিবানিশি অহর্নিশ।
ভ্রমর অলি গাইছি গান দুঃখ কিবা আনন্দেতে,
উড়তে ডানা বিহঙ্গের ওই-তোমাদেরই
সুবাস মেখে।
লহর ডাগর বান ভেসেছি-উছল প্রেমের শুভ্র দিশা,
চাঁদ জ্যোছনায় ভাসতে গেছি-
দূর করে ওই
তমানিশা।
জোড় করেতে শ্রদ্ধা জানাই বিন্দু বিন্দু অশ্রুপাতে,
সুহৃদ সখা বন্ধু আসর-প্রণাম জানাই
এই প্রভাতে।


৯/৫৯ মিঃ রাত পুনঃ নির্মান হলো ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিকে রবিঠাকুরের "আমি চেয়ে আছি" কবিতাটি।
"আমি চেয়ে আছি"


আমি চেয়ে আছি নিখিলো ব্যোম বিশ্ব ভুবন,
আমি চেয়ে আছি আমি চেয়ে আছি
শুনিতে সে সুধাগান।
যে গানে হরষেতে ধরা-পুষ্পিত অন্তর,
নাহি সে গরলো অশ্রুর ধারা-
নাহিকো বদ্ধ্যা
প্রান্তর।
চেয়ে রই অপলক অশ্রু ভাসিতে হৃদে,
হিংসা ও দ্বেষ কুপিত চাহুনি
যেথায় রয়েছে
বিঁধে।
হাহাকার রব লহু সে বারি লোহিত বসুন্ধরা,
কেঁপে কেঁপে ওঠে হৃদ-দিকে দিকে রাক্ষসো
সুখহরা।
চেয়ে রই চেয়ে রই দিগন্তে ঢলে রবি,
কান্না সে প্রাণে বহে-করুণার
প্রতিচ্ছবি।
আমি চেয়ে রই পূবাকাশ পানে-
দেখিতে উষারো গীতি
প্লাবণ সে ধারা,
লাবন্য মিলে দিতে-দিকে দিকে
সুমধুর বসুন্ধরা।
হাসি গানে উল্লাসে ভেসে যাব
দিকে দিকে,
বেদনার রং ছবি-দিগন্তে হবে
ফিকে।
মাতা গাহে পূত্র সে জায়া পূজে স্বামী,
ভ্রাতা মাতা শৃঙ্খলে-জাগ্রত
গৃহস্বামী।
অলীকো নহে সে গীতি হৃদয়ত বন্ধন,
খুজে ফিরি দিকে রবে-শুনি রব
ক্রন্দণ।
জোড় করে ঈশ্বর ধরনীতে নেমে এতে,
মানবতা দূর হত-মানবীয়
শাসনেতে।


প্রিয় কবি কবীর হুমায়ূন মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "কানকাটা বিশ্বমোড়ল" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


গাড়ল


বিশ্বমোরল ওই সে গাড়ল নাক উঁচু হামবড়া,
সড়া জ্ঞাণে ভাবেন তিনি এই
বিশ্ব ধরা।
চাবুক হাতে শক্ত ঘোরান বড্ড ঘোরেল স্বভাব তার,
ঘোড়া রোগে ধরলো তারে দরকার
ডাক্তার।
ডাক্তারেতে দাবাই দিল বলেই দিল সাফ,
তাই কি আর রোগটি সারে ভীষণ কড়া-
বাপ।
খেলতে তিনি জেরুজালেম জালিম ভরা মনটি নিয়ে,
যেমন মাদার খেলটি দেখায়-রাস্তামানে
বাঁদর দিয়ে।
বাঁদরামি তার তাও কি গেল হুলুস্থুলুস করতে দিশা,
ভাব খানি তার রাজার রাজা-আর ধরাটা
তাহার পোষা।
জব্দ করা রবটি তার কেউ পাবেনা কিচ্ছুটি,
ওদের দলে ভিড়তে গেলে লাগিয়ে দেবেন
জ্বাল বিচুটি।
তাই কি আমি ভাবছি কবি কলম ছেড়ে যুদ্ধে যাব,
রক্তে ভেসে আগুন নিয়ে ওদের পাশে
বেশ দাঁড়াব।


প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "রঙ-এ চটক-(ব্যঙ্গ) (টাইপ সমস্যা)" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


লড়াই


রং বেরঙ এর মুর্ছনাতে জাত বেজাতে চলছে লড়াই,
রঙ এর দেশে উড়তে ডানা রঙ নিয়ে সব
কতোই বড়াই।
নেতা সেতা মন্ত্রী মশাই রঙ বাজিতে মগ্ন দেশ
রঙ এর বাহার ছুটতে গিয়ে আম জনতার
বাড়ছে দ্বেষ।
রঙ তামাসা ভান্ড রসের রুমাল দিয়ে ঢাকতে গা,
হক কথা কই হক কথা কই আজ দুনিয়ার
ফ্যাসন টা।
রঙ-এ রঙ-এ রাঙ্গা রঙ্গিন আজ দুনিয়া রক্তে রাঙ্গা,
লোহিত বরণ রক্ত মাটি-আজ মানবের
হৃদয় ভাঙ্গা।
জোড় করেতে ঈশ্বরেতে ধবল রঙ-এর মাগতে বান,
শান্তি শ্বেত শুভ্র রঙ-এ ভরিয়ে দিতে
ভগবান।


প্রিয় কবি রঞ্জন গিরি মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "যতই কর লাঠালাঠি, পাবি পাঁচ পুয়া মাটি" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
(আসরে প্রকাশিত ১০৫০ তম লেখা)


রীতি


এই তো দুনিয়ার রীতি প্রিয় কবি,
রঙ্গ রে ভঙ্গ হো চকাচক!
সব কে সব ভাবে রবি।
তেল চকাচক মাঞ্জা মারা-
রঙ দুনিয়ার করুণ
ছবি।
ধরতে আকাশ বাজিয়ে শিষ-
মন মানেতে পুষতে বিষ,
বিষের বীণে অশ্রু ঝরায়-
এই দুনিয়ায়
অহর্নিশ।
কাঁদতে পরাণ তাই তো লিখি-
পদ্য গাঁথায় মনটি জুড়ি,
দিতেই আঘাত বাণ সে হৃদে-
তাই কবিতায় গানটি
করি।