রবি ঠাকুরের পর ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিকে পুনঃ রচিত হলো "অজয় নদী”
"অজয় নদী”


অজয় ছিল বৃহৎ নদী প্রাণ ছল ছল জলের ধারা
দুই ধার তার কাশ বনেতে
মনহরা সে মাতাল করা।
হারিয়ে গিয়ে সেই ভুবণে অবাক ধারা চাইতে বারি
চিক চিক চিক চিকন মিহি-
করতে হৃদয় তোলপাড়ি।
সেই বালিতে আছরে পরি-কোথায় গেল জলের ধারা
যুগ পর যুগ বয়েই যেত-
টল টল জল অবাক ধরা।
জলচক্র পরিবর্ত্তন অজেয় জল বিলীন হলো
এক চিলতে নদী অজয়-
অনেক দুরে হারিয়ে গেল।
খুবলে নিল বালির রাশি-অজয় বাঁক পাল্টে দেয়
সেই যুগের ওই অজয় নদী-
বর্ষাকালে শুধুই ধায়।
ধায় কি বলা সর্বনেশে-রাগ ক্ষোভ সব হুঙ্কারেতে
দু কূল ভাসে গর্জে অজয়-
তুমুল রবে ধ্বংসে মাতে।
পুরান যুগের স্মৃতি অনেক-দুঃখে অজয় অনেক ভাসে
উছল সে জল অজয় সে রূপ-
ভীষণ তরা সর্বনেশে।
অনেক দুঃখ বুকে অজয়-কান্না যেন থামেই না
দু কূল ধারা প্লাবন বারি-
অজয় নদীর কান্না।


প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "মানবের হবে জয়" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
শরম


আকাশগঙ্গা নক্ষত্র পুঞ্জ-লক্ষ কোটি নক্ষত্রের সমারোহ
তাহারি মাঝে প্রাণের ধ্বনি
ধরাতল এক গ্রহ।
সৃষ্টি সৃজনে শিল্পে মাতিয়া মানুষ গড়েন পিতা
মান ও হুষ-হৃদ প্রেম দান
সাজালেন বিধাতা।
আদেশ দিলেন ভক্তি ধরো সাম্য সৃজন গান
সব ভুলিয়া ভুলভুলিয়ে মানব শয়তান।
বুদ্ধি বিবেক রইল পিছে শূন্য মানবতা
রুষ্ট মতি রক্ষ প্রাণ-শোন হে বিধাতা।
বিধান তোমার শান্তি বাণী-সেতার গেছে ছিঁড়ে
সুরের ধ্বনি আর তোলেনা-
রক্ষ দানব পুরে।
প্রাণ বিধাতা কান্না শুনি-ঝরছে দ্বারে দ্বারে
মানুষ কাটা কাঁটির খেলা
হচ্ছে দেশে ঘরে।
চিল শকুনের দৃষ্টি দেখি-প্রাণটি ধরে রই
হায় বিধাতা শমন দ্বারে
চুপটি করে রই।
তোমার দেশের তুমিই রাজা রাজ্য শাসন ভার
ধার বেড়েছে নেকড়ে শেয়াল
কেন অবতার?
সৃষ্টি তোমার দায় কি তুমি ভুলতে পারো পিতা
প্রশ্ন দিলাম হৃদ জগতের-
উত্তর উত্তর উত্তর-উত্তর চাই বিধাতা।
তাও যদি না দিতেই তোমার শরম লাগে প্রাণ
ধ্বংস ধ্বংস ধ্বংস-ধ্বংস করো
হে ভগবান।


প্রিয় কবি অনীক মজুমদার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "কবির হৃদয় কথন (দুই)" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
কুরবানি


একদম ঠিক কথা যা দেখবেন অনুভব করবেন লিখবেন-
দেখবেন হয়ে যাবে কবিতা।


আকাশের পানে চাইবেন
শুভ্র মেখের রাশি উড়ে উড়ে চলে-
তরু লতা মহীরুহ
ফিস ফিস কথা বলে।
আনমনে ভুলে যাই জগৎ টা এক ধারে
অর্জুন দৃষ্টিতে মাছটার চোখটারে।
হরষেতে হৃদয়েতে ফাল্গুনী রং ওড়ে-
সুখ দুখ হাসি গান-
আছে সেথা দ্বারে দ্বারে।
স্বামী হারা বঁধু কাঁদে-সন্তান হারা মা-
লিখে যান বিষাদেতে
ধানি ধাপা সারেগা মা।
মন নিয়ে উড়ে যান মহাকাল বহু দুরে-
অবিচল লিখে যান-
কালি পেন বারে বারে।
হিরে মোতি পেতে হলে-চলে যান শৈশবে-
ডুব দিয়ে তুলে নিন
কবিতারি রূপভেদে।
আমি কবি লিখে যাই-বোঝাপড়া হৃদ বাণী-
কবিতাতে সদা ভুলি
কবিতায় কুরবানি।


প্রিয় কবি মোনায়েম সাহিত্য মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "কথা অমৃত-১১১" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
সহিষ্ণুতা


শিক্ষা শেখায় সহিষ্ণুতা-শিক্ষা জ্ঞানের আলোক ধারা
স্বর্ণকমল স্বপ্ন মহল
শিক্ষা জ্ঞানের অগ্নি শিখা।
অগ্নি বীণা রুদ্র করাল-মন্থনেতে উঠলে গরল
দারুন শোকে বইতে জীবন-
জ্ঞান সে ধরা-অরুন অনল।
শিক্ষা নহে পাঠ্য সকল-মানবতার থাকলে দখল
ধরতে ক্ষমা গাইতে দুখীর-
করতে মানব ধ্যান সে সেচন।
চাই যে মোরা সবার হৃদে জাগুক সেই ভাতৃ প্রীতি
সম্প্রীতিতে গাথুক মালা-
তাইতো গড়ি শিক্ষা নীতি।
শিক্ষা তলে আসলে ধরা-নীতি জ্ঞানের ইতিকথা
শিখতে সবে ধরতে ভবে
মানব গড়া সভ্যতা।