আসরে ১০০০ কবিতার পূর্তি দিবশে লেখা কবিতা সমর্পণ


সমর্পণ


আজিকে দুয়ায় শূন্য ছুয়েছে অম্বর পানে আঁখি,
দুচোখে অনেক বহিছে ধারা-
তাহারি ধরিতে গীতি।
অরুন কি দিবাকর চন্দ্র কি মৃগাঙ্ক শশী,
রব সে তুলেছে প্রণেতে ভুলেছে
জ্বলিতে দিবানিশি।
তুলিতে ভুলেছি তাহাতে মিলেছি অন্তর হৃদ মম,
তাহারি বাণীর করিতে প্রচার
কথন অমৃত সম।
প্রণমি তোহারে পুজিনু তোহারে অন্তর দ্বীপ জ্বালি,
তোমারি দুয়ারে কভূ ভুলো নাকো মোরে-
ওগো অর্ন্তযামী।
কতনা ভুবন হেরিনু তোহারে কতনা জনম বেলা,
কতনা ভেলায় ভেসে ভেসে গেনু
কালের স্রোতেতে মেলা।
যুগে যুগে কালে কালে মিলেছি তোমায় অন্তর ধ্যানে,
কতনা গীতির ডালি সাঁজিয়েছি-
তোমারই বাণীর জ্ঞানে।
বেণীতে বেণীতে গেঁথেছি মালা কালেতে কালেতে যুগে,
ভবেরো সাগরে ডুবেছি শতেকো-
কালে কালে যুগে যুগে।
ঘোর কলি কোলে নিলে তুলি-হে পরম পূজ্য পিতা,
লিখিতে গাহিতে আঁকিতে তুলিতে-
বাণী সে বিধাতা।
নাই সত্তা মম-নাই অন্তর নাই কায়া নাই মন,
যেরূপ তোমার স্বরূপ তোমার-
লিখিতে গাহিতে আঁকিতে তুলিতে-
যেই রূপে তব আগমন।  
তুমি লিখে যাও লেখনি মম-বিকশিত তুমি হৃদ মন,
কুসুমো কান্তি শান্ত সৌম্য-হে ঈশ্বর
তোমারে সঁপিতে মন প্রাণ।

রবি ঠাকুরের পর ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিকে রচিত হলো "প্রশ্ন"
(প্রিয় কবি রীনা বিশ্বাস মহাশয়ার প্রেরণাতে লেখা কবিতা)


"প্রশ্ন"


উত্তর দিতে নারি অতিকায় ভৈরব,
অনন্ত অশান্ত প্রবাহিত কাল,
তাহারি গহ্বরে প্রসুত
লক্ষ হাজারো নিহারীকা দল।
পুঞ্জিত পুঞ্জিত আলোকো বহ্নি
অনন্ত শিখাসম নিখিলো ভুবন,
নিত্য ঘুরিতে অনন্ত অক্লেশে
সদা প্রবাহিত আলোরন।
ব্যোম সে ব্যাপিত অনাদি অন্ত
প্রশ্ন জাগিতে মন,
সুক্ষ দেহীতে প্রাণেরো নাড়িতে
হেরিতে নিখিলো ভুবন।
পন্ডিত গনে গণিতে মাপিতে
নাপিতে তাহারি কলেবর,
সাগরো লহরো গণিতে মাপিতে
কোথা কবে নরোবর।
ব্রমহা বেশী অগ্নিরাশি সহস্র
উজ্জ্বল আলোকিত তারা,
তাহারি লাগিয়া ঘুরিতে ফিরিতে
শত কত গ্রহ মনোহরা।
রচিতে সে তারে প্রশ্নের দ্বার
ধাবিত ভুবনো মন,
জরাপ্রাণে রসনা মেলিতে
কেমনেতে আগমন।
হেরিনু সে মহাকাল হৃদয় ধরিতে
সৃষ্টি স্থিতি ও লয়,
ত্রি গ্রুঢ় তত্বের সার সমাপন-
করিতে প্রলয়।
কভু সমাপন নাহিকো ভূবন
পুনঃ সে সৃষ্টিতে জড়া,
পঞ্চতত্ব সমাহারে প্রাণ
প্রশ্ন অবাক ধরা।l


প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "দুই ধারা" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
(আসরে প্রকাশিত ১০০০ তম কবিতা।)
ইবলিস


আজিকে ধরা ধ্বংসের গানে ডমরু বাজিছে চৌদিক,
মানবতা নাশে ত্রস্ত ধরনী
লহুতে ভাসিতে
ততোধিক।
সে দান খোদার রচিতে প্রেম ভালোবাসা মোহাব্বত,
শৃগালের ভেষে দানবেতে মেতে
উদ্দাম করিতে
মচ্ছব।
ভাবে নাতো প্রাণ রহিতে অম্লান স্নেহের নীড়েতে গড়া,
কত না সুখের বারিতে ভাসিতে
শ্রষ্টা-গড়েছিল
সসাগরা।
ধন ধান্য পুষ্প অলি-দিকে ভিতে সৌরভ,
গড়িতে বসুধা সুন্দরতম
রচিতে মানবো
গৌরব।
বান্দা খোদারো খোদকরি বলে ইবলিস চিনিল জাত,
দিকে ফেরে রসনাতে-লহুস্রোতে মাতে প্রান,
মানবতা হরা রক্ষ রূপেতে
হার বজ্জাত।
সে দিন কি আর দূর বেশি নাই প্রলয়ো রচিতে গান,
রূষ্ট খোদারো সে রব ধ্বনি
শুনিতে কি পাস-ইবলিস
জাত শয়তান।  


প্রিয় কবি আনিসুল হক লিখন মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "জলেতে নরকের কীট "কর কীট" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
(ফাউ কবিতা)
হুনে কে!


হায় রে!
চূলায় গেল মাইনসাগুলান-
অহনে তো খোদার উপরে
খোদকরি কইরবার ধরিসে।
হুনি ২০৩৬ সালে
হেই ব্যাটাগুলান ধ্বংস হইব।
আল্লাতালাত একখান ভীম সাইজের গ্রহাণু
ঢেল মারিসে পৃথিবীর পানে।
পাইরবো কি হেইডারে ঠেকাইতে।
হেইজন্যে কই বেশি বাড়াবাড়ি করস না।
হুনে কে!