এইমাত্র রচিত হল ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিকে  রবি ঠাকুরের "আগমনী" কবিতাটি
গীতিকাব্য রূপে (গাইতে  গাইতে লেখা)
"আগমনী"


আজিকে উছলি কিরণো ধারায়
ভুলিতে ভুবন মন মদিরায়,
ঝুমুরো ঝুমুরো সে তাল শুনি,
ক্ষণ প্রহরো কাল সে গুনি
ভাসতে শরৎ উড়তে আকাশ,
উমা মায়ের আগমনী।


উঠল জেগে প্রাণ সে আকুল
জাগতে ফাগুন গগন তল;
উঠলো জেগে হাস্নেহানা-গোলাপ বকুল-
আর শতদল।


বাঁধন হারা আকুল পারা
প্রাণ সে দরিয়া,
বাতাস লহর ঢেউ খেলে যায়-
গুঞ্জরিয়া গুঞ্জরিয়া।


গুঞ্জরিয়া ভাসতে পরাণ
কুঞ্জে কুঞ্জে ভ্রমর অলি,
দশ দিশাতে খুশির পরশ
দুঃখ দরদ ভুলতে চলি।


ভুলতে চলি ভুলতে চলি ভুলতে চলি।


আজ অবসান হিংসা দ্বেশের
মিলতে দিশা প্রাণের আলো,
আজ ভুলিতে জাত বিদ্বেষ
আকাশ প্রদীপ জ্বালতে চলো।


জ্বালতে চলো জ্বালতে চলো জ্বালতে চলো


মিলন মেলার এই তিথিতে
বন্ধনে হাত জাত বেজাতের,
রুক্ষ কঠিন ধরার ভূমে-
আজ জয়োগান জয় মানবের।


আজিকে উছলি কিরণো ধারায়
ভুলিতে ভুবন মন মদিরায়,
ঝুমুরো ঝুমুরো সে তাল শুনি,
ক্ষণ প্রহরো কাল সে গুনি
ভাসতে শরৎ উড়তে আকাশ,
উমা মায়ের আগমনী।


প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "বাজার" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা


মৃগাঙ্ক


সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি
বাজারেতে আজকেতে হব পাঁঠা বলি।
ঘ্যাচ করে কেটে দেবে ক্ষুরধার অস্ত্র
রক্তেতে ভেসে যাবে শরীর ও বস্ত্র।
ভাবাটাই হয় না যে থলিটাই দেয় হাতে,
মুখরা সে বুলি ধরা প্রতি প্রভাতেতে।
গনগনা শনশনা বাজারেতে ছুটে চলি,
বলো কবি কেমনেতে কবিতাতে বোল তুলি!
রং তুলি ভেসে যায় সংসার গৃহ পরে,
নাই নাই নাই নাই-অভাবটা মেটে নারে!
রবি চাই উজ্জ্বল মনোহরা মৃগাঙ্ক,
মৃগনাভি আতরেতে দর্প কি ডঙ্ক।
সকালের সুরোধ্বনি দিন ভর বয়ে চলে,
অশ্রুতে জলোধারা যেন দুখ কথা বলে।
প্রাণান্ত জীবনেতে দ্বারে দ্বারে ছুটে চলি
অব্যয় অবিকল-যেন ধরা সেই বুলি।
দিন গত হলে রাত স্বপ্নেরা জ্বাল বোনে
ভাবি মন আনমন-কত কে যে নোট গোনে।
রণে বনে জঙ্গলে লোকনাথ স্মরণেতে
বলি প্রভু দয়া ধর-দীন এই জীবনেতে।


প্রিয় কবি পবিত্র রায় মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "লিপ্সা" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


সূর্যিমামা


সূর্যিমামা সুর্যিমামা দেশটি তোমার আলোক ঝরা,
চাঁদ জ্যোছনায় তোমার ছবি-
রূপগুণেতে মনোহরা।


তোমার দেশে হারিয়ে যেতে মনটি আমার আকাশ আলো,
ছড়িয়ে দিতে দিপ্ত প্রভা,
এই ধরাতে যতেক
কালো।


সূর্যিমামা সুর্যিমামা দেশটি তোমার আলোক ঝরা,
রামধেনু রং হারিয়ে যেতে মন ছুটিনু
অবাক ধরা।


আলোক তোমায় হৃদয় ধরি উদার আলোক ঝলক মাতে,
তমানিশার গহীন কালো দূর বহুদূর
লহমাতে।


সূর্যিমামা প্রভাত আলোক উছল বানের শুভ্র আভা,
মহিত আলোক রং ঢেলে দাও
হৃদয় হরা দীপ্তি প্রভা।


সাঁজ কালেতে সাঁজিয়ে তোল দিগন্তে ওই আগুন রাঙ্গা,
একতারাতে সুর বাজাতে-মনটি আমার
বাউল মনা।


সূর্যিমামা হৃদয় ধরি জোড় করেতে পূজতে শোভায়,
হৃদয় আলয় রং ঢেলে দাও দিপ্ত তোমার
আলোক প্রভায়।


প্রিয় কবি মল্লিকা রায় মহাশয়ার আজ প্রকাশিত "কলির প্রবর" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
(ফাউ কবিতা)
কুহেলিকা


কুহেলিকার আঁধার দিগন্ত রবি ছোঁয়া
রক্তিম আভায় রক্তের গন্ধ শুখি,
ওফ বড্ড বেঁচে গেনু-
তীরটা কানের পাশ দিয়ে বেড়িয়ে গেছে।


কবে হব কুপোকাত নাই জানা ঠিক তায়
পথ খুঁজি দিশেহারা কবিতায় কবিতায়।
ঝাঁকে ঝাঁকে দিকে দিকে উড়ে উড়ে আসে যে
চোখ নাক কান খোলা বুলবুল কোখা বে!


বড় গলি চিপা গলি নিচু তলা ঊঁচু তলা-
না বাবা! নেড়া আমি যাব নাকো বেলতলা।