প্রিয় কবি অনীক মজুমদারের আজ প্রকাশিত "ভলোবাসার মানে" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
ভালোবাসা


ভালোবাসা মানে বন্ধন ভালোবাসা মানে বিসর্জন
আপনার সখ আহ্লাদ আশা আকাঙ্খা-
ভালো মন্দ সমর্পণ।
কুরবানী ভালোবাসার আর একটি ধ্বনি।
ভালোবাসা হৃদয় নিঃসৃত মোহময় আবেশ-
অপরকে ভাল রাখবার সদিচ্ছার সন্দেশ।
ত্যাগ তিতিক্ষা ধ্বনি ভালোবাসার-
হৃদয় উন্মিলনে দুটি প্রাণ মেলামেশার।
একে অপরের তরে স্বার্থ বির্ষজন-
ভালোবাসা হয় দীপ্ত পবিত্র মাল্যরোচন।


প্রিয় কবি মনোজ ভৌমিক(দুর্নিবার কবি)মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "মৃত কি করে বুঝব বলো" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
চিত্রপটে


সবাই বুঝেও বোঝেনা সার কথা।মৃত্যুই শ্বাশত চিরন্তন
বুঝলে তো পৃথিবীটা অন্যরকম হয়ে যেত।
কুঞ্জ বনে খলত অলি-
ভ্রমর অনেক সুখ দিত।
রইতো নাতো হিংসা দ্বেষের-আকাশ আগুল দাবানল-
সেই আগুনের ফুলকি ঝরে-
কষ্ট দিতে ধরাতল।
অনেক ব্যথা উবে যেত-কর্পুর এই পরান পাখি-
বুঝতো যদি সবাই এমন-
সামনে শ্মশান চিত্র আঁকি-
চিত্রলেখার গুপ্ত খাতায়-জমতো অনেক পুণ্য কথা-
লিখতে ভাল লাগতো আমার-
মধুর সুরে গল্প গাথা।
কান্না করুণ ঝরতো নাতো-নাফ নদীতে রক্ত বান-
রক্ত গঙ্গা বইতো নাতো-
গরীব দুখীর ধরতে মান।
আজ আকাশ ভাবছি আমি-সেই দিনটা চিত্রপটে-
মানব বোধন বোধ জাগাতে-
দেখছি ধরা মানস পটে।  


প্রিয়কবি পি কে বিক্রম মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "তুমিতো আমার" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
ক্ষতি কি


চলুক না এভাবেই ক্ষতি কি!
একটু ভাল বাসলে আমায়-
বাসন্তিকা ওষ্ঠসুধায়-
এই ফাগুনে রং রাঙ্গালে-ক্ষতি কি!
প্রেম দরিয়ায় ডানা মিলে-আলিঙ্গনে বন্দী আমায়-
ঢেউ যদি বয় কানায় কানায়-
ভাসিয়ে জোয়ার লহর মাতে-
মন যমুনার গোলাপ রং-রংমশালে ক্ষতি কি!
জীবন নদী মন মোহনায়-উছাল পাথাল ঝড়ের বেগে
দাপিয়ে ছোটা মাধবিলতার
জ্বাল জড়ানো কুঞ্জবিতান-
কাশবনের ওই মাতাল হাওয়ায়-মন মদিরায় সুবাস ঘন-
ভাসলে ডানায়-ক্ষতি কি!
একটু আমায় বাসলে ভাল-
ভাসিয়ে জোয়ার মন যমুনায়-
রংমশালে ক্ষতি কি!


প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "ইচ্ছে মত-(ব্যঙ্গ) কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
(বিশ্ব খাদ্য দিবাস-ইং-১৬-১০-১৯৪৫) ইং-০৪-১১-২০১৭-বিশ্ব খাদ্য কংগেস এর উৎসব দিল্লীতে, ইন্ডিয়া গেট। ৭০-দেশের প্রতিনিধি সহ সেখানে ভোজের ছড়াছড়ি, খুশীর বাজার"-সৌজন্য প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র সরকার।


ব্যাং ব্যাং


আহা! আহা! চিত্তে এলো সুখের পরশ-
মাতাল ধরা সুখের বাস-
দীন দুঃখী ঠ্যাং ঠ্যাঙ্গা ঠ্যাং-
রাজায় দিল ব্যাং-ব্যাং ব্যাং।


আহা আহা! মন্দমতি এই দুনিয়ায়-
বক্র কপাল হ্যাংলা দেহ-
কেউ রয়না সাথী তাদের-
ব্যাঙ্গে মারে ল্যাং।


আহা আহা! বাজছে মাদল শিঙ্গা ফোকে-
বিরিয়ানি আর কোপ্তা কাবাব-
রপ্ত তাদের রক্তে ভাসে-
সাহেবজাদা হোকলা নবাব।


নবাব নাচন কোঁদন দেয়-
শিঙ্গা ফোকায় মামা-
ফাজলামী কি দেশ দরদী!
লুটের ধনে বোনা।


কাস্তে কৃষক কি নিদারুন-
গাছের ডালে ঝোলে-
নবাবজাদা হারামখোর-
ছন্দে ছন্দে চলে।