সবুজ মোহ


এক পাহাড় শৃঙ্গ প্রমান দুঃখ যেথায় জ্বাল বোনে-
এক আকাশ উদাস হাওয়া-হতাস চোখে দিন গোনে।
এক সাগর চোখের জলে-দিন গুজরান যেথায় হয়-
এক বনের হায়না ঘোরে-দিবানিশি যেথায় ভয়।
এক রত্তি সুখের বারি-ধরতে আকাশ ছোঁয়াচ বারণ-
দেখতে কি মা দৃষ্টি দিতে-পারলি কি তুই জগতারন।
তোর ছোঁয়াতে খুশির হাওয়া-শরৎ আকাশ পুঞ্জ মেঘ-
দিকে দিকে খুশির হাওয়া-পাল তোলা ওই দারুন বেগ।
তারি মাঝে বইতে কেন-দুঃখ আঁধি তুফান দোলা-
দীন দুঃখী দলন মলন-কালনাগিনীর ফণা তোলা।
রাষ্ট্র যেথায় দৃষ্টি হারায়-নাই ঠিকানা দেখতে মানা-
পারিস কি তুই-পারবি কি রে-বছর বছর আনাগোনা।
পারিস যদি দৃষ্টি বদল-করিস কৃপা রাষ্ট্র প্রতি-
সদ্ভাবনা জাগতে তাদের-জাগাস প্রাণে সাম্য প্রীতি।
আর কিছু না চাইছি মাগো-রত্তি মোর চাওয়া তোহে-
জোড় করেতে প্রণাম তুহি-সাম্যতার ওই সবুজ মোহে।


প্রিয় কবি রঞ্জন গিরি মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "সুখ" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
বরণ


সুখ মানে সে স্নিগ্ধ মনন জ্যোছনা আলোক মধুর কিরণ-
সুখ মানে সে আপন যাহা-শুদ্ধ শুচি তাহাই বরণ।
সুখ মানে সে উল্লাসেতে মোটা চালেই তুষ্ট থাকা-
সুখ মানে সে দীপ্ত হৃদয় পর্ণ কুটির ভালোবাসা।
বিষয় আসয় তপ্ত লহু-চাঁদ ধরা সে পরাণ মতি-
আকাশ চাঁদ ধরতে ছুটে-দীন প্রাণ সে দুর্গতি।
হিংসা দ্বেষ অহং মনন-ক্রোধ কাম আর ভোগ লালসা-
দূর বহুদূর দিগন্ত পার-শান্তি সুখ ভালোবাসা।
আকাশের চাঁদ আকাশ ভালো-রামধেনু রং গগনতলে-
চাইলে সুখ হাসতে খেলে-হাতের কাছে ডানা মেলে।
প্রজাপতির ডানায় লেখা-লক্ষ হাজার রামধেনু-
পর্ণ কুঠির আলোক ধরা-হাজার সুখের স্বর্ণ রেণু।
সুখ মানে সে স্নিগ্ধ মনন জ্যোছনা আলোক মধুর কিরণ-
সুখ মানে সে আপন যাহা-শুদ্ধ শুচি তাহাই বরণ।
সুখ মানে সে উল্লাসেতে মোটা চালেই তুষ্ট থাকা-
সুখ মানে সে দীপ্ত হৃদয় পর্ণ কুটির ভালোবাসা।


প্রিয় কবি রাবেয়া রাহীম মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "তুমি আছো-তুমি নেই যখন" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
তুমি


তুমি আছো তাই-গোলাপ বকুল খেলছে কানন ভ্রমর অলি-
তুমি আছো তাই-ভাসছি আকাশ-উড়তে গগন ডানা মেলি।
তুমি আছো তাই-পুঞ্জ মেঘের নীল গগনে উড়ছে প্রাণ-
তুমি আছো তাই-চাঁদ জ্যোছনা-গাইতে আমি সুখের গান।
তুমি আছো তাই-বাদল মেঘের ঝলকানিতে-নাইতো ব্যথা দুখ যে নাই-
তুমি আছো তাই-সিঁদুর মেঘে আলতা দিয়ে-ধরতে প্রাণে রাগ সে সাঁনাই।
তুমি আছো তাই-ঊষার আলোক দিব্য জ্যোতি ঘর যে মোর-
তুমি আছো তাই-আঁধার রাতি-নয়ন আঁধার ঘুচলো মোর।


তুমি নেই তাই-দৃষ্টি আমার হারিয়ে গেলাম সেই প্লাবণে-
তুমি নেই তাই-অঝোর ঝোরা নয়ন আমার-আজকে ভরা এই শ্রাবণে।
তুমি নেই তাই-আঁধার ঘনায়-রিক্ত বায়ু কান্না ঝরে-
তুমি নেই তাই-বিষাদ ঘন-হৃদয় আমার ভাঙ্গতে ঘরে।
তুমি নেই তাই-অরুণ আলোক দিগন্ত সে দেয় যে পাড়ি-
তুমি নেই তাই-সুবাস হারায় শিউলি বকুল গোলাপ কুঁড়ি।


প্রিয় কবি শ ম শহীক মহাশয়ের স্বর্ণামনির ছড়াঙ্ক-১৫ কবিতার আমার কমেন্ট উনি কবিতাতে উত্তর দিয়েছিলেন। সেই কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
(রসালো ফাউ কবিতা)
তেলকাচানি


ঠিক বলেছো ঠিক বলেছো-গজব তুমি চাচা-
এমনি করেই ধুক ধুকানি-তেলকাচানি বাঁচা।
খাবার তো তাও যেমন তেমন-কচিকাঁচার স্কুলগুলি-
চক্ষু লাল করতে শোষণ নিষ্পেষণে চামরা তুলি।
আসলে পূজা ধুকপুকানি-দবদবানি হৃদয় বাণী-
বায়না পূরণ করতে হরণ-হেপাক হোপাক কান টানি।
টানাটানি ঘষাঘষি চুল ছিড়ানি কাব্য খানি-
চাচা তুমি ভালোই জানো-গিন্নি রানির বক বকানি।
আস্ত গাধা বলেই যদি-ঘাস বিচালি তাও কি খাওয়া-
মটকে ঘার পটাস করে-জনগনের খাব ধাওয়া।
ধুক পুকানি জীবনখানি-ঠুক ঠুকানি চলুক তাই-
চামরা মোটা অন্ধ চোখে-চলতে চাচা মানা নাই।
বেসুরো তাল গাইছি তাই-হালের বলদ কাঁধে বোঝা-
চক চকানি মাঞ্জা মারা-বাইরে দেখে যায়না বোঝা।