নেট ডিসটার্বে আসর পাচ্ছিলাম না । এখন পেলাম তাই যেমন আছে প্রকাশ দিলাম । কাল ঠিক করে দেব।


প্রিয় কবি ড. প্রীতিশ চৌধুরী মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "ঠিকানা" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


সম্পৃতি


সেদিন কি আছে ধরা-কাকলিত মুখরিত!
সবুজের সমারোহে দীপ্তিতে
অঙ্কিত।
অঙ্গে অঙ্গে রচিত শোভা-প্রাণেতে জীবন দোলা,
মেলিতে কি হৃদ আকাশেতে-হাসিতে
প্রাণ খোলা!
জীবনো দহনে কঠিনো সে রণে ভেঙ্গেছে তাসের মত,
প্রেম প্রীতি ভালোবাসা-সুক্ষ সে অনুভব
দূরে গেছে উড়ে শত।
ক্ষণিকো জীবনে পিয়াসে অনন্ত-ধাবিত সে অন্তর,
কূলেতে কূলেতে ব্যথারো ধ্বনি
ধূ ধু সে প্রান্তর।
লোচন কমলে কামনার রাশি-শত কত ক্রন্দন,
ঘন রবে দশ দিশা-দিশেহারা
বৃঘা আস্ফালন।
আশারো কিরণে প্রভু সে স্মরণে-গাহিনু সে গীতি,
দয়া ধরো দয়া ধরো-হে প্রভু
গাহিনু সম্পৃতি।


প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত সুখটান-(ব্যঙ্গ)-৩৫০-তম কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


শয়তান


আহা! হ্যাচকা টানে কল্কে ধরে
সুরুত করে বুকের ভিতর,
জীবন পরম সুখের ছিলিম
পরম মধুর গাঁজার-
বাসর।


রাজার রাজা খায় যে গাঁজা
বুঁদ হয় যে নেশায় ব্যোম,
ব্যোম্ভলেতে হুর হুরেতে
গাঁজার নেশায় দারুন-
দম।


ভাসতে আকাশ শূন্যে ওড়ে
দেব দেবাদি হর হর বোল,
কিশোর কুমার গেয়েছিল
গাঁজার নেশায়-
হরিবোল।


আহা! হ্যাচকা টানে কল্কে ধরে
সুরুত করে বুকের ভিতর,
জীবন পরম সুখের ছিলিম
পরম মধুর গাঁজার-
বাসর।


নেশায় নেশায় জগৎ ব্যোম
পুঙ্গ বিড়ির শেষের টান,
মধুর কতই টানতে অতি
আহা! আহা! বিরূপ বলে
শয়তান।


রিঙ্কু রায়


ব্যথার বিষে অহঃনিশ জ্বলছে ভুবন প্রাণ,
ক্ষণিক জীবন পরম যাপন
ব্যথাই আপনজন।


সেই বীণেতে পরাণ বাঁধি কঠিন হলো অশ্রুজল,
আঁখির পাতে দেখতে ভুবন
চৌদিকেতে বইছে-
গরল।


সেই ভুবনে হারিয়ে গেলাম ভুলতে আপন দুঃখ শোক,
ব্যথার গরল অশ্রুনীলে-
হলেম অশোক।


আর কাঁদিনে আর কাঁদিনে শক্ত করি হৃদয় প্রবল,
জীবন আমার দিলেম সঁপে
মুছতে লোকের ব্যথার-
ছোবল।


ব্যথার বিষে অহঃনিশ জ্বলছে ভুবন প্রাণ,
ক্ষণিক জীবন পরম যাপন
ব্যথাই আপনজন।