(খুব তাড়াহুড়োয় লেখা। বানান ভুল থাকলে আগামীকাল সম্পাদনা করে দেব)


১০/৫৯ মিঃ পুনঃ রচিত হলো ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিকে রবিঠাকুরের "আকাশ" কবিতাটি


"আকাশ"(২য়)


আকাশ আমার প্রানের সাথী দূর গগনের আলো,
আকাশ তোমায় ধরতে দিশা
অনেক তুমি ভালো।
শুভ্র প্রভাত আলোক ধরো গনগনে লাল প্রাণের দিশা,
ছড়িয়ে দিতেই শুভ্র আলোক
মিটিয়ে দিতে তমানিশা।
দিন সে বহে উজল আলোক-জীবন ধারা বইতে খুব,
সাঁজের কালে রং ঢেলে সে
কনক বরণ
অপরূপ।
আকাশ তোমায় অনেক বাসি-অনেক বাসি ভালো,
রাতের আঁধার স্বপ্ন সে দেশ
রূপটি তোমার কালো।
স্বপ্ন দেশে হারিয়ে যেতে চক্ষু মুদি নিদ্রাতে,
জ্যোছনা মাখা রূপ মায়াতে
ডুব দিতে ওই গহীন
রাতে।
আকাশ আমি জ্বাল সে বুনি স্বপ্নজরা হৃদ মনেতে,
অনেক গাথা গল্প লিখি-প্রেমের পরশ
এই প্রাণেতে।
শিশুকালে তোমার দেশে তারায় তারায় পাততে আঁখি,
কাল পুরুষ আর ধ্রুবতারায়-দিন কতনা
হারিয়ে গেছি।
আজ কিনারায় বাঁধতে জীয়ন-ঠোকর যখন দেয় যে দোলা,
উব্ধ গগন আকাশ পানে-চাইতে রই
প্রাণটি ভোলা।
জীবন দোলায় সুখের পরশ লাগতে প্রাণের দিশা যেই,
মন হারিয়ে তোমার পানেই-উব্ধে গগন
চেয়ে রই।
আকাশ তুমি প্রানের সাথী দূর গগনের আলো,
আকাশ তোমায় ধরতে দিশা
বাসতে অনেক ভালো।


প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "সরল পথের যাত্রী-(ব্যঙ্গ) কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


কানকাঁটা


হায় হায় একি শুনি রব ধ্বনি কান ফাটা
দিকে দিকে দশ ভিতে-ঘুরে ফিরে
কানকাঁটা।
ছেঁড়া ফাটা ভাবনাতে উড়ে ঘুরে ফিরে ডানা,
চোখ আছে চোখ নাই, কান আছে কান নাই-
কালা আর হুলো
কানা।
মুখতো মারিতং জগতো জপিতং অহম সে হামবড়া,
ভাবে দ্বীপ অন্তরে ক্ষুদ্র সে প্রান্তরে-
ভরা ঞ্জান নড়াচড়া।
দিগন্ত ওপারেতে সোনা ধরা রবি হাসে,
কিরণ সে-পশে নাতো-তালা ধরা
মনোকাশে।
হায় হায় একি শুনি রব ধ্বনি কান ফাটা
দিকে দিকে দশ ভিতে-ঘুরে ফিরে
কানকাঁটা।


প্রিয় কবি রীনা বিশ্বাস (হাসি) মহাশয়ার আজ প্রকাশিত "চলো প্রেম নগরে যাই..." কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


প্রেমের খেলা


প্রেম দরিয়ায় দিলেম ডুব
মুক্ত মনের সেই প্লাবণে,
সুখের বারি ধরতে দিশা
শুভ্র আলোক জ্যোছনা টানে।


আলোক বানে ঝলমলিয়ে
দেখতে ধরা গাইতে প্রেম,
আজ সে গানে মন ভুলেছে
ভালোবাসার লেনদেন।


ভরিয়ে ভুবন প্রেমের প্লাবণ
ভুলিয়ে দিতেই দুঃখ রব,
দশদিশাতে কাঁদছে যারা-
করছে যারা কলরব।


ফাগুন রঙ্গের বন্যা প্রাণে
ছুটিয়ে দিতেই আবির হোলি,
চলরে সবে হিংসা ভুলে
আজ প্রেমেরই খেলা খেলি।


প্রিয় কবি শ.ম. শহীদ মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "ঝাঁঝ-১" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


ঝোল


ফুল কফি খান কত্তা এখন
বিশ ট্যাহা দড়ে,
অল্পখানিক পিঁয়াজ আর
আদায় নিবেন সেরে।


বারো টাকায় পাবেন আলু
চার মু্ঠি শাক সর্যে,
এই সবই চালান কর্তা
থাকতে বেঁচে বর্তে।


পোলট্রি খান দামটি কম
ছোট ছোট পিস করেন,
ডিমের দাম অনেক বেশি
খাওয়া একটু কম ধরেন।


দশ ট্যাহা সোয়াবিনে
অনেক প্রোটিন পাঁঠার বাড়া,
অল্প স্বল্প মশলা দিয়ে
ঝোলটা বানান দারুন কড়া।


বিনে পয়সায় শালিস দিলেম
রান্না হলে একটু দিবেন,
নইলে কিন্তু পেট খারাপে
বলেই দিলেম ভুগবেন।


প্রিয় কবি মৌটুসি গুহ মিত্র (কেতকী) মহাশয়ার কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


আপন জন


মন ভাসিলাম দূর সুদূরে গগন সাগর ভূতল গলে,
ধরতে আকাশ লহরো ডাগর
এই ধরনীর আঁচল
তলে।


মৃত্তিকাতেই জনম আমার মাটির দেহ মাটির মন,
কেউ নেই আর কেই নেই আর
তাহার বাড়া আপন
জন।


খে্লতে হেথায় আকাশ উড়ি জীবন প্লাবন শ্রাবণ গান,
হৃদ মাঝেতে সাগর বারি-পবন ঘেরা
উছল প্রাণ।


মৃত্তিকাতেই জনম আমার মাটির দেহ মাটির মন,
কেউ নেই আর কেই নেই আর
তাহার বাড়া আপন
জন।


ছেড়া কাঁথা(ফাউ কবিতা)


বুলবুল দ্যাখ কবি আমি মস্তানিটা দিছি ছেড়ে,
তাই কি তুই শিষ বাজাবি-ব্যাঙ্গ করে
অমন জোরে।
দেশ বিদেশের দ্যাখ না কবি-আমায় কত বলে ভালো,
মস্তানি আর করতে বুল-মন লাগেনা
অমন কালো।
এই তো দোষ মিশতে গেলে-ভাল মানুষ মিলেই যদি,
বলবো কি বুল দুখের কথা-বানায় দিল
আমায় কবি।
রাত বেরাতে ঘুম আসেনা লিখতে ছড়া গল্প গাথা,
আর কটা-দিন গেলই যদি-লেপতে গায়ে
ছেড়া কাঁথা।
কাম বুল রে চুলায় গেছে-ডাক্তারিটাও ভুলতে আছি,
কাব্যগাথা দেয়না ট্যাহা-তাও কি জানিস
লটকে গ্যাছি।
লটকা ফলে রথের দিনে বছর ভর দেয়না দেখা,
দিন দুপুরেই চাইলে বছর-হা হুতাসে
রইতে ভুখা।
কাব্যগাথা ভুলতে বুল বুদ্ধি কিছু করনা বে,
আবার দিলি ব্যঙ্গ শিষ-ভাবটা যেন
পারবি নে।
তাও কি বুল জানিস ভাই-মনটা অনেক হালকা রয়,
দস্যিপনা মস্তানিতে-এমন ধারা
পাইতে নয়।
তাইরে বুল এই পেশাটা গামছা বেঁধে পেটটা রই,
তুই বুলবুল মস্তানি ধর-আমি ব্যথা
কাব্যে সই।