(আগামীকাল দুইটি কলি ঝরে যাবে তাই আজকের সব লেখাই প্রকাশ দিলাম।)


৮/৫২ মিঃ রাত পুনঃ নির্মান হলো ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিকে রবিঠাকুরের "আকাশ তলে উঠলো ফুটে" কবিতাটি


"আকাশ তলে উঠলো ফুটে"


আকাশ তলে উঠলো ফুটে হাজার তারার বন্যা আলো,
সেই আলোকে গেলাম ভেসে-
ঘুচলো দুখ আঁধার
কালো।
হারিয়ে গেলাম সেই গগনে হৃদ প্রাণেতে উছল গান,
দ্বেষ বিদ্বেষ হিংসা ক্রুর-লহমাতেই
অবসান।
ভাবতে জীয়ন প্রেম বাতায়ন-সজোর পাটে খোলে,
হাওয়ায় মাদল বাঁজতে প্রাণে-
দুঃখ দরদ ভোলে।
ভাসতে জোয়ার প্রেমের গানে-মধুর কথাকলি,
প্রাণ সঞ্চার হৃদ মাঝারে-কুঞ্জে কুঞ্জে
অলি।
সিঁদুর আলোক ভাসতে ভুবন-ত্বরিত হলো গতি,
কোকোনদের হাজার দলে-প্রেম ভাও
আর প্রীতি।  
ভাইচারাতে আলোক সে প্রাণ মিলতে করে জোড়,
উষার আলোক প্লাবণ গানে-জীয়ন উষার
ডোর।
সেই নিখিলে ধরতে পরান প্রেম সে গীতি গাই,
এই ভুবনে আর না কিছু-মিলন পেতে
ভাই।
ধরতে ভুবন প্রেমের গানে-উদার প্রাণের মেলা,
হিংস দ্বেষ ভুলতে দুখ-করবো
প্রেমের খেলা।


প্রিয় কবি প্রবীর চ্যাটার্জী মহাশয়ের আসরে প্রকাশিত "আসরের কবিদের টিমের ছড়া" কবিতার উত্তরে কথপোকথনে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


মাল্যদান


কি আর আছে এই ধরাতে হাসির চেয়ে মূল্যবান
হাসান যিনি নির্ভেজাল তারেই করি
মাল্যদান।
কান্না ভরা এই দরিয়ায় হিংসা দ্বেষের অন্ত নাই,
সং সাজিতে সংসারেতে-বাজতে জীবন
করুণ সাঁনাই।
বজ্রপাতের ঝলকানিতে হেথায় হোথায় দৌড়ে ফিরি,
জীবন নদের তীব্র ধারায়-কতই রে বাপ
পিছলে পরি।
সামলে উঠি চাইতে রুটি-কাপড়া মকান মান,
জীবন পাখির পাখনা উড়ে-জয় জীবনের
জয়োগান।
তাই ভাবনায় হাসতে যারা-পারেই দিতে নির্ভেজাল,
প্রণাম ধরি জোড় করেতে-তাদের করি
মাল্যদান।


প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "চাহিদা-(ব্যঙ্গ)" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


টেনশন


আজ ভাল নাই মুড টেনশনে প্রাণ,
কেমনেতে করি আজ-
কবিতার জয়োগান।
সংসার মিটে নাকো-সমস্যা হাজার,
আজ তাই বিরহেতে-মুডখানি
ব্যাজার।
কবি তাই কবিতায় লিখে দিছে কারনটা,
তারণাতে প্রাণ কাঁদে-লোহা সম
জীবনটা।
কাঁদি তাই অব্যক্ত অস্ফুট বেদনাতে,
চাহিদার নাহি শেষ-ধরা প্রাণ
রোদনেতে।
আজ তাই মুড নাই টেনশনে প্রাণ
কেমনেতে করি আজ-
কবিতার জয়োগান।


প্রিয় কবি ড. শাহানারা মশিউর মহাশয়ার আজ প্রকাশিত "খুজো না আমায়" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


তীর বিঁধা পাখি


হতোদ্যম যুব সম্প্রদায় অনেক কান্না আজিকে বুকে,
ঘুরে ফিরে দিকে দিকে
শূন্য অন্তর।
বুকে ব্যথা অসহায় বেদনায় বেদনায়
রুক্ষ সে প্রান্তর।
গতি নাই স্বপ্নেতে নাই দিশা কর্ম সে,
তীর বিঁধা পাখি সে যে
অশ্রুতে প্রাণ-
বঞ্জর প্রান্তরে খঞ্জরে প্রাণ ধরে,
আশাহত হৃদ গড়ে
হিংসার গান।


এই কবিতাটি খুব সম্ভবত অজিত কুমার কর মহাশয়ের আসরে প্রকাশিত কবিতায় লিখেছিলাম। রসোগোল্লা খেতে পারছেন না ডায়াবেটিসের জন্যে। ইচ্ছে হলেও স্ত্রী খেতে দিচ্ছেন না যতখানি মনে পরে। নোট করি নাই। আজ খুজলাম কবিতাটি ওনার পাতায় শিরনামে লিখবো বলে কিন্তু খুজে পাই নাই। তাও প্রকাশ দিলাম কারন "দুইটি কলি" কাল ঝরে যাবে তাই।


রোগ


হায় রে হায় দুঃখে আমার পরাণ গেল ফাঁটিয়া,
পাতিল ভরা রসোগোল্লা-ভাঁটির টানে
ভাসিয়া।
ধরতে গেলেই দূরত সরে কেমন দিতে রোগ,
বালাই ষাট কইতে নাই
এমনতর ভোগ।
চিন্তায় মোর ঘুম যে গেল ভাবছি কিবা হবে,
একান্নতে দিলেম পা
রোগটা দেখা দেবে!
না না বাবা এমন রোগ-ভোগ দিওনা প্রভু,
শুনেই যেন কেমন আমার
প্রাণটা নিভু নিভু।


প্রিয় কবি শ্রীতরুণ মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "কত দিন একটি দীর্ঘনিঃশ্বাস" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


বসন্ত


জঞ্জালে ভরা মন আধুনাতে-
শীত বসন্ত শরৎ
কি বোঝে!


মোহের আভরনে এ সি কুলার
আর মগ্ন নারীতে-
চির বসন্ত বিরাজমান-
খাঁজে খাঁজে।