(দুইটি কলি শেষের পথে আর মাত্র সাত টি পর্ব। অনেক কবির কমেন্ট বক্সে লেখা অনেক কবিতা প্রকাশ দিতে পারি নাই। তাই এই সাতটি পর্বে চারটির বদলে পাঁচ বা ছয়টি কবিতা হয়ে যেতে পারে। আপনাদের মর্জি যেটা ইচ্ছা পাঠ করবেন বা করবেন না। আমি শুধু লেখাগুলি প্রকাশ দিতে চাইছি। নইলে আমার অনেক কবিতার মত এগুলিও কালের স্রোতে ভেসে যাবে তাই। আশাকরি সহযোগিতা করবেন।)


প্রিয় কবি রবি ঠাকুরের পর আজ রাত ০৭/২৩ মিঃ ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিকে পুনঃ রচিত হল "আমার এই পথ-চাওয়াতেই আনন্দ"কবিতাটি


"আমার এই পথ-চাওয়াতেই আনন্দ"


নাইবা এলে চোখের কোনে নাইবা দিলে বাস,
তবুও তোমার মনের কোনায় করবো
বসবাস।
নাইবা দিলে হৃদয় তোমার চক্ষুশূল হতেই যদি,
তাও যমুনায় বইতে পানি
রইতে আমার-
বৈঠাখানি।
ভাসতে বাতাস তোমার আলয়
নাইবা হলেম চোখের তারা,
দৃষ্টি মধুর করুণ আঁখি-
তোমায় দেখে
দিশেহারা।
নাইবা এলে মিলতে আমায় নাইবা দিলে হৃদ,
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ রব-
জীবন মধুর
সঙ্গীত।
চাইতে রই পথের পানে রোশনি ঘন দৃষ্টি ভ্রম,
ভাবতে লাগি কুহেলিকা-আসছে আমার
পরম আপন।
চমকে উঠি মরীচিকায় স্বপ্নমহল ভাঙ্গতে দিশা,
আসলে প্রাণ চমকে দেখি-চৌদিকেতে
তমানিশা।
নাইবা এলে মিলতে আমায় নাইবা দিলে হৃদ,
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ রব
জীবন মধুর
সঙ্গীত।


প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "মধ্যবিত্ত পরিবার-(ব্যঙ্গ)"কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


শিঙ্গা


আহা! এমন কথা কন কত্তা
হৃদয় গেল পুড়িয়া,
ঢোল করতাল শিঙ্গা ফুঁকে
ভান্ড দিলেন
ফুঁরিয়া।


এমন জীবন কঠিন জটিল
জট পাকানো বেণীর মতন,
ছাল ছাড়াইয়া লবন ছিটা-
দিলেন করি অনেক
যতন।


রতন চাই সোনায় গড়া-
স্ত্রী রানী দেয় যে খোঁটা,
হরেক রকম বাদ্যি বাজায়-
মূখরা তেমন গোটা
গোটা।


পাইসা চাই বিরিয়ানি চাল-
চলন রানীর মতই তার,
দশ দিশাতে খুজলে পাবেন-
তাহার মতই
অবতার।


বেতন ছিল তিরিশ হাজার
লোনেই কাটে বিশ,
যেমন তেমন বলেন কবি-
খাবই নাকি
বিষ।


মোঃ সানাউল্লাহ (আদৃত কবি) কবিতা বিজয়ের বিবর্ণ রূপ-উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।  


স্বপ্ন


আর এক মুক্তিযুদ্ধের সময় আসন্ন।
বুলেট ধরতে আমিও আজ রাজি।
দৃষ্টান্ত গড়ে দিতে চাই
ধরায়।
বাংলাদেশ আমার পিতৃপুরুষের দেশ,
তাই আমার হৃদ আর
স্বপ্ন।
ভাবতে কষ্ট লাগে সেই স্বপ্ন ভূম
সেই আবাসন ফেলে পালিয়ে এসেছিল
আমার প্রপিতামহ আর
পিতা।
আমি কোনোওদিনও পালাতাম না প্রিয় কবি।
আমি খুব জেদী আমি চন্ডাল রাগে,
আমি কারোওটা চাই না শুধু-
শুধু আমারটা বুঝে নিতে
আমি খুব
পারি।
তাই তো বাংলার ভূম আপন ভাবি,
বাংলার জন্যে কেঁদে ওঠে
প্রাণ।
বিজয় দিবস
জিন্দাবাদ।


প্রিয় কবি এম. ওয়াসিক আলি মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "তারো আছে এক নাম" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


এই তো জীবন


এই তো জীবন আর কি!
এভাবেই উৎরে যাবে কাল।
ফিনিক্স পাখির ছোট্ট ডানায় লেখা হবে
ইতিহাস-
পদ্মা দিয়ে বয়ে যাবে বহু জল-
সূর্য ঢলে পরবে পরন্ত
বিকেল.
আবহাওয়া ভাল রইলে কিরনর্চ্ছটা,
মোহিত আলোকে সজ্জিত হবে
পশ্চিমাঞ্চল-
প্রাকৃতিক দুর্যোগ নেমে এলে এ শোভা থেকে
বঞ্চিত নয়ন।
সে আলোই থাক বা কালো,
টুপ করে অস্ত চলে যাবে সূর্যদেব-
তিনি যে কিছুই পরোয়া
করেন না।
রাতের আঁধারে লেখা হবে ইতিহাস-
পূবাকাশে আবার টুপ ধ্বনি,
আলোয় ঝলমলে হয়ে উঠবে
প্রকৃতি।
এ খেলা চিরন্তনের-
চলতেই থাকে চলতেই থাকে।


প্রিয় কবি সঞ্চয়িতা রায় মহাশয়ার আজ প্রকাশিত "গুনি" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


আমি দিদি মশা গুনি গুন গুন গুন করে
এক দুই তিন চার সারাদিন
মন ভরে।


রাস্তাতে চেয়ে থাকি কতগুলো গেল গাড়ি,
কটা গেল ধীরে ধীরে আর কটা
তাড়াতাড়ি।


আড়াআড়ি চেয়ে রই কটা গেল ছেলে মেয়ে,
কার ফ্রগ কত উঁচু-আর যাই
গান গেয়ে।


কটা কাক তারে বসে মিটিং এ তে ব্যাস্ত,
যারপরতারনাই সদা আমি
ত্রস্ত।


কটা গাছ নারকেল কটা হল সুপারী,
এইসব নিয়ে আমি-বেশ বড়
ব্যাপারী।


প্রিয় কবি শ.ম. শহীদ মহাশয়ের একটু আগেই প্রকাশিত "অমূল্যধন" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
(ফাউ কবিতা)
বাহ রে বাহ!


বাহ রে বাহ!


এমন অঙ্কই চাই যে আমি-
নিধন কোতল রক্ত
জলে,


স্বাধীনতায় পাতলে হাত-
পাঠায় দিব পাতাল
তলে।