অনিবার্য কারন বশত রাত ১২ টায় প্রকাশ দিতে পারি নাই । তার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত।


রবি ঠাকুরের পর ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিকে আজ পুনঃ রচিত হলো "অবসান"
"অবসান"


স্বয়নে স্বপনে নয়নের ভূমে উঠিয়া জাগিতে রব,
হিল্লোল কল্লোল বয়ে চলে অবিরল-
অশান্ত কলরব।
যে পাখি নীড়ভাঙ্গা স্বপ্নের নাই কিছু
অশ্রুর নীড়ে কিছু রয়ে যায়-কিছু বয়ে যায়-
ছাড়ে নাকো পিছু।
অঞ্জন ঘন আঁধারেতে-কোন সে বাজিতে সুর,
রজনী বিনীদ্র আঁখি-
বেদনা বিধুর।
সে ধ্বনি কি কূহর কর্ন-শুনিছে সে জনা
দিবারাতি নিত্য গাহিতে বহিতে-
আঁকিতে আলপনা।
যে জনা বিঁধাইল বক্ষেতে মম-শাণিত কৃপাণ বাড়ি
ঘন ক্রন্দন রোল উদিতে গগনেতে-
অশান্ত তুফানো লহরি।
বিহঙ্গ করুণো গীতি-ডানা ভাঙ্গা সে প্রবলো তীক্ষ্ণ আর্তনাদ,
দিকে দিকে দিকে দিকে-চমকিত অশনিত-
সহস্র বজ্র নিনাদ।
কম্পিত ধরা থরো থরো কাঁপে ভূপাতিত সহস্র গৌরব,
শত ফুলে শত কূলে-আজিকে তাপেতে-
হারিয়েছে সৌরভ।
অলি গুঞ্জনহীন শীর্ণ মহীরুহ শূন্য হৃদয়খানি,
ক্ষম দাও ক্ষমা দাও ওগো প্রিয়তমা
অবসান দিতে মম-
নিথর দেহখানি।


১৫-১১-১৯৯১ সনে লেখা কবিতা আজ প্রকাশ দিলাম।
মাগো


আকাশ ফুঁরে বৃষ্টি কেন হয়
মাগো আমার করছে ভীষণ ভয়,
ঘন কালো হলো কেন আকাশ খানা
সূর্যিমামা দিনেই গেলেন পাটে।


জানি আমি বলবে তুমি হেসে
সোনা আমার ভয় পেয়েছিস কিসে,
প্রখর তাপে বাস্প হয়ে জল
বাতাস বেয়ে পেল গগন তল,
ধূলার সাথে মিশে রংটি হলো কালো
মেঘে মেঘে ঘষে বিজলী দিল আলো।


বলছি আমি জানো তুমি মাগো
রাক্ষষ এক ঘন কালো হ্যাগো,
আকাস জুরে দাপিয়ে ঘুরে ফিরে
নিশ্বাসে তার ঝড় টি হয়,
ঘন কালো চুলটি তার আকাশ জুরে ওড়ে।


জানি আমি বলবে বোকা ছেলে
সাহসী হও ভয়টি পিছে ফেলে,
করতে হবে দেশের দশের কাজ
ধরতে হবে বীরপুরুষের সাঁজ।


আমি বলবো আজকে আমি মাগো
শুনবো নাকো তোমার কোনো কথা,
খাইয়ে দেবে আজকে নিজের হাতে,
গুনগুনিয়ে ঘুম পাড়াবে-
রাখবো আমি তোমার কোলে মাথা।


প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত কবিতার উত্তরে কমেন্ট  বক্সে লেখা কবিতা।
পরশী


পরশী মানে পর ও অসি
আর অসি মানে তরোবারি-
তাই নয় কি?
দুই ধারি কাঁটে-বটি বটি
এই হইলো গিয়া-
পরশী!
বুঝলেন কত্তা