অনিবার্য কারন বশত কাল রাতে দুইটি কলি প্রকাশ দিতে পারি নাই। তার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত।


রবি ঠাকুরের পর ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিকে আজ পুনঃ রচিত হলো "অনাবৃষ্টি"
"অনাবৃষ্টি"


অঙ্গান ছিনু ব্যথিত মননে তোমারি কামনাতে
রুক্ষ বঞ্জর তৃষিত কাতর ভূম,
লভিতে প্রাণ সুধার বারি
তোমারি আঁখিতে আঁখি পেতে।
আঁখিপল্লবে দেখিনু তোমার পারিজাত নন্দন ভূমি,
আকাশ চুমিতে বাতাস গাহিতে-
ওগো ওগো প্রিয়তমা-
ওগো পটনন্দিনী।
সাগর উথলো টল মলো বারি লহর তরঙ্গিত,
হৃদয় ভাসিতে সে বারি লহরেতে-
বাঢ়ে বাঢ়ে বাঢ়ে বাঢ়ে-
সে ভূমেতে আছরিত।
ঘনায়িত আঁখি কাঞ্চন বারি তোমারি করুণা সুধা,
বঞ্জর ভূম শুস্ক রোদনেতে,
কেঁদে কেঁদে কেঁদে কেঁদে-
লভিতে হরিৎ বসুধা।
টলমলো আঁখি ঝরে নাই বারি একটি কনক সুধা,
রুক্ষ ভূমেতে সে বীজ রোপিতে-
জ্বালিতে প্রাণ সজীবতা।
হেরিতে হরিৎ শস্য শ্যামলা স্বর্ণ শোভিত শোভা
বিন্দু দানেতে সিন্ধু রচিত,
বহিত সে বঞ্জর ভূমে-
অনন্ত প্রেমের প্রভা।


প্রিয় কবি যাদব চৌধুরি মহাশয়ের আসরে প্রকাশিত 'বায়না' কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে সেদিনের লেখা কবিতা।
গন্ডগোল


বুলবুলি তুই কোথায় গেলি মেলা এসেছে
গহনা গাঁটি পুতুল কতই খুকি কিনেছে।
খুকির মা কি যে ভালো-
লাগলো আমার খুব
ভাবছি মেলায় চল বুলবুল
আমরা দিব ডুব।


ডুব সাঁতারে কলের গাড়ি
রেল গাড়িতে চোড়বোই
নাগরদোলা তাও কি বাদ
শক্ত করে ধরবোই।
গোলক ধাঁধার গোল মেশিনে
ঘুড়তে হবে বন বন
ফুচকা খাব দই বড়া তাও-
বাকিটা তোর কানে শোন।


ফিসফিসিয়ে যা বলেছি
রাখতে হবে মনে
জোর দিয়ে বুল বল্লাম না
লাগবে রে সম্মানে।
ইতি উতি দেখেই যদি
শিস বাজালি তুই
দুচার হাত পড়বে ঘাড়ে
বলছি আমি সই।


তাই কি বলা মেলায় গেলাম
বুলবুল যে হারিয়ে গেল
হাপুস নয়ন ভাবছি বসে
কোথাও কি ও মার খেল।
যেই ভাবনা তাকিয়ে দেখি
বুলবুল সে হল্লা বোল
আর নেবনা মেলায় তোকে-
বাঁচতে দারুন গন্ডগোল।


প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত কবিতা "করণীয় কর্ম-(ব্যঙ্গ) কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
গীতা মাহাত্ম


রে বুলবুল চল লেগে যাই কর্ম দিয়ে মাত করি,
আকাশ সাগর জ্যোছনা আলো
চাঁদ তারা ওই কিরন ধরি।
তাওতো বল বলবে না কেউ-আকর্মার ওই ঢেকি
বুদ্ধি এবং বিবেক দিব-একটুকও নাই ফাঁকি।
ফাঁক ফোকরে বাঁদর পনা-কোরবো না-রে ভীষণ মানা,
সাবধানেতে শিস বাজাবি-দেখলে দারুন সোনা সোনা।
অং বং চং ফুস মন্তর যাদু টোনা কুমন্তর-
দিতেই যদি কানে,
কান পেতে ভাই শুনবো হৃদয়-ছুড়তে শ্মশাণে।
কর্ম এবং সাধন যোগ ভিন্ন ভিন্ন পথ রে বুল-
বুলি তুই জানিস কি?
দুই পথেতেই মোক্ষ লাভ-মন দিলে রে সহজ অতি।
সাধন মোদের সাধ্য নাই-তুই বুলবুল পারবি নারে
তার চেয়ে বরং পার হতে যাই
শ্রী গীতার ওই মাহাত্ম রে।


প্রিয় কবি laxman bhandari মহাশয়ের কবিতার উত্তরে সেদিন কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
অজয় নদী-(২)


বিহার তোমার জন্মভূমি ছোট্ট পাহাড় শিলা
রং বেরঙ্গা স্বপ্ননদী
বঙ্গে বহিলা।
ভাগীরথী প্রাণ যে তোমার রূপ সে তোমার চন্দ্রমুখী,
দারুন স্রোতে প্রাণ যে ভাসে
বঙ্গে তোমার দারুন গতি।
শাল পিয়াশাল পলাশ ঘেরা স্নিগ্ধ শ্যামল গড়লে তুমি,
গর্ব মোরা বুকটি ধরে ধন্য তোমার-
চুমতে ভূমি।
পর্তুরাজার ঢিপির মাঝে লুকিয়ে আছে সভ্যতা,
তোমায় ঘিড়ে প্রাচীন নগর
ইতিহাসের কতকথা।
গীত গোবিন্দ জয়দেব জন্ম তোমার ধন্য ভূমি,
নজরুল প্রাণ অন্ত আমার তাইতো তোমায়-
আকাশ চুমি।