রবি ঠাকুরের পর ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিকে আজ পুনঃ রচিত হলো "আকাশ"


"আকাশ"


আকাশ আমার অন্ত প্রাণ দূর লগনের দিশা,
আকাশ আমার আপন জনা
দূর মহাকাস ভিসা।
ভিসায় আমি ভাসভে আছি-সারা জীবন ভরে,
আকাশ আমার হৃদয় আলো-
বক্ষে রাখি ধরে।
যখন ছিলেম ছোট্ট শিশু তাকিয়ে দেখে নীল,
শুভ্র বরণ মেঘের শোভা-
দেখতে অমলিন।
শৈশবেতে মনটি পেতে-দেখতে মেঘের শোভা,
হারিয়ে যেতাম দূর গগনে-
রূপ সে অপরূপা।
জন্তি দানো পাহাড় আকাশ-মেঘের মাঝেই গড়ি,
স্বপ্ন পূরণ গল্প যেন-
আকাশ গড়াগড়ি।
সেই আকাশে এখন বেলায়-চাইতে নাকো পল,
দুঃখ দরদ গুমরে কাঁদি-
হৃদয় হীনো বল।
কল কাকলি ভুলতে চলি-হিংসা এবং দ্বেষের অনল,
ভাঙ্গছে ডানা প্রজাপতির-ধ্বংস সে তো
সাধের কানন।
পল্লবীতে সুরের গীতি-আর লাগেনা চক্ষু যেন,
চৌদিকেতে ধ্বংস রবে-পাতাল ফোঁড়া
দস্যু যেন।
তালপাখার ওই মিষ্টি হাওয়ায়-আর যেন নাই সুখ,
বিষাদ বায়ু ঘোর সে ঘটা-
আকাশ ভরা দুখ।
প্রাণ সে প্রভু দিলেন ধরা-আকাশ নিলেন কেড়ে,
দ্বেষ বিদ্বেষ হিংসার গান-
এখন আকাশ জুরে।
আর ভাবিনু এই জীবনে-ঈশ্বরেতে দারড়ে কই,
না দিলি তুই আকাশ আমায়-তোর দোরেতেই
আকাশ ছুঁই।


প্রিয় কবি বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায় (পুলক) মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "ছাতা আবিস্কার" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


"ছাতা আবিস্কার"


বৃষ্টিতে নাকাল রাজা শরীরটা ভিজে ঢোল,
রাজা বলে আন সে মুচিটারে
পিটায় চামরা খোল।
চামরাতে মাথা ঢাকা বায়ু টায়ু
ঢোকে না যে,
নচ্ছার মুচিটারে শূলে তুলে দাও আগে।
দড়া দড়ি গড়াগড়ি মুচি কাঁপে থর থর
শূল যাওয়া ভয় পেতে-কম্পিত জরসর।
বলে রাজা মাফ দিন চামরাই ছুঁব না
লোহা দিয়ে অস্ত্রের গড়ে দেব কারখানা।
কিছু দয়া হলো রাজা চর্মটা মাথা খুলে,
বলে থাক ছেড়ে দাও-দিও নাকো ওকে শূলে।
দিন যায় চিন্তায় প্রজা সবে ভেবে যায়,
কবে কে যে খাঁড়া পাবে-সেই ভয়ে চিন্তায়।
একদিন দ্বিপ্রহরে ধুম ধাম নামে জোরে
ধুপ ধাপ টুপটাপ-রাজা খিল দেয় ঘরে।
চিন্তায় চিন্তায় রাজকাম মন্দায়-মন্ত্রীর ঘুম নাই,
কি যে হবে দেশটার-চেষ্টার শেষ নাই।
সেই দিন বাঁদরেতে-
কচুপাতা মাথা পেতে বৃষ্টিতে বাঁচছিল
কামার ওই সেই ক্ষণে-পথ দিয়ে যাচ্ছিল।
যেই দেখা ভাবে সে তো-এই ভাবে হবে ঠিক,
ডান্টিটা লাগিয়ে কাপড়েতে ঢেকে দিক।
যেই ভাবা সেই কাজ-ডান্টিতে গোলাকার
কাপড়েতে ঢেকে দিয়ে-আনে সে যে ছাতাটায়।
যেই দেখা মন্ত্রী-গবু বলে হেসে উঠে-
বাছাধন জানা ছিল বুদ্ধিটা-বহুকাল আগে হতে।


প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "আদিমে অবগাহন" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


কেন?


যেন প্রাণ দোলা দিল গহনেতে গভীরেতে,
কেন রোল অন্যায় বয়ে চলে
শত ফাঁদে।
বাতাসেতে প্রাণোবায়ু উচ্ছল কেন নাই,
দিকে দিকে ঘন ধরা-ধ্বংসের
রোল পাই।
কেন প্রাণ কেঁদে ওঠে সংকুল বিপদেতে,
রাশভারি কেন প্রাণ-সভ্য
এ সমাজেতে।
ভাবি তাই কবিতাই যেন প্রাণ সম্বল,
আমি কবি সঞ্জয় ডাক নাম-
ভোম্বল।
ভোলেবাবা কবে পার দিতে নেমে ধরাতে,
ভাবি মন ডাক দিতে-জোড় করে
ত্বরাতে।
নেমে এসো ধরাতলে পার দিতে মানবেতে,
বারে বারে যাই তাই-লিঙ্গতে
জল দিতে।
কবে বাবা জাগ্রত মর্মর শিলা হতে
এক ধরা পৃথিবীর-মুক্তির
আলো দিতে।


প্রিয় কবি সোমালীনিরঝরা(মৃণালিনী) মহাশয়ার আজ প্রকাশিত কবিতা "মৃত্যু" ইংরেজিতে প্রকাশের উত্তরে ইংরেজিতে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
(ফাউ কবিতা)
অনেষ্ট


ইয়েস ম্যাম ইয়েস। ডেট ইস ভেরি অনেষ্ট
নেভার এভার ডিসিভ এনিওয়ান
ভেরি কারেক্ট এন্ড পারফেক্ট-
সিনসিয়ার এন্ড পাংচুয়াল।
ডাজ ওয়ার্ক ইন টাইম-
অলওয়েজ।