রবি ঠাকুরের পর ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিকে আজ পুনঃ রচিত হলো "অক্ষমতা"
"অক্ষমতা"


জীবনো চরিতো উব্ধ সোপানে অনন্ত হুতাশন,
উদাস বায়ু সে বহিতে লহুতে
বিষাক্ত হলাহল।
পরান মণিতে মণিহার ডালিতে প্রানান্ত আশা লয়ে,
ঘুরিতে ফিরিতে আশাহত পলে পলে
বেদনার স্মৃতি বয়ে।
লভিতে ইষ্ট কামনার ঢল সংসার দিশাহীন,
গাহিতে সুধার পরমো শান্তি
শৃঙ্খলা বিহীন।
দেহীতে নাহি প্রাণ নাহি কায়া নাহি মন,
চরিতে জীবনো গড়িতে সোপানো
দিশা সে মতিভ্রম।
পাষাণো কঠিনো মর্মর তানে জীবন রুধিত গীতি
অক্ষম আমি অক্ষম আমি
আমারি পরিচিতি।


প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "মাঝি" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
অবরাহী  


জীবন তারনো সারণী বেয়ে আকাবাঁকা অপ্রতুল,
ডালে ডালে শাখায় শাখায়
ভরিতে মুকুল।
গোলাপ বকুল হাস্নেহানা-শতদল কোকোনদ,
কভু আঁধারো গহীনো দিশা
বজ্র নিনাদ।
শৃঙ্খলে বাঁধা বজ্র আঁটুনি রাধা তোলে রোল,
জীবন নদের কূলেতে ভাসি
চরা উৎরোল।
সঙ্গীত ময় জীবন কভু কেঁটে যায় তাল,
লহরেতে লহরেতে ধরিতে দিশা
তরী বেসামাল।
ত্বরিতো ধরিতে বৈঠা কিনারেতে মাতমো করণো সুর,
রাগ সে রাগিনী ভোগ সে কাহিনী
শীতল বাতাস দূর।
লহু সে প্রদাহে কান্না ঝরানো উদাস গগন তল,
ঘেরিতে প্রাণেতে বক্ষ হরণে
গরলো বাতাস অবিরল।
ভাবি সে কান্তি কোমল বদনো হিয়ারো কঠিন কেন-
কেন কেন কেন খুঁজি সে উত্তর
বেদনার গীত যেন।
আকাশ ঘন রোল ভৈরবে দিশা প্রাণের উৎস মুখে,
গরলো বাতাস বাতায়নে পশে
করুণো সে দিকে দিকে।
কান্ডারী মাঝি একেলা হেরিনু আসেপাশে কেহ নাহি,
ঈশ্বর স্মরণে জীবনো সে রণে
যুঝিতে রাহা পাহি।
রাহা সে ঞ্জান উন্মেষ প্রাণে বেদনা হেলায় দ'লি,
দুঃখ দরদ গরল বিষাক্ত-
করে চলি কোলাকুলি।
দহনো নিমেষে হেলায় মারিয়া ঈশ্বরে গীত গাহি,
সসাগরা বসুধা মাতা
ধন্য আমি অবরাহী।


প্রিয় কবি স্বপ্নময় স্বপন মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "কামময়ী" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
টুপটুপানি


নারে ভাই নারে ভাই
পরকিয়ায় কাম বাঁধে নাই,
রস রসালো টুপটুপানি-
কলের ঘানি টানা নাই।


নারে ভাই নারে ভাই
পরকিয়ায় কাম বাঁধে নাই,
রসের তরে রাশ না ধরে-
কারুর বাসা ভাঙ্গা নাই।


ওই দিনেতে দেখলি কিনা-
চপচপানী চাবুক মারা,
চপ চপা চপ পরলো কেমন-
যখন ওরা পরলো ধরা।


তাই বলি কি মন্দ মতি-
হোক না যতই টইটুম্বুর-
রসের বড়া নাই বা খেলাম-
ঢেকুর ওঠা জ্বর সম্বর।


নারে ভাই নারে ভাই
পরকিয়ায় কাম বাঁধে নাই,
রস রসালো টুপটুপানি-
কলের ঘানি টানা নাই।


প্রিয় কবি কবির সরদার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "কুয়ৎ" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
(ফাউ কবিতা)(শেষ দুলাইন কবির উত্তর)
কইতে নাই


হ হ। ঠিক কইছ্যান কত্তা-
বেহুদ্দা হ্যালা শহরের মাইয়া আর বউ গুলান,
মুখত মুখরা জগৎ মারিতং স্বভাব।
আর কত্তা তো আর-আয় যা হয়-
হ্যালার ম্যাক আপেই আধা চইলা যায়-
স্বামীগুলান রে চিপপ্যা চুইস্যা-
হ্যালায় ছিবড়া বানাই ফ্যালে।
হেইগুলান হ্যালায় বজ্জাতি কইরা-
কূলনারীর হ্যালায়-
বারোটা বাজায় দিসে।
হেই কতা কইতে নাই,
হেইলে ঘরে লাগব অশান্তি।