উড়াউড়ি


আজ বুলবুল মন ভাল নেই কিছুই ভাল লাগছে নারে
এমন দিল নাকান চোবান পরছে মনে বারে বারে।
নাই কামেতে কেউ যদি রে উড়ো খই ধরতে চলে
চামরা খিঁচে দামড়া তেজে রাখতে চলে তার বগলে।
কবি হলেও মানুষ তো রে হৃদয় এবং মন তো আছে
হৃদয় কি আর সুর তোলে রে হাত ধুয়ে কেউ পরলে পিছে।  
ওই ব্যাটা তুই বাজাস কেন একটু চুপ করনা বে
তোর শিসেতে মোর হৃদেতে-শেলের মতই বিঁধছে রে।
কান্না পায় জানিস বুল-বিনা দোষে ঠুকলে কেউ
এমন তেমন বাক্যবানে-কানের দোরে ভুকলে ভেউ।
আবার বাজাস! তুই তো বে-বাগ বেবাগী বউটি নেই
রাস্তাপানে অনেক দেখে-বাজাস সিটি দুর হতেই।
করনা বিয়ে বুঝবি ঠেলা-আমার হলো বাইস সাল
টগবগানো টাট্টু ঘোড়া-বছর পাঁচেক ছাড়ায় ছাল।
তাই কি শুধু তার ওপড়ে লঙ্কা গুড়া ছিটায় রে
অনেক জ্বালা জ্বলণ জ্বলে-মনটা আমার খারাপ বে।
তাই বলি কি কথাকলি-চল হিমালয়-চল চলে যাই
টাল মাটালে টলিস কেন-ওহো! তোর কথাটাই ভুলে খাই।
চলনা বুল ওই খানেতে ঋষি মুনির বাসা অনেক
এঁঠেল মাটি নিয়ে যাব-দু দশ মন বস্তা খানেক।
মাটির পরী গড়ে দিয়ে-ফুক দিয়ে ভাই জানটা দেবে-
উড়ে ঘুরে করবি খেলা-শিস দেওয়া তোর বন্ধ হবে।
তাইলে বুল বলেই দিলাম-দিনক্ষণ সব ঠিক করি
আমি গাথা লিখব অনেক-তুই করবি উড়াউড়ি।


প্রিয় কবি এম এ মতিনের জন্মদিনে


মতিন সাহেব আপনি কোথায় সাড়া শব্দ রা টি নেই
জন্মদিনের কবিতাটি কোন খোপেতে
কোথায় দেই।
মতিন সাহের একটু যদি আঁধার হতে হলেন বার
দেখতে পাবেন আসরটাতে-ঢল নেমেছে
শুভেচ্ছার।
জীবন নদে মতিন সাহেব-এই দিনটি আলোক ধরা
করতে আলো ধরতে ধরায় প্রাণ দিয়ে ওই
জীবন গড়া।
মতিন সাহেব ব্যাস্ত মানুষ-জোড় করে গাই ঈশ্বরেতে
জীবন শুভ করতে ধরায়-শান্তি সুখ
অনেক পেতে।
ডালায় ডালায় ভরিয়ে দিতে-উড়তে গগন আকাশ ছোঁয়া
বইতে সাগর ভবের দিশা-শান্ত লহর
গানটি গাওয়া।
সৃষ্টি সৃজন শিল্প গানে-পলাশ ঝরুক সেই ভুবনে
টুপ টুপ টুপ সুখের বারি-সিঁদুর রাঙ্গা
সেই আগুনে।
মতিন সাহেব কোথায় গেলেন একটি বার করছি আশা
দিনটি আসুক হাজার বরষ-প্রেম প্রীতি ও
ভালোবাসা।


জন্মদিনে অনেক অনেক শুভেচ্ছা কামনাতে জোড় করে পরমপিতা ঈশ্বরের কাছে আপনা সুস্থ নিরোগ লম্বা আয়ু আর অনেক অনেক সুখ শান্তি কামনাতে আপনার প্রিয় সঞ্জয় কর্মকার।


প্রিয়কবি ড. শাহানারা মশিউর মহাশয়ার গতকাল প্রকাশিত "বিষ দাঁত" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
দিশেহারা


ভাবি মন কবে হবে সমাপন-এ রুধির ধারা
একতারা গাইবে বাউল
কবে-কবে কবে-
সুখ সুনিবিড় বহিবে ধারা।
উদিত রবি রোশনাই
জ্বেলে দেবে দ্বীপ-
শূন্য এ প্রাণ কেঁদে কেঁদে কয়-
কভু কি জ্বালিতে প্রদীপ।
হৃদয় শূন্য মরূঝর যায় বয়ে
অবসান কবে হতে ধরা
আর কত রইতে সয়ে।
ভগবান করুণা নিধান
শুনিছো কি তুমি ধরা-
এক পৃথিবী তুমি নির্মল করো প্রাণ
ত্রস্ত দিশেহারা।


প্রিয় কবি সমীর প্রামাণিক মহাশয়ের গতকাল প্রকাশিত "কণা" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
বিহা


এক সাগরে চোখের কোণা
তাও কি ভরে ভাবি-
লিখতে ছড়া পদ্য গানে
বলছি আমি কবি।
স্বপ্ন পূরণ গল্প বলে ঠাকুরমার ঝুলি
সপ্ত সাগর আঁখির কোনায়-
মিষ্টি মধুর বুলি।
সাগর লহর ঢেউ তুলে যায়
হৃদয় কিনারায়-
ঢেই কি তোলে সাগর বারি-
চোখের আঙ্গিনায়।
সাগর সে তো চোখের তারায়
স্বপ্ন দিলে প্রিয়া-
এবার আসল কথা বল
কবে করবা বিহা।