রবি ঠাকুরের পর ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিকে আজ পুনঃ রচিত হলো "বৃষ্টি পরে টাপুর টুপুর"
"বৃষ্টি পরে টাপুর টুপুর"


দিন যায় বেলা পড়ে দিগন্ত পার  হতে
আকাশটা মেঘে ঢাকে
গুরুগুরু চমকিত বিজুলির চমকেতে।
ঝম ঝম বারিধারা নেমে আসে ধরাতলে
যেন মেঘ বলে আজি ধরা যাবে রসাতলে।
কর কর কর্কর রব সে গুরু ধ্বনি
অশনিত বিদ্যুৎ যেন প্রাণ নিতে টানি।
তারি সনে ঝড় বায়ু তরু লতা দোল দোলে
যেন জল বারি পেয়ে নৃত্যতে প্রাণ ভোলে।
মন দোলে প্রাণ দোলে ঠাকুমারই কথা গান
বৃষ্টি পরে টাপুর টুপুর নদেয় এলো বান।


ঘন কালো আকাশেতে শশাঙ্ক দিশা খোজে
নাই রাহা ফাঁক ফালি জলধিতে জলধিতে।
জল প্রাণ দিতে বারি গাছে গাছে বীজ মাঠে
গম্ভীর গুরু গুরু চমকেতে চমকেতে।
অশনিতে মেঘ ফাঁটে শিশুকাল দেয় ধরা-
ভয় পেয়ে শিহরণে মার ক্রোরে ঘোরাফেরা।
সেই খানে ভয় নাই স্নেহ ভরা মার গান-
বৃষ্টি পরে টাপুর টুপুর নদেয় এলো বান।


পাখি দল নীড় ভাঙ্গে সারি বেঁধে কার্নিসে
বুলবুলি লন্ঠনে ভাবে তারা যাবে খসে।
নদী নালা খাল বিল টূপু টূপু ভরে যায়
বিল ঝিল মুক্তিতে মাছ গুলি যেন পায়।
পথ ঘাট মেঠো পথ কানা কানা জলে ভরা
শৈশব ধেয়ে আসে-দিনগুলি মনোহরা।
কাগজের নৌকাটা জলে ছেড়ে-
গলা ছেড়ে সেই গান
বৃষ্টি পরে টাপুর টুপুর নদেয় এলো বান।


ঘন কালো জলোবায়ু চাঁদ তারা দিশা খোজে
মার কোলে শিশুপ্রান ভয় পেয়ে চোখ বোজে।
অশান্ত ঘনরব ঘূর্ণিত প্রদাহেতে-
উড়ে ঘুরে বায়ু তোলে
টিন হতে টুপ টুল বিছানাতে জল ঢলে।
ঘটি বাটি মামুনি বিছানাতে হেথা হোথা
টুপ টুপ টুপ টুপ বাটি জল ইতিকথা।
ভৈরব মানে নাকো বিশু ওই পাগলাটে
হাসি প্রাণ খুশি মন দেখি মোরা জানালাতে।
ভিজে ভিজে বৃষ্টিতে গলে সুর মিঠা গান-
বৃষ্টি পরে টাপুর টুপুর নদেয় এলো বান-
শিবঠাকুরের মান ভাঙ্গাতে সোনা ধরে গান।


প্রিয় কবি অনন্ত গোস্বামী মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "কৃষ্ণকলি" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
কইন্যা


কইন্য জাইও না জাইও না হিতাক মন ভুলায় তোকে-
হেলায় তোরে ছিবড়া বানায়-
ফেলায় দিব দালান হতে।


হেই কইন্যা! সেই কান্না-কাদবি জীবন ভর,
তুই কইন্যা দূর্গা হ না-
কালীর রূপ ধর।


মস্ত খাঁড়া মুন্ডু কাটি-হাতে উঠায় ধর না রে-
গিলতে আমি রক্তগুলান-
গৃদ্ধরূপ ধররো রে।


তুই কালিকা চ্যালা আমি-চল বে চল হিসেব করি-
পায়ের তলে পিষতে পাপ-
ধ্বংস গানে মানুষ গড়ি।


প্রিয় কবি শম্পা ঘোষ মহাশয়ার আজ প্রকাশিত "জীবনকে বোঝার অনুভূতি" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
ধন্ধ


জীবন ধারার গল্পকথা ক্ষণিক গেলাম থেমে
মিষ্টি কথার মধুর বোলে
জীবন নামক গেমে।
গেম তো নয় গমগমানো গিমক তোলা ছন্দ রে-
বুলবুলি তুই কোথায় গেলি
লাগছে আমার ধন্ধ রে!
পাগল পারা জীবন নদে উছল বানের ঢেউ যে বহে
বাঁধনছাড়া দুখের বানে-
সৃষ্টিছাড়া প্রাণ সে রহে।
বাঁধতে সেতু দুপাড় উঁচু জীবন জ্বালা যন্ত্রণা;
প্রিয়ার আঁচল দূর সে বহে-
ভালোবাসা কল্পনা।
আর দূর আর-না যাবনা বাঁধতে জীবন তরী
আর জন্মে খুজতে নাকো
স্বপ্ন ধরা পরী।


প্রিয় কবি হুমায়ুন শরীফ (প্রবাসী কবি) মহাশয়ের আজ প্রকাশিত কবিতা "মুগুর ধোলাই" এর উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা (ফাউ কবিতা)
মুগুর


মুগুর টুগুর কানেন্ট বাণ রেজিস্টেন্ট ওরা
দ'লতে গিয়ে ফাঁপরি ফাঁদে
পুড়তে আগুন ঝরা!


নাই কাম তো খই ভাজ না-
এমন বুলি ডাকতে বান,
ওই শোন ওই বলছে কি রব-
বলছে জনগন।


যেমন আছি তেমন থাক
রাত বিরাতে কইন্যা ঘরে-
ওদের পিছে পরতে না যাই
বুক দুর দুর কাঁপন ধরে।


এইবারে বুঝলেন কত্তা।
কেউ আইব না আপনার
আমার ডাকে।