প্রিয় কবি ড. প্রীতিশ চৌধুরী মহাশয়ের আজ প্রকাশিত সুখী (অনু কাব্য ১২) কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
হিসাব আপনা আপনা।


এইতো আমি বেশ আছি কুঁড়েঘরেই সুখে-
ধনী তুমি ধন কারবার-
দালানেও নাই সুখে। হিসাব আপনা আপনা।
এইতো আমি  খাচ্চি তো বেশ-মোটা চালের ভাত-
তুমি খাচ্ছো বিরিয়ানি চাল-
অসুখ বারোমাস।
আমি তো বেশ সুখেই থাকি-ধন বার নাই ঘরে-
দুচোখ তোমার জোড় লাগে না-
নিলই যদি চোরে।
জীবন আমার বিন্দাস তাই-দিন গুজরান সুখে-
তোমার তো ভাই মিতসুবিশি-
হীরে মোতির দুখে।
কামাই আমার দুই পয়সা-আর তো না চাই বেশি-
তোমার তো ভাই কান্না অনেক-
যাবে গয়া কাশি। হিসাব আপনা আপনা!
তোমার আমার একই গতি-সামনে শ্মশান ঘাট-
আমি সুখের পায়রা পুষি-
তোমার অবসাদ।


প্রিয় কবি এস এম নূরনবী সোহাগ মহাশয়ের আজ প্রকাশিত কেন আসা কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
সারমর্ম


কেন! কেন! কেন আসি বা মৃত্যুর পরই বা কোথায় যাই
অথবা আদৌ যাই কি না-এখানেই পঞ্চভূতে বিলীন সত্তা!
কে বলতে পারে।
জীবন আগুনের শিখা স্বরূপ-যতক্ষণ জ্বলছে ততক্ষণ স্থায়িত্ব।
নিবে গেলে শিখারও অস্তিত্ব নাই।
আত্মা অবশ্যই রয়েছে তাই তো ভাব ভালোবাসা
প্রেম প্রীতি দুঃখ ক্রোধ লাজ লজ্জা ইত্যাদি
সুক্ষ অনুভূতি গুলিকে অনুধাবন করতে পারি.
কিন্তু আগুন নিভে গেলে সে অস্তিত্ব থাকবে কি!
কে জানে প্রকৃতির সে গুঢ় নিয়ম তত্ত্ব!
যিনি অপরিসীম অনন্ত মহাকাশে লক্ষ কোটি তারামন্ডল
আর তাতে প্রাণরূপী হাজার হাজার রূপভেদ দিয়েছেন-
যার ঈশারাতে অক্ষে কক্ষে সুশৃঙ্খলিত পর্যায়
গ্রহ তারা নীহারিকা ঘূর্ণায়মান-
তার সে অকল্পনীয় শক্তিতে কি না করতে পারেন।
কেন এই আসা আর যাওয়া এ চক্রায়ণ-
একমাত্র তিনিই জানেন সারমর্ম।


প্রিয় কবি রঞ্জন গিরি মহাশয়ের আজ প্রকাশিত ভাইফোঁটা কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
ভাইফোঁটা


ভাইফোঁটা আমাদের বাড়িতে বিশাল এক পরব ছিল একসময়।
আমরা দুই ভাই আর এক বোন
আর আমার মেঝ জ্যাঠামশাই এর ছয় ছেলে-সবাই আমাদের দাদা।
তাদের কোনো বোন ছিল না।কালীপূজার পর ভাইফোঁটার এই দিন টায়-
সরগরম হয়ে উঠতো আমাদের বাড়ি।
রকমফের রান্না বান্না আর সকাল সকাল স্নান সেড়ে-
দিদি আমরা নতুন জামাকাপড়ে রেডি হয়ে উঠতাম।
এসব চিন্তা করতেই ভাবাবেগে দুফোঁটা জল গড়িয়ে পড়ল চোখ বেয়ে।
আমাদের ফোঁটা দেওয়া হয়ে গেলে চলতো অপেক্ষা-
দাদারা কখন আসবে কারন তারা বিভিন্ন-কাজ কর্মের মধ্যে থাকতো।
তাই সকাল থেকে সন্ধ্যা কোনও বৎসর-
রাত অবধি চলত ভাইফোঁটা উৎসব।
ঘন ঘন শাঁক আর ঊলুধ্বনি রর্।
ভাবতেই আবেশিত হয়ে উঠছি।মাথা ঘন হয়ে উঠছে আর চোখ ছলছল।
এক বৎসর তো এক ঐতিহাসিক উক্তি সৃষ্টি হয়েছিল এই ভাইফোঁটায়-
যা কিনা মনের মণিকোঠায় শেষ দিন প্রর্যন্ত বেঁচে থাকবে।
সেবার এক দাদা দিদিকে একটা সুন্দর টেবিল ল্যাম্প উপহার দিয়েছিল।
কথাচ্ছলে দাদা দিদিকে জিঙ্গাসা করেছিল-এটা দিয়ে কি করবি।
খুকু দিদির অকপট জবাব ছিল-কেন যখন লাইট চলে যাবে তখন জ্বালাব।
হাসির রোল উঠেছিল ঘর জুরে।
আজ আর সেই দিন নেই। সব হারিয়ে গেছে কালের স্রোতে।
এখন সবাই ভিন্ন ভিন্ন-দিদিও থাকে অনেক দূরে।
অখন আর আমাদের বাড়িতে ভাইফোঁটা হয় না।


প্রিয় কবি প্রবীর চ্যাটার্জীর আজ প্রকাশিত আমার ভালোবাসা কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
(ফাউ কবিতা)
নেমে এসো


কি হবে কবি রোমান্টিক ভালবাসাবাসিতে-
এসো নেমে এসো পথে-
হেথা শত কত-
ক্ষুদার্ত কাঁদিছে।