প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত ঝাড়ফুঁক-(ব্যঙ্গ)-৩ কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
পোদ্দারি


(I)
রে বুলবুল চলনা আজ নাইট ক্লাবে লিখাই নাম-
রাস্তাঘাটে বাজাস শিস-হচ্ছে রে ভাই বদনাম।
তার চেয়ে বরং নাইট করি-শরীর মন থাকবে ভালো-
দিনের বেলা সং সেজে রই-ঘুঁচবে মোদের নামটি কালো।
(II)
বাপের ধনে পোদ্দারিটা মারতে ভালই পারিস তুই-
বাপ তোর হুতুম পেঁচা-আজকে আনিস হাজার দুই।
আজকে তুফান তুলতে আসর-এক পাইট মারতে গোটা-
দিব্যি কশম বলছিরে বুল-দুচার হাজার কলি ফোঁটা।
(III)
পড়া লেখায় ঘন্টা হবে-হাজার লাখ খাচ্ছে হাওয়া-
ক অক্ষর তোর বাপটা তেল চকচক মাঞ্জা দেওয়া।
ইন্টার নেট খেল খেলাতে-শিখতে হবে ছলা কলা-
ছ্যাচরামি আর ছল চাতুরি-চাকরি দেবার গল্প বলা।
(IV)
কবি হতে কাজ নাই ভাই-লম্বা জামা ব্যাগটি কাঁধে-
পায়ে ধরে সাধাসাধি-রা দেয়না তাও রে রাধে।
ভাবনা সমাজ করুন চোখে বিরহ আর প্রেম কথা-
নিত্য বেলা গিন্নি আগুন-খিস্তি খামার মনের ব্যথা।
(V)
হেইডা ভাল কইছে কথা-শিরনামে আসতে ভাগা-
শিক্ষা আর ঞ্জান নিয়ে ভাই-হবই কেনো হতভাগা।
হপ্তা তুলি মাঞ্জা মারি-যখন তখন মস্তি আর-
চোখ তুলবে মুখ ফুটবে-সাদ্য আছে এমন কার।


প্রিয় কবি ড. প্রীতিশ চৌধুরী  মহাশয়ের আজ প্রকাশিত রূপ(অনু কাব্য ১১) কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
গীত


মনের আয়নায় প্রতিফলিত হয় আচরণ-
ষষ্ট্র ইন্দ্রিয় করে সে ঘ্রাণ প্রতিফলন।
দীপ্তি সুর শৌর্য প্রভা স্বর্ণ আলোক আভরণ
হৃদয় গহন প্রেম সে মতি-হীরক জ্যোতি বিচ্ছুরণ।
গহীন আঁধার তামস কালো মন সে ঘন অতি-
বাহ্য রূপে দাহ্য তা হয়-রূপ সে করাল মতি।
গরল সে প্রাণ ধরতে ধরা-আকাশ আলোক কাঁদে-
জ্বাল বিচুটির জ্বলজ্বলানি-হাজার শতেক ফাঁদে।
ফরিয়াদে আকাশ বাতাস-আর্ত সে রব ধ্বনি-
অন্যায় আর রক্ষ রিপু-শেষ সে প্রহর গুনি।
আজকে ধরা প্রভাত আলোক-লহু স্রোতের আগুন জ্বালে-
দেশ বিদেশে মর্মর প্রাণ-মানবতা মারিয়ে চলে।
শৌর্য সোপান হীরক প্রভা-নাই সুর নাই দীপ্ত জ্যোতি-
নাই সে ঘ্রাণ স্বর্ণ আলোক-জীবন গরল করুণ অতি।
তাই তো কাঁদি পরম পিতা-হৃদয় আলোক জ্বালাও দীপ-
দিক বিদিকে ভ্রান্ত মানব-ভ্রষ্ট নীড়ে সুখের গীত।


প্রিয় কবি শ ম শহীদ মহাশয়ের আজ প্রকাশিত পাকাছেলে কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
গুলাবি


হায়রে হায়! কি উপায়-ছেলে পাকে কেমন করে-
পাক পাকামির ইতিহাসে-দিলেন কবি মনটা ভরে।
পাকা ছেলে ভাবছি মনে-ব্যাখ্যা কেমন করে দেই-
টুস টুস বাত-রঙ্গে মেতে-মোড়ের মাথায় দাঁড়ায় যেই।
তাইনা বুল-বুলি তুই-দাদায় একটু বুঝায় বল-
রং গুলাবি প্রেম ভাবনায়-গন্ধ গোলাপ পাঁপরি দল।
দেখতে থাকে মাপতে থাকে-রূপ গুন আর শোভা তারি-
শিসটি বাজায় লাগলে মন-সামনে পিছন উড়ায় গাড়ি।
বসলে পিছে জড়িয়ে ধরে-বাইক যেমন আকাশ গতি-
এমন পাকা পাক পাকানি-বুঝেন কত্তা পাকার মতি।


দিন কয়েক আগের ঘটনা আমার চেম্বারের সামনের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন W.B.F.C র জেনারেল ম্যানেজার। তার সাথে কথপোকথন গদ্য কবিতায় হুবহু তুলে ধরলাম।(ফাউ কবিতা)
কবিতা


জে ম্যানেজারঃ কি ব্যাপার সারাদিন তো দেখি চেম্বারেই বসে থাকেন-
                  করেনটা কি?
আমিঃ           কবিতা লিখি স্যার-কেমন আছেন।
জে ম্যানেজারঃ তাই নাকি! আপনি আবার কবে থেকে কবিতা লেখা
          ধরলেন।
আমিঃ          ছোট বেলা থেকেই লিখি স্যার। তবে এখন অনেক
বেশিই লিখি।  
                   শুনবেন নাকি দু একটা।
জে ম্যানেজারঃ  না না! আজকাল কার যা কবিতা। আমাদের বোধগম্যের
বাইরে।
আমিঃ            না না!আমি খুবই সহজ সরল ভাষায় লিখি স্যার।
                   ওই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের যুগে যে ভাষায় লেখা
হতো। কয়েক মাসে প্রায়
                    ৮০০ কবিতা লিখে ফেললাম।
জে ম্যানেজারঃতাই নাকি!তাহলে তো আপনি রবীন্দ্রনাথঠাকুর হয়ে যাবেন।
আমিঃ             হ্যা স্যার। ওইটাই বাকি আছে।
জে ম্যানেজারঃ   ঠিক আছে চলি। আর একদিন শুনবো।


প্রিয় কবি এম,এ, সালাম মহাশয়ের আজ প্রকাশিত অনুকাব্য-ক্ষুদ্র ভাবিওনা কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
(ফাউ কবিতা-II)
অবহেলা


পোড়া কপাল মস্ত জ্বালা-তাও তো যায় বাঁচা-
অমন তুমি অবহেলা করছো কেন পা-টা।
কাঁটলে দু পা কিংবা এক বাঁচতে কেমন ভালো-
ভাগ দুনিয়ায় কেমন গতি-কবি আমায় বলো।